
রাঙ্গুনিয়ার মোঃ রফিক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী শেষ করেছেন।বর্তমানে তিনি বেকার তবে চাকুরী খোঁজার ফাঁকে শখের বশে বাড়ীর একটু দূরে গড়ে তুলেন বাগান।সেই বাগানে আম-মালটা – পেঁপেসহ প্রায় পাঁচশত ফলজ গাছ রোপণ করেন। কিন্তু রাতের আঁধারে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাজানো গোছানো এই বাগানটির সব গাছ ভেঙে দেয়ার অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগ করেন রফিকের বড় ভাই হারুন।
রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো মাহবুব মিলকী জানান,অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি৷ তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় লালানগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড পেকুয়ারকুল এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির পাঁচশত ফলের গাছ ভেঙে দিয়েছে কে বা কারা। রাতের আধারে এ কেমন শক্রতা গাছের সাথে! এ প্রশ্ন এখন স্থানীয়দের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে।জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মীর তৌহিদুল ইসলাম কাঞ্চন বলেন লোক মুখে শুনেছি আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।কে কার বাগান কেঁটে দিলো আমি জানিনা।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লালানগর ইউনিয়ন একটি বৈচিত্রময় গ্রাম এই পেকুয়ারকুল। পাহাড় বেষ্টিত গ্রামের অধিকাংশ পাহাড়ে বিভিন্ন দেশীয় ফল ফলাদি গাছের বনায়ন। স্বশিক্ষিত রফিক ও তার ভাই হারুন শখ করে বাড়ির পতিত ৫ একর ৬৫শতক জায়গায় আম-মালটা-,পেঁপেসহ উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের ফল ফলাদি গাছ রোপন করেন কয়েক বছর আগে। এ গাছ গুলো পরিচর্যা ও হয় ঠিক টাক মত। কিছু গাছে ফল ও ফুল আসছে। জুমাবার সন্ধ্যায় এলাকার কয়েকজনের উপস্থিতিতে অধিকাংশ গাছ কেটে,ভেঙে নষ্ট করে ফেলেছে। হারুন ও রফিক বাঁধা দিলে তাদের মারধরের চেষ্টা ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে থানার অভিযোগো উল্লেখ করেন মোঃ হারুন।
কোর্ট থেকে তদন্তে এসে এডভোকেট পল্টন দাশ জানান, কবরস্থানের জায়গার বিরোধ দীর্ঘদিনের। প্রথম যখন এসেছি রোপণকৃত ফলজবৃক্ষ দেখেছি৷ কোর্ট ২য় বার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জায়গা নমুনা ও জরিপ করার জন্য৷ তদন্তে এসে বৃক্ষ ভেঙে ও কেটে ফেলার নমুনা দেখছি। তদন্ত প্রতিবেদনের আগে আর কিছু বলা যাবেনা।
মোঃ রফিক বলেন,ফলজ গাছের চারা রোপণ করেছি আমি স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য৷ বেকারত্ব ঘোচাতে। কিন্তু রাতের আঁধারে এভাবে নির্মমভাবে গাছ ভেঙে দিয়ে আমার সব স্বপ্নকে ভেঙে দিয়েছে। জায়গা জমির শত্রুতা নিয়ে ফলজ গাছের চারা কাঁটা আইনি বিরোধী। আমি এবং আমার পরিবার অভিযুক্তেদর সন্তোষজনক বিচার চাই।