
চলছে শীতকাল। ষড়ঋতুর দেশে এই সময়টা ফসলের মাঠ ছেয়ে থাকে সবুজে। সবুজ ফসলে চোখ জুড়ানো এই সৌন্দর্য দেখলে চোখ আর সরাতে মন চায় না। অনেক মানুষ সবুজ ফসলের সঙ্গে ছবি তুলে সময়টুকুকে ধরে রাখেন। তবে কিশোর গ্যাং এর অন্যতম তিন সদস্য কৃষকের এই ঘাম ঝড়ানো ফসল চুরি করে তাদের মাদক সেবনের টাকা জোগাড় করে। এমনকি কৃষক তার প্রতিবাদ করলে রাতের আঁধারে ফসল নষ্ট করার মতো জঘন্য কাজ করতেও দ্বিধাবোধ করে না। এমন অভিযোগ করেন গর্জনিয়ার এক কৃষক। তিনি বলেন আমার ফসল নষ্ট করা মানে আমার গলায় ছুরি দেয়া।কারণ আমার(কৃষকের) জীবন নির্বাহের একমাত্র সম্বল এই কৃষি।
উক্ত কৃষক প্রতিবেদকে জানান গর্জনিয়ার ফজল করিমের ছেলে কিশোর গ্যাং এর অন্যতম সদস্য জামাল উদ্দীন,ফরিদুল আলমের ছেলে গ্যাং এর অন্যতম সদস্য লুৎফর রহমান(লাদেন),ফরিদুল আলমের ছেলে আরিফুল ইসলাম (আরিফুল্লাহ) তারা আমার(কৃষকের) কষ্টের ফসল(বাদাম) রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে যায় এক এক করে তিনবার। বারবার নিয়ে যাওয়ার কারণে কৃষক প্রতিবাদ করলে কিশোর গ্যাং এর অন্যতম সদস্য লুৎফর রহমান(লাদেন) এর নেতৃত্বে কৃষকের বাকি ফসল(মরিচ)ও রাতের আঁধারে নষ্ট করে দেয়।
কৃষক বলেন এইভাবে বারবার ফসল নষ্ট করলে ফসল ফলানো যাবেনা। যদি প্রশাসন এসব জঘন্য কিশোর গ্যাংদেরকে প্রতিহত না করলে এলাকার মানুষ শান্ত থাকতে পারবেনা। এমনকি নতুন প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তারা মাদক সাবলায় দিয়ে এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বারবার ফসল ফলানোর জন্য কৃষকদেরকে উৎসাহিত করে যাচ্ছে এবং অসংখ্য কৃষি উপকরণ ফ্রিতে বিতরণ করে কৃষকদের সহযোগীতা করে যাচ্ছে। কিন্তু কিছু অপরাধ চক্র প্রধানমন্ত্রী এই মহা উদ্যোগকের বিরোধীতা করে যাচ্ছে কৃষকদেরকে ধ্বংস করার জন্য।তারা জানে কৃষক ধ্বংস করা মানে দেশের উন্নয়ন ধ্বংস করা। তাই তারা বারবার ফসল নষ্ট করার মতো জঘন্য কাজ করেই চলছে।