
ঈদগাঁও থানার বিভিন্ন ইউনিয়নের এলাকায় আমন ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। বাজারে বোরো ধানের দাম ভালো পাওয়া এবার আমন ধান রোপনে ঝুঁকছেন কৃষকরা। জানা যায়, কক্সবাজার সদর উপজেলা ঈদগাঁও থানার ঈদগাঁও, ইসলামপুর, পোকখালী, জালালাবাদ, ইসলামাবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মাঠে জেগে উঠছে কৃষকরা। সেই সব মাঠসহ উপজেলা জুড়ে আমন ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে ২০ হাজার ৮ শ’ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যে মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে বলে জানা গেছে
ইতি মধ্যেই প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আমান ধান রোপন করা হয়েছে।স্বর্ণা পাঁচ, বিধান ৩৪, হাইব্রিড, গোল্ডেন রাইট, বিধান ৮৭, ৭১ সহ বিভিন্ন জাতের ধান রোপন করা হচ্ছে।প্রতি একরে প্রায় ৮ মণ ও মূল্য প্রতিমণ দশ হাজার থেকে এগার হাজার টাকা পেয়ে কৃষকদের বোরো আবাদে এবার আগ্রহ বেড়েছে। এদিকে সকালের শীত উপেক্ষা করে সন্ধ্যা অবধি জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কেউ বা জমিতে হাল চাষ দিচ্ছেন। কেউ জমির আইলে কোদাল পাড়া কিংবা জৈব সার বিতরণ কাজে ব্যস্ত। কেউ সেচের জন্য ড্রেন নির্মাণ কিংবা পাম্পের বা শ্যালো মেশিনের জন্য ঘর তৈরি করছেন। আবার অনেকে তৈরি জমিতে পানি সেচ দিয়ে ভিজিয়ে রাখছেন। আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ করে কেউবা বীজতলা থেকে চারা তুলে তা রোপণ করতে যাচ্ছেন।
ইসলামাবাদের বোয়াল খালী এলাকার সাহাব উদ্দীন, জসিম, কামাল, হাকিম নবী হোসেন আলি হোসেন কৃষকরা জানিয়েছেন, বাজারে ইরি-বোরো ধানের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা বেশ লাভবান হয়েছেন। আগের বছরের তুলনায় এ বছর বোরো ধানের ফলন যেমন ভালো হয়েছে তেমনি বাজারে দামও বেশ ভালো পেয়েছেন চাষিরা। ফলে সব মিলিয়ে আমন ধান চাষে ঝুঁকেছেন কৃষকরা।
পোকখালীর ইছাখালী এলাকার ওমর আলী, হাকিম উল্লাহ সহ আরও অনেকে জানিয়েছেন, ঈদগাঁও নদীর পানি দিয়ে আমরা চাষাবাদ করি টিক ভাবে পানি না পাওয়ার কারণে জমির আগাছা পরিষ্কার করা সম্ভব হয়েছিল না। যাদের জমিতে টিক মতো পানি পেয়েছে তারা অনেকে কৃষকরা জমিতে ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন।