
কাউখালীতে বেদে সম্প্রদায়ের প্রতারণার নতুন ফাঁদ পেতে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এদের বেশ ভুষা দেখে মনে হয় মাদ্রাসার কোন ছাত্র অথবা এতিম খানার কোন ছাত্র। আসলে এরা কোন মাদ্রাসা বা এতিম খানার ছাত্র নয়। এই বিষয়টি গতকাল বুধবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হলে স্থানীয় সাংবাদিকদের নজরে আসে। তারা তখন স্পটে এবং অনুসন্ধানে গিয়ে জানতে পারে এরা দলিত সম্প্রদায়ে বেদে জাত। এদের কোন স্থায়ী ঘর বাড়ি নাই, যাযবরের মতো বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায়।
গতকাল বুধবার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুড়ে দেখাযায় তারা ছদ্মবেশে নানা জায়গায় প্রতারনা করে টাকা আদায় করছে। ছদ্মবেশে তারা নিরীহ জনগনকে বলে, আমরা এতিম খানা থেকে এসেছি, কোথাও বলে আমরা মাদ্রাসার ছাত্র, কোথাও আবার বলে, বাবা মা মারাগেছে তার দাফন কাফনের জন্য সাহায্য প্রার্থনাক করে। আবার গ্রাম অঞ্চলে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুরুষ গৃহকর্তা না থাকলে চুপ করে বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের কলাকৌশলে এবং নানা প্রলভন দেখিয়ে ঘরে থাকা মালামাল নিয়ে চম্পাট দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারণা এই নতুন কৌশলের ফাঁদে অনেকেই পরে হাড়িয়েছে অর্থ সম্পদ। কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এই প্রতারক চক্রের ৪/৫টি গ্রুপ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীরা।
এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ গতকাল বুধবার মানিকমিয়া কিন্ডারগার্টেনের সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলী যুবলীগের সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমানের বাসয় এই প্রতারক চক্র মাদ্রাসা ছাত্র পরিচয় দিয়ে অর্থ আদায় করতে গেলে গৃহ কর্তা হাফিজুর চ্যালেঞ্জ করলে তারা দ্রুত সটকে পরে। এছাড়াও মহিলাদের নিয়ে আরেকটি চক্র একই দিন প্রতিবেশীর নিকট থেকে ১০ টাকা দাবী করলে টাকা ভাঙ্গি নেই বললে ১০০টাকার নোট দিলে তা নিয়ে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমিনুর রশিদ মিল্টন পরিষদে তাদেরকে ডেকে মৌখিক ভাবে তাদেরকে এই সকল অপকর্ম করার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়াও অল্পবয়সী মেয়েরা টিনেজার ছেলেদের পথ রোধ করে টাকা আদায় করে। না দিলে ইভটিং এর অভিযোগ দিবে বলে ভয় দেখায়।