
বিজয়
রুকাইয়া মিজান (মিমি), সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ১৫ তম আবর্তন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
আবারও ভয়াল আঁধার নেমেছে পৃথিবীর বুক জুড়ে!
আমি হেঁটে চলছি, শঙ্কা-ভীতি সংকোচের আবরণে।
হঠাৎ, শুনতে পেলাম এক মিষ্টি সুরের ঝংকার-
এ ঝংকার যে বিজয়ের,
আমার দেশের শঙ্খচিল উড়া শুকনো আকাশের,
প্রতিটি রক্তমাখা নিস্তেজ ধুলিকণার।
মনে হলো যেন এক সোনার কাঠি আমায় ছুঁয়ে গেল!
কিছুটা এগিয়ে দেখি আলোর মিছিল,
এ আলো-ও যে বিজয়ের!
আমার দেশের ৩০লক্ষ শহিদের,
এ আলো যে ৩লক্ষ বীরাঙ্গনার,
এ আলো হাহাকারের;
আহত রাতের চিৎকারের,
ভীতি জড়িত নিষ্পাপ করুণ চাহনীর!
দেখি আরও একটু দূরে- ঝাড়লন্ঠনের সমাহার!
এ ঝাড়লন্ঠনটিও যে বিজয়ের,
ছেলে হারা মায়ের আহজারীর,
সন্তানের বাবাকে দেখতে চাওয়ার প্রতীক্ষার,
কত তরুণীর জালানা চেয়ে চোখের জল গড়ার,
কত তরুণ-কত নবীনের জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়ার!
ধীরে-ধীরে রাতটির শেষ হলো,
ভোরের প্রথম টুকটুকে লাল সূর্যটিও বিজয়ের বার্তা নিয়ে এলো।
কোটি-কোটি পতাকা দৃষ্টি ছাড়িয়ে উড়তে লাগলো।
সেই উড়ন্ত পতাকাগুলো বলল-
আর কান্না না, আর পরাধীনতায় অস্ত্র না, আর রক্তের স্রোত না!
এবার যে সময় নিজেকে গড়ার, বিজয় উল্লাসের!
তখনও আমি হাঁটছি, সাথে কুড়িয়েছি-
বাংলার গৌরবগাঁথা, শহিদের দেশপ্রেমকে;
গাজিদের বিস্ময়, তরুণের স্বপ্নকে।