
আবেগীয়, মনোবিজ্ঞান ও সামাজিকভাবে ভালো থাকা মনোস্বাস্থ্যের মধ্যে অর্ন্তভুক্ত। এটি মানুষের চিন্তা, অনুভূতি, চাপ সামলানো, অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করা ও আচরণ, নিজের পছন্দ বেছে নেওয়া ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মতো বিষয়গুলোকে প্রভাবিত করে। মনোস্বাস্থ্য আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভূমিকা রাখে।
তবে সুস্থ মনের জন্য শরীরকেও সুস্থ রাখতে হবে। মনোস্বাস্থ্য এবং শরীরের স্বাস্থ্য একে অপরের সঙ্গে যুক্ত।
মনোস্বাস্থ্য ভালো রাখার বেশ কিছু উপায় আছে যা অনুশীলন করা বা মেনে চলা উচিত আমাদের। এগুলো মেনে চললে শরীর ও মন দুটোই সুস্থ থাকবে।
বিভিন্ন পুষ্টিযুক্ত সুষম খাবার খাওয়া। এটা ব্যালেন্সড ডায়েট মেনে চলা।ধূমপান বাদ দেওয়াসব ধরনের মাদক থেকে দূরে থাকাপর্যাপ্ত পানি পান করানিয়মিত ব্যায়াম করাপর্যাপ্ত ঘুমানো।
শরীর-মনকে প্রশান্ত রাখার আরেকটি ভালো উপায় হলো মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ও ইয়োগা করা। এগুলোর চর্চা করলে আমাদের মনের চাপ কমবে ও বর্তমান কাজে মনোনিবেশ করতে পারবেন।
বন্ধুবান্ধব এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে যোগাযোগ করাও মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখার আরেকটি উপায়। আপনি কেমন আছেন সেটা আপনার কাছের মানুষদের জানান ও প্রয়োজনের সময় তাঁদের সহায়তা নিন।
আমাদের মনোস্বাস্থ্য ঠিক আছে কিনা, ভালো আছি নাকি খারাপ আছি, সেটি অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না। একটা গল্পের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে বলি।
আপনাকে প্রতিদিন কর্মক্ষেত্রে বা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে। কিন্তু বারবার এমন একটা অনুভব হচ্ছে যে, আপনার মনের জোর নেই, শরীরেও শক্তি পাচ্ছেন না। এভাবে বাইরে বের হওয়া, নিজের কাজ করার প্রতি কোনো আগ্রহ নেই, আর্কষণ নেই। নিজের কাজগুলো করতে হবে বলেই করে যাচ্ছেন। কোনো কিছুতেই কোনো উৎসাহ পান না। দিনটি শুরু হওয়ার আগেই শেষ হওয়ার অপেক্ষায় থাকেন। আপনার কাছে এটাই যেন স্বাভাবিক। বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কখনো যদি দেখা হয়, আগের মতো আনন্দ হয় না, ভালো লাগে না। এ রকম ১৪ দিনের বেশি হলে তখন মনের যত্ন নিতে হবে। এটাকে গুরুত্ব দিতে হবে।