
মোঃরিমন মোল্লা বেতাগী উপজেলা জেলা(বরগুনা জেলা)প্রতিনিধি,
’৭১-র মহান মুক্তিযুদ্ধে বরিশাল জেলায় বিভিন্ন স্থানে সফল অপারেশন চালানোর পরও তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন বরিশাল জেলার মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, তিনি উপস্থিত ছিলেন। জীবনবাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া এই মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি বরগুনা পৌরসভার ০৬নং ওয়ার্ডে । তার পিতার নাম মৃতঃ ওহাব মোল্লা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়েই মেজর জলিল ও এড. মঞ্জু এর চার্জে ছিলেন ।
সাহসিকতার সঙ্গে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিলেও সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা পাননি তিনি। জীবন সায়েহ্নে এসে আর্থিক সংকটে পড়ে নানা রোগ-ব্যাধিতে ভুগছেন এই মুক্তিযোদ্ধা। বর্তমানে সরকারের সহায়তা কামনা করেছেন তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা মোশারেফ হোসেন জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা লগ্নে কাজ করেছেন ৯নং সেক্টরে বরিশাল পুলিশ লাইনে ছিলাম, হঠাৎ একদিন ঢাকা থেকে আইজি সাহেব নির্দেশ দিলো
এখানের সকল পুলিশ কর্মকর্তাদের বলেন অস্ত্র নিয়ে সারা শহরে মহরা দিতে ও সকল পুলিশকে অস্ত্র দিয়ে দিতে। মেজর জলিল তাকে এবং তার চাকরি সঙ্গীদের মনিটরিং করেন। আধুনিক অস্ত্র ও হ্যান্ড গ্রেনেড চালানোয় পারদর্শী এই মুক্তিযোদ্ধা বরিশালে মহানগরীতে বেশ কয়েকটি অপারেশনেও যোগ দেন। পাকবাহিনীর যখন বরিশালে ডুকে তার আগে থেকেই মেজর জলিল তাকে ও ৮-১০ কে ডিউটি দেন লঞ্চ ঘাটে, নদী পথে কেউ আসে কিনা দেখার জন্য। হঠাৎ বিমান হামলা প্রথম শুরু করে যখন পাকবাহিনী তখন তার কাছের পুলিশ কর্মকর্তার বুকে গুলিতে নিহত হয়েছে বরিশাল সিভিলসার্জন ঐখানে ,
পরে তাদের বরিশাল থানার কার্যক্রম এলোমেলো হয়ে যায়। তাদের ব্যাজের ১২-১৩ জন মিলে একটা গ্রুপ হয়ে, মেজর জলিল ও এড. মঞ্জু এর কমান্ডে যুদ্ধ পরিচালনা ছিল । বরিশালের বিভিন্ন সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা মোশারেফ হোসেন। অংশ নিয়েছিলেন মেজর জলিল এর কমান্ডে বিভিন্ন অপারেশনেও। এসব অপারেশনে পাক বাহিনীকে পর্যুদস্ত করে বরিশাল শত্রুমুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন এই মুক্তিযোদ্ধা।
মোশারেফ হোসেন জানান, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বরিশাল পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যেসব মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে তিনি বিভিন্ন অপারেশনে অংশ নেন তাদের মধ্যে রয়েছেন বাদল,আমি এছাড়াও অনেকে যেহেতু আমরা পুলিশ কর্মকর্তা ছিলাম অনেক এলাকার মানুষ ছিলেন।
মোশারেফ হোসেন বলেন, বরিশাল কোতোয়ালি থানার দক্ষিণ পাশে পুকুর এর হগেনশাহ্ বাসায় খাবার খেতাম ও মুক্তিযোদ্ধারা অশ্রয় নেয়। তাদের বাড়ি থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নানা সাহায্য-সহযোগিতা করা হয়েছিল। অনেক অপারেশনেও গিয়েছিল। কিন্তু সে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি, এখনো পর্যন্ত সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা পাননি।