
বলা হয়েছে যে ডাউনডিটেক্টর ডটকমের তথ্য অনুসারে, সবমিলিয়ে দুই লাখ ৮৬ হাজার ব্যবহারকারী ইউটিউব সেবায় সমস্যার কথা জানিয়েছেন। বিভ্রাটের কবলে পড়ে প্ল্যাটফর্মটিতে ভিডিও দেখতে পারছিলেন না তারা।
প্রতিবেদন ডাউনডিটেক্টরের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, সমস্যা শুরু হয় বুধবার ভোর ৫টা ৫৩ নাগাদ। পরে বুধবারের শেষ ভাগে সমস্যা ঠিক হওয়ার খবর জানায় গুগল। কিন্তু এ ব্যাপারে বাড়তি কোনো তথ্য দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। রয়টার্স বলছে, প্রতিষ্ঠানটি সাড়া দেয়নি এ নিয়ে মন্তব্যের অনুরোধেও।
বিশ্বজুড়ে ইউটিউবসহ গুগলের বেশ কিছু সার্ভিস ব্যবহারে সমস্যা হয়েছে। সার্ভার ডাউনের কারণে এই সমস্যা হচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। সোমবার (১৪ই ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশেও একই সমস্যা হচ্ছিলো। তবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ এই সমস্যা ঠিক হয়ে যায় এবং ইউটিউবসহ অন্যান্য সার্ভিস ব্যবহার করতে পারছেন বলে ব্যবহারকারীরা।
ভারতীয় গণ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়ছে যে, বিশ্বজুড়ে বড় ধরণের আউটেজের (গ্রাহক পর্যায়ে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন) মুখোমুখি হয়েছে গুগল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউটিউব, গুগল, গুগল মিট, গুগল হ্যাংআউটস, গুগল প্লে এবং জিমেইল, গুগল ম্যাপসহ আরো বেশ কিছু বহুল ব্যবহৃত সার্ভিস ব্যবহারে গ্রাহকরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
তবে ওয়েব আউটেজ পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ডাউনডিটেকটর, সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ অন্ততি ২০ হাজার আউটেজের রিপোর্ট পেয়েছে। তবে গুগলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনো বক্তব্য পাওয়া দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব ডটকমে প্রবেশের চেষ্টা করলে সমস্যা দেখা যাচ্ছেন। সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে একটি কার্টুনের মাধ্যমে বলা হচ্ছিল। তবে কিছুক্ষণ পর গুগলের সার্ভিসগুলো ব্যবহার উপযোগী হয়।
তবে ধারণা করা হয়েছে যে, ইউটিউবের এ সমস্যা সাময়ীক স্থায়িত্ব । বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ভিডিও প্লাটফর্মটি প্রতিনিয়তই তাদের উন্নয়ন ঘটানোর চেষ্টা করছে। সম্প্রতি তারা আপত্তিকর মন্তব্য রোধ এবং সুষ্ঠু পরিবেশ ধরে রাখতে আধুনিক নতুন ফিচার এনেছে। পোস্টের সময় ব্যবহারকারী আপত্তিকর মন্তব্য করলে তা পুনর্বিবেচনার সুযোগ দেবেন এই ফিচার। ইউটিউবের এআইভিত্তিক ব্যবস্থায় কাজ করবে এই ফিচার।
যদি কোনো ইউটিউব ব্যবহারকারী আপত্তিকর মন্তব্য পোস্ট করার আগে তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে, ‘মন্তব্যটি এভাবেই পোস্ট করতে চান, নাকি কোনো পরিবর্তনের জন্য সময় নেবেন?’ কোনো মন্তব্য আপত্তিকর হিসেবে শনাক্ত হলে পুনর্বিবেচনার সুযোগ দিয়ে মন্তব্যকারীকে নোটিস দেওয়া হবে।