
জবি প্রতিনিধি: ভারতের দিল্লিতে চলমান ধর্মীয় সহিংসতার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় মুজিববর্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বয়কটের ঘোষণা দেন তারা।
রোববার (১ মার্চ) দুপুর ১.৫০ মিনিটে ক্যাম্পাসের কলা অনুষদের কাঁঠালতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার, বিজ্ঞান অনুষদ, ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী জনসন রোড হয়ে ক্যাম্পাসের গুচ্ছ ভাস্কর্যে এসে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়।
এসময় মিছিল থেকে শিক্ষার্থীদের, বয়কট খুনি মোদী, হিন্দু-মুসলিম হয়েছে এক খুনি মোদী গো ব্যাক, বঙ্গবন্ধুর বাংলায় খুনি মোদীর ঠায় নাই, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে দিল্লি-ঢাকা একসাথে ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
মিছিল শেষে গুচ্ছ ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশে ৭ দফা আন্দোলনরে অন্যতম সংগঠক
তৌসিব মাহমুদ সোহান বলনে, মুজিবর্বষে ভারত থেকে কোনো অতিথি আনলে আমাদের সমস্যা নেই। কিন্তু যে মোদী সরকাররে নির্দেশে মুসলমানদের জীবন হুমকির মুখে, বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষে সেই মোদীকে অতিথি হিসেবে মানা যায় না। মুজিব বর্ষে আমরা জবি শিক্ষার্থীরা মোদীকে বয়কটের ঘোষণা দিচ্ছি।
শাখা সমাজতান্ত্রকি ছাত্র ফ্রন্টের সহসভাপতি
সুমাইয়া সোমা বলছেনে, হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসস্টি বিজেপির নরন্দ্রে মোদী সরকাররে শাসনামলে এ র্পযন্ত অনকে সাম্প্রদায়িক ঘটনার ঘটনা ঘটছে। র্বতমানে দিল্লিত বর্বোরচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী তিথি সরকার বলেন, মোদী রাষ্ট্র পরিচালনার নামে যা সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সৃষ্টি করেছে আমি হিন্দু হয়ে তার প্রতিবাদ যানাচ্ছি। এতকিছুর পরও তাকে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলায় ঢুকতে দেওয়া যায় না।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, ছাত্র অধিকার পরিষদ জবি শাখার সভাপতি রাইসুল নয়ন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল মিশু, তাবলীগ জামায়াতের পক্ষে রুম্মান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। পরে ভারতে সহিংসতায় নিহতদের জন্য দোয়া করেন হাফেজ তানভীর।
