
যে কারণে স্বামীর জন্য ঈ’মানদার স্ত্রী শ্রেষ্ঠ সম্পদ; হাদিসে সে বিষয়গুলো রাসুলু (সাঃ) সুস্পষ্ট ভাষায় বর্ণনা করেছেন। পুরুষের জন্য চারটি বিষয়কে শুভলক্ষণ বলেছেন। আর এগুলো হলো- নেককার নারী, প্রশস্ত ঘর, সৎ প্রতিবেশী এবং সহজ প্রকৃতির আনুগত্যশীল-পোষ্য বাহন। পক্ষান্তরে চারটি জিনিসকে কুলক্ষণা বলেছে। তার মধ্যে একটি হলো বদকার নারী
অন্য হাদিসে রাসুলু (সাঃ) একজন ঈ’মানদার স্ত্রীকে তার স্বামীর জন্য শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলেছে। হাদিসটি তুলে ধরা হলো-হজরত ছাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘যখন এ আয়াত নাজিল হলো- ‘আর যারা সোনা-রূপা সঞ্চয় করে (আয়াতের শেষ পর্যন্ত); তখন আম’রা নবি করিম (সাঃ) সঙ্গে কোনো এক সফরে ছিলাম।
তখন তাঁর একজন সাহাবি বললেন, ‘এটাতো (আয়াত) সোনা-রূপা সর্ম্পকে নাজিল হলো। আমরা যদি জানতে পারতাম কোন সম্পদ উত্তম, তবে তা সঞ্চয় করতাম।তখন রাসুলু (সাঃ)বললেন, তোমাদের কারো শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো- প্রথম আল্লাহর জিকিরকারী রসনা।দ্বিতীয় . কৃতজ্ঞ অন্তর ৩য়. ঈমানদার স্ত্রী যে তার ঈ’মানের (দ্বীনের) ব্যাপারে তাকে (স্বামীকে) সহযোগিতা করে।
এ হাদিসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা বর্ণনা করেছেন। এ হাদিসে প্রিয়নবী রাসুল(সাঃ) ঈ’মানদার স্ত্রীর ব্যাপারে অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন। একজন ঈ’মানদার স্ত্রী তার স্বামীর জন্য সর্বোত্তম সম্পদও বটে। দ্বীনের ব্যাপারে স্বামীকে সহযোগিতার মর্মার্থ- করবে ঈ’মানদার স্ত্রী ধর্মীয় কার্যক্রম ও দ্বীনি দায়িত্বসমূহ পালনের ক্ষেত্রে তার স্বামীকে অনেক সহযোগিতা করবে।
যেমন- নামাজের সময় হলে তার স্বামীকে নামাজের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে; রমজান মাসের রোজা রাখার ব্যাপারে স্বামীকে সহযোগিতা করবে। অনুরূপভাবে একজন ঈমানদার স্ত্রী তার স্বামীকে ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি-বাকরি, পরিবারের আনুসাঙ্গিক কাজকর্মসহ অন্যান্য সব ইবাদত-বন্দেগিতেও স্বামীকে বুদ্ধি পরাম’র্শ ও উপদেশ দিবে ঈ’মানদার স্ত্রী বাড়িতে এমন পরিবেশ এবং আবহ সৃষ্টি করবে, যাতে স্বামী সারাক্ষণ পূণ্যকর্মে লিপ্ত থাকেন। অপকর্ম, অবৈধ উপার্জন এবং হারাম পেশা থেকে বিরত থাকেন।
এমনকি স্বামী যদি কোনো মন্দ কাজে লিপ্ত হন তবে ঈমানদার স্ত্রী তাকে সেই মন্দ কাজ থেকে ফিরিয়ে আনারর চেষ্টা করবে। অবাধ্য স্বামীকে মন্দ কাজ থেকে ফিরিয়ে আনতে তার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এ কারণেই রাসুলু (সাঃ)ঈমানদার নেক্কার স্ত্রীকে স্বামীর জন্য সর্বোত্তম সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহ সব নারীকে দ্বীনদার ও ঈ’মানদার হিসেবে কবুল করুন। পৃথিবীর সব মুমিন নারীকে নেককার সন্তান, নেককার স্ত্রী ও নেককার মা হওয়ার তাওফিক দান করুন ছুম্মা আমিন।