
যদি বলি বীরভূমে আর বাউল নেই, তা হলে অনেকেরই সহ্যের সীমা অতিক্রান্ত হবে। কিন্তু এটাই সত্যি। এখন আমরা যাদের গেরুয়া বা গুদুরি গায়ে ভাবের গান, তত্ত্বের গান গাইতে দেখি, তাঁরা আসলে ‘গায়ক বাউল’।
ঠিক তেমনি আমরা বলছি এমন একজন বাউল শিল্পী’র কথা যে কি-না জন্মের ১৪ বছর পর থেকে বাউল গান গেয়েই বেড়াচ্ছেন থেমে নেই এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন বাউল গান দেশ- বিদেশে গান গেয়ে জুড়িয়ে দিয়েছেন হাজারো দর্শকের মন।
দুঃখের মাঝে ও তিনি গান গেয়েই আনন্দ খুঁজে পান। গানেই প্রেম-ভালোবাসা, গানেই বিরহ অনুভূত করে চলছেন। নিজের সুর আর বিভিন্ন গান লেখালেখির মাধ্যমে জনমানুষের আজ অতি কাছের মানুষ তিনি। পালা গান, বিচ্ছেদ আর মুর্শিদী গান গেয়েই পরিচয় লাভ করেন তিনি।
হঠাৎ এক বাউল গানের আসরে দেখা হয়ে কথা হয় উনার সাথে বলেছিলাম আপনি কেন বা কোথায় থেকে বাউল শিল্পী হওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন, আপনিতো অন্য কিছু ও হতে পারতেন। উনি বলেন আমার ছোট বেলা থেকে বাউল গানের প্রতি ভালোবাসা ছিল সেই ভালোবাসা থেকে আমার বাউল শিল্পী হওয়ার ইচ্ছে হয়। তাই আমি আমার উস্তাদ শাহ্ মোহাম্মদ আবদুল পরান উনার কাছে গিয়ে আমার বাউল গানের প্রতি ভালোবাসার কথা বলি উনি ও আমাকে নিজের ছেলের মত করে মায়া ভালোবাসা দিয়ে বাউল গান শিক্ষা দেন এর পর থেকে আমি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাউল গান গেয়েই আসছি,আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আমি আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাউল গান গেয়েই যাবো ইনশাআল্লাহ। উনি বলেন আমার বাউল শিল্পী হওয়ার পেছনে আমার পরিবার এর সবার অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে বিশেষ করে আমার জন্ম দাতা পিতা মাতা এবং আমার উস্তাদ শাহ্ মোহাম্মদ আবদুল পরান। তিনি আরও বলেন আমার পরিবার, বন্ধু মহল সহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি।
আমরাতো শুধু বলে যাচ্ছি এখনও সেই বাউল এর পরিচয় দেওয়া হলো না। উনি হচ্ছেন ভাটির অঞ্চল সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলি ইউনিয়নের জগদীশ পুর গ্রামের কৃতি সন্তান, সিলেট বিভাগীয় বাউল কল্যাণ সমিতির অন্যতম সদস্য, জগন্নাথপুর চিরনজিব বাউল কল্যাণ সমিতির সদস্য,ও জগন্নাথপুর গীতিকার ফোরামের সদস্য বাউল লেচু সরকার,