
সুফি ওসুফিবাদ একটি ইসলামিক আধ্যাত্বিক দর্শন। পরম সত্ত্বা মহান আললাহকে জানার আকাঙ্খা মানুষের চিরন্তন। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে অবস্থিত বিদ্যমান সম্পর্কে আধ্যাত্বিক ধ্যান ও জ্ঞানের মাধ্যমে জানার প্রচেষ্টাকে সুফী দর্শন বা সুফীবাদ বলা হয়।
এই সুফীবাদত্ব অর্জন করেছেন আল্লাহর মহান ওলিয়ে কামেল বুজুর্গগণ। তৎ মধ্যে হযরত শাহ সুফি জালাল উদ্দিন হারগাজা শাহ (রহঃ) যুগ শ্রেষ্ট অলি ছিলেন।
আনুমানিক ১৯৫৩ইং সনে প্রায় ৩০ বছর বয়সে মির্জাখীল গ্রামে আগমন করেন। তিনি ভাল ইংরেজী শিক্ষিত ছিলেন। তিনি হারগাজা গাছতলায় ১ম খোলা গাছ তলায় আসন গ্রহণ করেন।তিনি শীত, বর্ষায় সারা জীবন কোন ধরণের শীতবস্র পরিধান করতেন না। তিনি নিজ হাতে বেলা, সারিন্দা বানাতেন। তিনি বরিশালের ভাষায় কথা বলতেন। তিনি সম্পূর্ণ নির্লোভী ছিলেন।জীবনে কারো থেকে কিছুই চাননি। তাঁর জীবিত অবস্থায় এলাকার নানা গরম রোগে সারারাত পাহারা দিয়ে বেরাতেন। পরবর্তী এলাকাবাসি ফকির টিলায় ওনাকে গুদামঘর তৈরি করে দেন। সে থেকে এই নির্জন টিলায় আল্লাহর ধ্যানে ভক্তদের আশা পূরণে সারা জীবন কাটিয়ে ১৯৯০ সালে ইহকাল ত্যাগ করেন। কথিত অনেক অলৌকিখ ঘটনা প্রকাশ রয়েছে। ১ম উনাকে ডালির বাপ সার্বিক সহযোগিতা ও তদারকি করেন। পরবর্তী চর্তুর দিকে উনারভক্ত অনুরক্ত গুনগ্রাহী অজস্র। ঝড়, বৃষ্টি, তুফান তোয়াক্কা না করে গাছ তলায় জীবন কাটান। ১ম ঘর তৈরিতে এলাকার অনেক লোকের অবদান রয়েছে, তৎ মধ্যে ডালির বাপ ও তাদের পরিবারসহ পরপর মরহুম ছিদিক আহমদ তাং, মরহুম হাবিবুর রহমান, মরহুম দেলোয়ার হোসেন, মরহুম আবদুল গফুর, হাজী শাহ আলম তাং, আবুল হোসেন, আবদুল মোতালেব, মরহুম আবু মোহাম্মদসহ অনেক গুনিজন এলাকার মুরব্বীবৃন্দ।
১ম ওরশ অনুমতি এক কাহিনী। ১৯৯০থেকে২০০৮/৯সাল পর্যন্ত ওরশ নুরুল ইসলাম তাং সভাপতি আবু জাপর স্যার সেক্রেটারি এবং ১ম ক্যাশিয়ার মরহুম আবুল হাশেম পরবর্তী ছৈয়দুল আলম তাং ছিল। বৃহত্তর এলাকায় যৌথ ওরশ শুরু হয়। হযরত জালাল উদ্দীন হারগাজা শাহ (রহ) এর শেষ অবস্থায় টিলা হতে আলমাস খাতুনের বাড়িতে ছিলেন। সেখানে সবাই প্রতি বৃহস্পতিবার রাত্রে সেমা মাহফিল করত। সেমা মাহফিল টি আলমাস খাতুন বহু কষ্ট করতেন।
ওরশ প্রতিষ্টায় অনেক ব্যক্তির শ্রম ছিল। ছিদ্দিক আহমদ তাং, হাজী এয়াকুব, হাজী শাহআলম, আমীর হামজা, অনিল কুমার নাথ, সাহাব মিয়া, আবু ছৈয়দ, মুহাং হোসেন, মুবিন, আঃগফুর, ওসমান তাং, কালুমিয়া, ইদ্রিচআলম, আজিজ, জলিলসহ অনেকে ছিলেন। আজকের মাজার গম্বুজ সকলের সহযোগীতায় আবু জাপর স্যার ও নুরুল ইসলাম শুরু করেন। তলায় টাইল্স সহযোগীতা আমিরুল ইসলামসহ অনেকে।
যুগের শ্রেষ্ট অলি জালালশাহ্ ছিলেন একেবারে নির্লোভী। ১০ই অগ্রহায়ন প্রতি বছর পূর্ব বেতাগী জালালীয়া দরবার শরীফে বার্ষিক ওরশ শরীফ অনুষ্টিত হয়।
leave your comments