
রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর থানার ৩নং ইউনিয়নের ইসলামপুর বউবাজার গ্রামের কিশোরী আয়েশা , তারা তিন বোন দুই ভাই আয়েশা সবার বড় ৷ বাবা আশরাফ আলী পেশায় একজন ভিক্ষুক তিনি ২০১৪ সালে মারা যান তারপর আয়েশার মা মন্জু বেগম অন্যের বাড়িতে ঝী এর কাজ করে সংসার চালায় ৷ অভাবের সংসার এর কারনে আয়েসার ছোটভাইটিকে দিয়ে দেওয়া হয় এতিমখানায় ৷
আয়েশার মা বাইরে কাজে গেলে ছোট ভাইবোনদের দেখাশুনা ও রান্নাবান্না করে আয়েশা ৷ আয়েশার ছোটবেলা থেকে ইপিলিপসি বা মৃগী রোগের সমস্যা আছে ৷ একদিন এই রোগের প্রকোপ বাড়লে আয়েশার হাতটি চুলায় চলে যায় এবং পুড়ে যায় ৷ ফলে ক্ষত হাত টি নিয়ে নিরবে কেদেঁছে চার মাস মেয়েটি, টাকার অভাবে চিকিৎসা হয়নি ফলে চারমাস পর এখন তার হাত পছেঁ বিভৎস হয়ে গেছে অনবরত হাত থেকে পোকা পড়ছে ৷ রাত হলে মেয়েটির যন্ত্রনার চিৎকারে মানুষের ঘুম ভেঙ্গে যায় ৷ বিষয়টি মানবিক পুলিশ ইউনিট সিএমপি জানার পর আজ ০১ ডিসেম্বর (২০২০) তাকে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মানবিক পুলিশ ইউনিট তত্বাবধানে ভর্তী করা হয় ৷
এতিম কিশোরী আয়েশার চিকিৎসার সম্পূর্ন খরচ বহন করবে মানবিক পুলিশ ইউনিট ৷ এছাড়াও আয়েশা সুস্থ্য হলে তার বিয়ের খরচ ও মানবিক পুলিশ ইউনিট বহন করবো সাথে তাদেরকে একটি ঘরও মানবিক পুলিশ ইউনিটের পক্ষ থেকে তৈরি করে দিবে ৷ বর্তমানে চিকিৎসার পাশাপাশি তারা যতদিন হাসপাতালে থাকবে তাদের খাবার ও মানবিক পুলিশ ইউনিট বহন করবে ৷