
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিয়ের এক বছর নয় মাসের মাথায় স্বামী ও শশুড় বাড়ীর লোকজনের যৌতুকের দাবিতে শারীরিক নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গৃহবধূ চাঁদনী (২১) হত্যা মামলায় ঘাতক স্বামী আসাদুজ্জামান নিশান (২৫) ও শশুড় রিফাজ উদ্দিন শেখ (৫৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার হাবাসপুর এলাকা থেকে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। এমামলায় আরো দুই আসামী চাঁদনীর শাশুড়ী শিরিনা সুলতানা (৪৫) ও দাদী শাশুড়ী পূর্ণিমা (৬০) পলাতক রয়েছে।
এতথ্য নিশ্চিত করে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, শ্বশুড় বাড়ির লোকজনের যৌতুকের দাবিতে শারীরিক নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে চাঁদনীকে হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপার্দ করা হয়েছে।এমামলার আরো দুইজন আসামী পলাতক রয়েছে।
তাদের গ্রেফতার করতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এঘটনায় নিহতের বাবা শহিদুল শিশু ও নারী নির্যাতন ও যৌতুকের দাবিতে মারপিট করে হত্যার অভিযোগে কুমারখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করে।মামলা নং ২০, তাং- ২৪/০৯/২০২০।
মামলার এজাহার ও নিহতের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর নয় মাস পূর্বে আপন মেঝো ভাইয়ের শ্যালক ও হাবাসপুর গ্রামের রিফাজ উদ্দিন শেখের ছেলে নিশানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠেছিল উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের সাঁওতা গ্রামের শহিদুলের মেয়ে চাঁদনীর।
এরপর পারিবারিকভাবে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয় তাদের।বিয়ের বছরখানেক পরই কোলজুড়ে আসে মেহেদী নামের এক ছেলে সন্তান। বয়স ৮ মাস।এরমাঝে ঘর সাজানো আসবাবপত্র ক্রয়ের জন্য নিয়মিত মোটা অংকের অর্থ দাবি করে আসছিল নিশান ও তার পরিবার।
এরই জের ধরে গত ২২ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার দিবাগত রাত) রাতে চাদনীর স্বামী, শ্বশুড়,শ্বাশুড়ী ও দাদী শ্বাশুড়ী চাঁদনীকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের পর বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘরের ডাবে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখে।পরবর্তীতে চাঁদনীর পরিবারকে খবর না দিয়েই ঘাতকরা চাঁদনীকে প্রথমে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে বলে নাটক সাজিয়ে বুধবার দুপুরে চাদনীর পরিবারকে খবর দেয়।