সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২, ০১:৪৯ অপরাহ্ন
৩১শে শ্রাবণ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ-বর্ষাকাল | ১৭ই মহর্‌রম, ১৪৪৪ হিজরি
  • Home
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • বিভাগীয় সংবাদ
    • খুলনা বিভাগ
    • চট্টগ্রাম বিভাগ
    • ঢাকা বিভাগ
    • বরিশাল বিভাগ
    • ময়মনসিংহ বিভাগ
    • রাজশাহী বিভাগ
    • সিলেট বিভাগ
  • অপরাধ দুর্নীতি
    • আইন আদালত
  • খেলাধুলা
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • বিবিধ
  • দুর্ঘটনা
  • বিনোদন সংবাদ
  • দেশ জুড়ে
  • চট্টগ্রাম বিভাগ
    • পার্বত্য জেলা
    • রাঙ্গুনিয়া
    • রাউজান
  • শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান
  • ছোটগল্প

বিবেকের ধ্বজাধারীগন! আপনাদের বলছি | পারভীন আকতার

প্রকাশিত- সোমবার ১ মার্চ ২০২১, ২১২ বার পড়া হয়েছে

স্যোসাল মিডিয়া এখন সোরগোল একটি বিয়ে নিয়ে।দুইটি পরিবারকে নাস্তানাবুদ করার মালমসল্লা ভালই জোগান হচ্ছে ঘন্টায় ঘন্টায়। আপডেট খবরের কৌতুহলী মনের উঁকিঝুঁকি বাড়ছে।কী হবে শেষ ওভারে?টানটান উত্তেজনায় সরব এখন পুরো দেশ! আমার কথা হচ্ছে আমাদের কি এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজ নেই?কেন এদের কথা বারবার মিডিয়ায় এনে বিখ্যাত,কুখ্যাত বানানো বা করানো হচ্ছে?এসবের জন্যই কি মিডিয়ার সৃষ্টি?প্রত্যেকের জীবনের উত্থান পতন আছে।স্রষ্টার চোখে সব ধরা আছে।একেবারে ক্যামরাবন্দী!কেউ পার পাবে না।নিজের কৃতকর্মের দায়-দায়িত্ব নিতেই হবে।

এখনতো রীতিমতো বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেল ব্যাপারটা।দু’কলম লেখা জরুরী মনে হলো।আজেবাজে টপিক নিয়ে লিখি না।সারগর্ভ শিক্ষণীয় কিছু বের করে আনার প্রচেষ্টা করি বারবার লেখার মাঝে।না হয় সে লেখা অর্থহীন অযথা সময় নষ্ট বৈ আর কিছু নয়।এবার আসল কথায় আসি।জীবনের চাওয়া পাওয়া নিয়ে বিশ্লেষণ করবো আজ তথ্য উপাত্ত, উদাহরণ সমেত। টেলিফোন প্রথম যিনি আবিস্কার করেছেন, তিনি তাঁর প্রয়োজনের তাগিদেই আবিস্কার করেছেন বলে আমি বিশ্বাস করি।আগে নিজের স্বার্থ পরে অন্যেরটা। হ্যালো! বলে যে সম্বোধন করি আমরা,তিনি সেই আবিস্কারকেরই প্রেমিকা ছিলেন। ফেসবুকের সুবাদে অনেকেই এটা জানেন আশা করি।তাঁর প্রিয়তমার সাথে কথা বলবার ব্যাকুলতা,দূরে থাকার কষ্ট লাগব করতে তিনি তারে তারে কথা বলার ফর্মূলা বানিয়েছেন এবং এটাই সত্যি।পরে জগতজুড়ে খ্যাতি।

