
আওয়ামীলীগের সাম্প্রতিক সকল দুঃসময়ে বটবৃক্ষের মতো নিপীড়িত ও নির্যাতিত তৃনমূল নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে শক্ত হাতে সমস্ত অপশক্তির বিরুদ্ধে অকুতোভয় যুদ্ধার ন্যায় লড়াই চালিয়ে যাওয়া, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রাজপথে শাণিত আন্দোলনের অগ্রদূত, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির আইকন সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক
-১, কাজী মাজহারুল ইসলাম নরসিংদী – ৪ (বেলাব – মনোহরদী) আসনের ত্যাগী ও পরিছন্ন রাজনীতির উত্তরসূরী। তিনি এ আসনের আওয়ামী রাজনীতির সূর্য সন্তান। প্রকৃত এ কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাস ও অধিকার আদায়ের সফল সংগ্রামের ইতিহাস প্রায় সকলেরই জানা। রাজনীতির পারিবারিক, প্রাতিষ্ঠানিক, দলীয় ও সাংগঠনিক শিক্ষায় তিনি পরিপুষ্ট। কাজী পরিবারের রাজনৈতিক বলয়টা বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক বৈশিষ্টে সুসজ্জিত। সেই বলয় হতেই বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী রাজনীতির অনুসরণ, অনুকরণ ও মনেপ্রাণে অন্তঃকরণের পর ছাত্রজীবন থেকেই প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতির চর্চায় মনোনিবেশ করেন।
ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজের আগামনী বার্তাটা পৌঁছে দেন সকলের মাঝে। তিনি শুধু ছাত্র হিসেবে মেধাবী তাই নয়, তিনি রাজনীতিতেও প্রজ্ঞা ও মেধার বিকাশ ঘটিয়ে এগিয়ে গেছেন বীরদর্পে। আওয়ামী রাজনীতির সংগ্রামী এ আদর্শ তৃনমুল থেকে রাজনীতির সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিচরণ করছেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দুর্দিনে বীরত্বের সহিত লড়াই করা এ অকুতোভয় সৈনিক ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পক্ষে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ছাত্রলীগের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দলীয় ও সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করেন। এরই মাঝে জামাত – বিএনপি ও পুলিশি হামলা ও গ্রেফতারের শিকার হন কয়েকবার। ২০০১ সালে বিএনপি – জামাত জোট নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিভীষিকাময় রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ছাত্রলীগকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। ২০০২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এই সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সকল আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ২০০৪ সালে তিনি চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ভিপি নির্বাচিত হন। চারদলীয় জোট সরকারের পতনের আন্দোলনে অগ্রসেনানীর ভূমিকা পালন করেন। এরই মধ্যে হাজার হাজার শিষ্য অনুরাগী তৈরি হয় যারা তাকে আন্তরিকভাবে আন্দোলনে সখ্যতা দান করে। পরিছন্ন ও ত্যাগী নেতা হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করা এই নেতা পরবর্তীতে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় পূর্বে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার নির্বাচনী এলাকা মনোহরদী বেলাবোতে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় ও ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি হিসেবে পারিচিত। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রেখে দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। সেই তৃনমুল থেকে ছাত্রলীগ, ছাত্রলীগ থেকে যুবলীগ পর্যন্ত তার রাজনৈতিক দীর্ঘ ইতিহাস তাকে একজন সাচ্চা বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সৈনিকে পরিণত করেছে। তার দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে নিষ্প্রাণ, অচল, নিথর নরসিংদী-৪ আসনের আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ সহ সকল অঙ্গ সংগঠনকে সক্রিয় করে এগিয়ে চলছেন। দক্ষতা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা, নীতি, আদর্শ, নৈতিকতা একনিষ্ঠ দলীয় প্রেম তাকে অনন্য স্থানে উপস্থাপন করেছে। এই নিবেদিতপ্রাণ জনপ্রিয়, তৃণমূল থেকে উঠে আসা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও কুড়িয়েছে প্রশংসা ও সুনাম। তাই একের পর এক পদন্নোতির মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কৃত করছেন এই ত্যাগী, আদর্শ জননেতাকে। নরসিংদী-৪(বেলাব-মনোহরদী) এর জনগণ আগামী জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচনে নৌকার কাণ্ডারী হিসেবে চান। একান্ত আলাপচারিতায় তিনি জানান “কি পেলাম আর কি পেলাম না সে হিসেব নিয়ে আমি রাজনীতি করিনা। আমি বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ কর্মী। আমার লক্ষ্য আমার বেলাব-মনোহরদীবাসী সব ধরণের শোষণ, নির্যাতন, জুলুম ও হয়রানি হতে মুক্তি পাক। আমি সংগ্রাম করছি আমার আসনের জন্য উন্নয়ন, বেকারত্ব দূরীকরণ, দূর্নীতি ও বঞ্চিত মানুষদের অধিকার রক্ষার জন্য।”