
জীবননগর উপজেলার করিমপুর মাঠে এক প্রান্তিক কৃষকের দু’বিঘা জমির পেয়ারা বাগান অজ্ঞাত দুর্বৃক্তরা কেটে সাবাড় করেছে। ঘটনাটি মঙ্গলবার সংঘটিত হলেও পেয়ারা চাষি হারুন অর-রশিদ জাানতে পারেন বৃহস্প্রতিবার সকালে ।
এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের মৃত হাকিম সরকারের ছেলে হারুন অর-রশিদ(৫৫) বলেন,আমি আমার বাড়ির অদুরে দু’বিঘা জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পেয়ারা বাগান গড়ে তুলি। এক বছরের মাথায় বর্তমানে প্রতিটি গাছে গাছে ভরপুর ফল- ফুল ধরেছে। পেয়ারা বাজারজাত করা গেলে মওসুমে প্রায় পাঁচ চাকা আয় করা সম্ভব হত।কিন্তু মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাত দুর্বৃক্তরা দু’বিঘা জমির সবগুলো গাছ কেটে সাবাড় করে দেয়। প্রতিটি পেয়ারা গাছ বাঁশের শলা দিয়ে বাঁধা থাকায় দুর্বৃক্তরা গাছের নিচ থেকে কেটে দিলেও গাছ খাড়া থাকার কারনে প্রথমদিকে ব্যাপারটি টের পাইনি। তবে বৃহস্প্রতিবার সকালের দিকে গাছগুলো নেতিয়ে পড়ায় আমার সন্দেহ হয়।পরে দেখি যে প্রতিটি পেয়ারা গাছের গোড়া কেটে দেয়া। আমি তা দেখে হতবাক। এলাকায় আমার তো কোন শত্রু নেই,তাহলে গাছগুলো কাটলো কারা? ঘটনার ব্যাপারে আমি অনুসন্ধান করি। কিন্তু কারা ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। এ ঘটনায় আমার প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় আমি জীবননগর থানায় একটি জিডি করেছি। হাসাদহ ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল গনি বলেন ঘটনাটি আমি শোনার পর সরজমিনে জমিতে যাই এবং বাগানের সমস্ত গাছই কাটা দেখি।
তবে ঘটনা যারাই ঘটাক,তাদেরকে মানুষ বলা যাবে না। ঘটনাটি নির্মম ও অমানসিক। এমন ঘটনা মেনে নেয়া যায় না।আমার জানামতে হারুন অর-রশিদ একজন ভাল মানুষ। এলাকায় তার সাথে কারো বিরোধ আছে তা কেউ বলছে না। তাহলে কেন এমন শত্রুতা?জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন,ঘটনার ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক হারুন অর- রশিদ একটি জিডি করেছেন। তবে ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ অনুসন্ধান চালাবে। তবে ঘটনাটি দু:খজনক।