পৃথিবী আরেকবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে এই আবিস্কারে।এখন কথা হলো প্রেম না হলে কোন কিছুতেই সুন্দর সৃষ্টি সম্ভব নয়।প্রকৃতি কিংবা মানুষ মাত্রই প্রেমে মত্ত,ধ্যানে মগ্ন।সৃষ্টি হচ্ছে যুগান্তকারী আবিস্কার। ভালোবাসা আর নিষ্ঠার ফল এটি।ঠিক একটি সন্তানও তেমন করে সৃষ্টি হয়।জোর জবরদস্তিতে নয়,আপোষের বিয়েতে অবশ্যই।তামিমা রাকিবের আট বছরের তুবাও সেই ভালোবাসারই সৃষ্টি। সিজারিয়ান বেবি!একজন মা কী কষ্ট করে সন্তান পেটে রাখেন,জন্ম দেন তা শুধু তিনিই জানেন।এই ব্যথার এক অংশও কেউ সহ্য করবে না।স্রষ্টার এ অপার বিষ্ময়!আর সেই সন্তানকে ফেলে নেচে গেয়ে মিডিয়া তোলপাড় করে মা আবার বিয়ে,হানিমুন করে এ নারী জাতির লজ্জার বিষয়।মায়ের জাতকে তামিমার মতো নারীরা চরম অসম্মান পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে।এ সামাজিক চরম অধঃপতন।তার সেই নাচানাচির ভিডিও আমিও দেখছি আর আমার ছেলেও দেখেছে।সে বড় হয়েছে। হাতে মোবাইল,দেখা স্বাভাবিক। সে আমাকে এসে বলে,”মা ক্রিকেটার নাছির আরেকজনের বউকে বিয়ে করে ফেলছে ট্রিলিয়ন ভিউয়ার দেখেছে,তার নাকি একটি মেয়েও আছে”।আমি হতবাক!আমি তখনও কিন্তু জানতাম না।কাজে কর্মে লেখালেখিতে ব্যস্ত ছিলাম, চোখে পড়েনি আমার।হঠাৎ করেই আমার চোখে জল চলে আসলো।কারণ আমার জীবনের সাথে অনেককিছুই মিলে গেল যে!ছেলেকে বিদায় দিয়ে দেখলাম সব ভিডিও রাত জেগেই।ওদের সামনে দেখা সম্ভব না।স্বামীও বকাবকি করবে।বাধ্য হয়েই রাতে।দেখছি আর কাঁদছি।

আমার বিয়েটাও ঘটা করে হয়নি।মনে অনেক দুঃখ পার্লারে গিয়ে বউয়ের সাজ সাজতে পারিনি,বেনারসি পড়ে মজা করতে পারিনি।একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়েই নতুন জীবন শুরু করলাম! এসব কথা আমার লেখা প্রবন্ধ” আত্মকথা” তে সবিস্তারে জানানো আছে।এখন এসবের জবাব দেয়ার মতো সময় নেই,খুবই ব্যস্ততা।লেখকদের নিয়েও অনেকের কৌতূহল থাকে স্বাভাবিক।বারবার ইনবক্স করেন পাঠক ভক্তগণ,আমার ব্যক্তিগত জীবনযাপন নিয়ে।বাধ্য হয়েই অনেকটা আত্মজীবনী লেখা শুরু করেছি।জীবনটাও একটি বাঁক দাঁড় করানো উপন্যাস।যাই হোক পরিস্থিতি তামিমা রাকিবের মতোই ছিল।সংসার করছিলাম নিছকই অনিচ্ছায়।মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা,বিয়েটা ধরে রাখবার প্রচেষ্টা।জ্ঞানের আলো আমাকে পথ দেখায়।ধৈর্য ধরতে শেখায়।পরিশ্রমী হতে শেখায়।অলস,বিলাসী জীবনকে বিদায় দিলাম।আমার ঘর আলো করে প্রথম সন্তান ছেলে এলো।সে কী কষ্ট!ভেবেছি জীবনে আর কখনোই দ্বিতীয় সন্তান নেবো না।বাপরে!এতো কষ্ট বেবি হতে!তারপর মানসিক অত্যাচার শুরু।ছেলেও বড় হয়।এরই মাঝে চাকরীও হয়ে গেল।সমানতালে চলছে সব।তখন মাত্র ইন্টার পাশ আমি।পড়ালেখা বন্ধ,জোরপূর্বক।শাস্তি স্বরূপ। আমার খারাপ লাগতো আমার এক পুরুষ কলিগ বারবার আমার লেখাপড়াকে ছোট করতো,যতই আমি ভাল পড়াই না কেন।মনে মনে আমার জেদ উঠে গেল।আমি যতক্ষণ মাস্টার্স হোল্ডার হবো না ততক্ষণ ওর পাশের চেয়ারে আর বসবো না।বসেছি তবে সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী হয়েই।তিনি এখন আমাকে দেখলে চোখ সরিয়ে ফেলেন।আমি বুঝি তিনি এখন অনুতপ্ত, সেদিনের আমার প্রতি তার সেসব খারাপ আচরণ,অবমূল্যায়নের জন্য।খারাপ সময় আজীবন থাকে না

