
যতই দিন ঘনিয়ে আসছে বহুল আলোচিত ১১নং চন্দ্রঘোনা-কদমতলি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা, সমালোচনার ঝড় বয়ে চলছে। আওয়ামী লীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মনে করেন সংগঠনের একমাত্র অভিভাবক জননেতা তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ এমপি এবার ত্যাগী, নির্যাতিত, সংগঠক বিবেচনায় মনোনয়ন দেবেন।সংগঠনের নেতা কর্মীদের কাছে ঘুরে ফিরে একটি নাম আবু তাহের।দলের দুঃসময়ে জেল, মামলা, হামলার স্বীকার হয়েছেন তারপরও দলের দায়িত্ব পালনে কোন বাধায় সংগঠনের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে পারেনি তাকে। এতে পরিবারের মা-বাবাকে অত্যাচার, ভাইদের পর্যন্ত জেল, জুলুমের শিকার হতে হয়েছে।
বিএনপি, জামাত সরকারের তৎকালীন সময়ে একরাত বাড়ীতে ঘুমাতে পারেনি আবু তাহের। রাঙ্গুনিয়া জুড়ে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল আবু তাহের। মামলা, হামলা মোকাবেলা করে উপজেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করেছে।
তাকে খোঁজার নাম করে একাধিকবার ঘরে গিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে তৎকালীন বিএনপি, জামাত সরকারের গুন্ডা বাহিনীসহ পুলিশ সদস্যরা। দল ক্ষমতায় আসলেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিপদে আপদে এলাকাবাসীর সমস্ত কাজে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এলাকাবাসীর প্রযোজনে কখনো নিজের কাজকে গুরুত্ব দেয়নি সব সময় এলাকারাসীর কথা ভেবেছিলেন।
চন্দ্রঘোনা এলাকাজুড়ে সমস্যা সমাধানে আবু তাহের প্রয়োজন মনে করেন আওয়ামী লীগ এবং এলাকাবাসী। সম্প্রতি করোনা মহামারী সংকট মোকাবেলায় ঘরে ঘরে ভরসা দিয়েছিল আবু তাহের। দিয়েছিল নিজস্ব তহবিল থেকে খাদ্য, ত্রান, চিকিৎসা, ছাড়াও নানান সহায়তা এবং এলাকাবাসীর পাশে থেকে শক্তি জুগিয়েছেন, অসহায় মানুষের পাশে ছিলেন সার্বক্ষণিক।
তাই আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এলাকাজুড়ে আওয়ামী লীগ এবং এলাকাবাসীর পছন্দ ত্যাগী, সৎ, যোগ্য, মেধাবী ও পরোপকারী প্রার্থী হিসেবে আবু তাহেরের নাম মুখে মুখে।
চন্দ্রঘোনা ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি নিখিল মহাজন বলেন, গরীব, ধনী তার মাঝে কোন ভেদাভেদ নেই, মানুষের বিপদে সে পাশে থাকেন এটা আবু তাহের’র বড় গুন। আর সংগঠনের ক্ষেত্রে সে শতভাগ সংগঠক এবং ত্যাগী, নির্যাতিত নেতা।
চন্দ্রঘোনা ইউপি সদস্য কবির বলেন, চন্দ্রঘোনায় সমস্যা সমাধানে আবু তাহেরের বিকল্প নাই।
জানতে চাইলে মুটো ফোনে আবু তাহের বলেন, আমি কোন জমিদার পরিবারের সন্তান নয়। আমি কৃষকের সন্তান, ছোট বেলা থেকে শেখ রাশেল স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব থাকাকালীন সময় হতে চিন্তা চেতনায় মানুষের পাশে থাকা, দলের কাজ করা, দলকে সু-সংগঠিত করা। অন্যায়ের সাথে আপোষ করিনি। জেল, জুলুম, মামলা হামলা হয়েছে অনেক,বার বার যড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছি। আমার অভিভাবক জননেতা তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ এমপি’র সুনাম রক্ষা করে পথ চলি, সংগঠনের কাজ করি, মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।আমার নেতা যদি মনে করেন, আমাকে দিয়ে প্রিয় নেতার সংগঠনের সুনাম বৃদ্ধি হবে এবং এলাকাবাসীর উপকার হবে। দলের মনোনয়ন যদি আমাকে দেন তাহলে আমি আমার জীবন বাজী রেখে আমি এলাকাবাসীর স্বপ্ন পূরনে কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।