
ভাটির অঞ্চল দিরাই উপজেলা সদরকে ১৯৯৯ সালে পৌরসভায় রুপান্তর করা হয়। উপজেলা সদরের পৌরসভা গঠিত হয় ১৭ টি গ্রাম নিয়ে।
২৮ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে দিরাই পৌরসভা নির্বাচন। পৌর এলাকার প্রত্যেকটি পাড়া-মহল্লায় প্রার্থীরা ভোটযুদ্ধে কে কত বেশী এগিয়ে থাকবে, তা নিয়ে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ব্যানার পোস্টার ছেয়ে গেছে পৌর এলাকা।হাট-বাজারে কিংবা চায়ের দোকানে চলছে প্রার্থীদের চুল-চেরা বিশ্লেষন। কে হবে এবারের পৌর পিতা এনিয়ে ভোটারদের নানা জল্পনা কল্পনা। তবে প্রার্থীরাও বিভিন্ন কৌশলে পৌর এলাকায় দিনব্যাপী ভোটারদের ঘরে ঘরে গণসংযোগ শেষে রাতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন মেয়র প্রার্থীও কাউন্সিলর প্রার্থীরা।এলাকার উন্নয়নে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। ভোটাররাও তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরছেন।
করোনা ও শীতের প্রকোপও দমাতে পারেনি ভোটের নির্বাচনী গণসংযোগ। প্রতিনিয়তই বিভিন্ন কৌশলে চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। এখন দিরাইয়ে বইছে ভোটের গরম হাওয়া।
এবারে দিরাই পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৮জন প্রার্থী নেমেছেন ভোটযুদ্ধে। কাউন্সিলর পদে ৩৯, সংরক্ষিত নারী আসনে ১৩ জন লড়ছেন ভোটযুদ্ধে। প্রতিটি ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর ও বর্তমান ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছাড়াও যোগ হয়েছে কিছু নতুন মুখ।পাড়ায়-মহল্লায় জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
মেয়র পদে প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হলেন। দিরাই পৌরসভার বর্তমান প্যানেল মেয়র দিরাই ডিগ্রি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি বিশ্বজিৎ রায়।বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হলেন। উপজেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন চৌধুরী।জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী হলেন। অনন্ত মল্লিক।জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম মনোনীত প্রার্থী হলেন। হাফিজ লোকমান আহমদ।আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন দিরাই পৌরসভার বর্তমান মেয়র মোশারফ মিয়া।বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন। বিএনপি নেতা আব্দুল কাইয়ুম। স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম ও রশিদ মিয়া।
পৌরবাসীরা বলছেন, এবার ভোটে ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দেবো আমরা। তাই এবারের নির্বাচনে মেয়র-কাউন্সিলরদের কাছে প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির হিসেব-নিকেশ করেই ভোটাররা ভোট দিবেন এমনটিই জানান তাঁরা।
দিরাই পৌরসভায় বর্তমান ভোটার ২১ হাজার ৩৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৫৫২, নারী ১০ হাজার ৮২৭।