ধৈর্যের সাথে সংগ্রাম করে যেতে হবে।আমি তো অন্যায় করছি না,ভয় পাওয়ার কিছু নেই।সাহস আর অধ্যবসায়ে জীবন সুন্দর করতে বাধ্য।কথায় আসি,স্বামী আর শ্বশুর ঘরের কড়াকড়ি কোন লেখাপড়া চলবে না।চাকরী করতে দিয়েছে এই অনেক বেশি।আমার দুঃখ কষ্ট ওরা বুঝেনি।আমি চুরি করেই একদিন শহরে গিয়ে ভর্তি হয়ে এলাম।কাউকেই বলিনি।স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে,কাজের ফাঁকে ফাঁকে পড়াশোনা গোপনে চলছে।পরীক্ষা এসেছে!এখন তো পড়তেই হবে।সারাদিন কাজকর্ম করেই গভীর রাত পর্যন্ত পড়তাম।সকালে আবার সংসারের যাবতীয় কাজ সেরে স্কুলে যেতাম। বাঁধার পর বাঁধা আমাকে দমাতে পারেনি।নিজের টাকায় কারো সাহায্য ছাড়া সব ডিগ্রী অবশেষে সফলতার সাথে অর্জন করলাম,বিধাতার অশেষ মেহেরবান,সার্পোটে!আমি আকাশ থেকেই সাহায্য চাই বারবার।তিনি নিরাশ করেন না চাওয়ার মতো চাওয়া হলে তিনিও দিয়ে দেন।আমার অনেক সুযোগও ছিল।চাইলেই এই দুর্বিষহ জীবনকে টা টা দিয়ে চলে যেতে পারতাম।পারিনি শুধুই আমার সন্তানের দিকে তাকিয়ে।কখনোই পারব না।

এই হলো একজন মায়ের আদর্শিক জীবন।লেখালেখিতেও সে কারণেই আসা।বাজে চিন্তা থেকে দূরে থেকে সৃষ্টিশীলতায় মগ্ন থাকি,ইবাদত করি।প্রবাসী স্বামী!লোকে মুখরোচক অনেক কথায় বলে।এসবে কর্ণপাত নেই।কারণ একটাই আমার স্বামীর চেয়ে সন্তানদের জীবন গড়ে দেয়া আমার বড় দায়।রক্তের দায়,গর্ভে নেয়ার দায়!এড়াই কেমনে?যদি সত্যিকার সুবোধ সম্পন্ন স্বশিক্ষিত জ্ঞানী হয়ে থাকি!তামিমাদের চিন্তা ভাবনার সাথে আমাদের এখানেই আকাশ পাতাল ফারাক।টাকা আর দুনিয়ার সুখ স্বাচ্ছন্দ্য সেলিব্রেটি হতে এদের এসব নাজায়েজ আয়োজন।ইহকাল পরকাল শুধু তুবা মেয়েটার অভিশাপে জ্বলবে তামিমা -নাছির।ভাবছেন,আমি লোভী।ছেলে মেয়ের কামাই খাওয়ার জন্য এসব করছি?এই ধারণাও ভুল।রিজিকের মালিক খোদা,কোন মাধ্যম আর হতেই পারে না।আমার পরবর্তী প্রজন্মেরও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রাখে বিধায় তারা আমার পেটে এসেছে,অদ্ভুত ম্যাকানিজম লীলায় বিধাতার। তারাতো স্রষ্টারই প্রতিনিধি!একই গড়ন,সতেজ প্রাণ! তুবাও তামিমার গর্ভের সন্তান।চোখের সামনে সে কেমনে জাগতিক লোভে কাতর হয়ে মেয়েকে ফেলে এমন গর্হিত কাজ করলো?সৃজিত মিথিলাও কি মেয়ে সঙ্গে নিয়ে বিয়ে করেনি?একমুহুর্তের জন্যও তো মিথিলা তার মেয়ের হাত ছাড়েনি।স্যালুট পাওয়ার যোগ্য সে।জামাইয়ের সাথে যাই হোক সন্তানের সাথে সম্পর্ক অটুট রাখতেই হবে।

এতো নিজ গর্ভে তিলেতিলে বড় করা সন্তান!কোটি টাকা দিলেও কি আমরা তামিমা হবো?কখনোই না এবং না।সম্পদ বলেন,বেঁচে থাকার অক্সিজেন বলেন, সবই আমাদের সন্তানরা।সে একবারও ভাবলো না, তার এই নির্লজ্জতা তার মেয়ে কতটুকুইবা নিতে পারবে?বাকীটা জীবন তার কেমন কষ্ট জ্বালা নিয়ে সে বাঁচবে,বড় হবে?তুবা বলে,তার বুক ব্যথা করছে এখন।হঠাৎ তার মাকে চিরিদনের জন্য হারিয়েছে সে,চোখের সামনে সে ঘটনা দেখেছে।বুক তো ব্যথায় টনটন করবেই।আর তামিমার মাও চরম খারাপ,লোভী একজন মহিলা।মেয়েকে সময়ের সাথে গা ভাসিয়ে দিতে এমন মায়ের পেটে যেন কোন সন্তান জন্ম না নেয়।রাকিব বউকে লেখাপড়া করিয়ে,স্বাধীন জীবন দিয়ে, চাকরী করতে দিয়ে চরম বোকামীর পরিচয় দেয়নি শুধু এটি অনেকের জন্য শিক্ষণীয়ও বটে।রাকিবের অবাধ স্বাধীনতা দেয়া কখনোই উচিত হয়নি।এ কেমন ভালোবাসা আমার প্রশ্ন জাগে।বউ তো বউ।কোন পণ্য নয়।যেখানে সেখানে আমার স্বামীও যেতে দেয়না।নিরাপত্তার কাতিরে।সন্দেহ পরের বিষয় আগে আমি সেইফ কি না প্রবাসে বসে একশবার ভাবে।কারণ আমি তার বউ।সব দায় দায়িত্ব তার।সে খুবই এলার্ট থাকে এ ব্যাপারে।আমি আগে রাগারাগি করতাম,এখন ওকে বুঝি।তাই আমিও পারতপক্ষে কোথাও যাই না।নেহায়েতই দরকার হলে অনুমতি নিয়ে বের হই।এই তো স্বামী স্ত্রীর বিশ্বাসের বন্ধন।

সে কি আমাকে দেখছে ওখান থেকে আমি করছি না করছি?আমি জানি উপরে একজন সদা আমাকে পাহারা দিচ্ছেন,দেখছেন।তাঁর থেকে পার পাওয়া যাবে না।নিজেকে এভাবেই কন্ট্রোল করতে হয়।বেশি পন্ডিত হলে জীবনের বারোটা বাজে অবশেষে। বেশি চাওয়া,চাহিদা সুখের মাতম মানুষকে চরম অবক্ষয়ে নিয়ে যায়।মানুষ আর তখন বোধসম্পন্ন থাকে না।

আজ আমার স্বামীও ফোন করে এই প্রসঙ্গটা এড়িয়ে যেতে চাইলো।বললাম,দেখো কী অবস্থা।ওখান থেকে বসে বসে কেবল আমাকে বকাবকি করো,ঝগড়া করো।শান্তিতে কথাও বলো না।কোন সাহিত্য সংগঠনেও যেতে দাও না।সাহিত্যের প্রতি টান বেশি আমার।তবুও ভালো জায়গায়ও যেতে দাও না।তবুও আমরা টিকে গেলাম সংসার নামক খাঁচার ভিতর।মেনে মেনে তবুও বদনাম শুনতে হয়।সে আমাকে বারবার বলে,না পোষালে চলে যাও।আমি তো পারিনা আমার বুকের মানিকদের ছেড়ে চলে যেতে!এ অসম্ভব!হয়তো ছেলেমেয়েরা আমাদের ছেড়ে চলে যাবে একদিন কর্মের জায়গায়,নিজেদের প্রয়োজনের তাগিদে,ভালো থাকতে।যে যার মতো থাকতে চাইবে।এটাও স্বাগত জানাই।প্রত্যেকেরই স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার আছে।

এ কোন অন্যায় নয়।তবে আমি কি পাবো?আত্মার শান্তি মিলবে।মৃত্যুর পর ছেলেমেয়েরা একবার হলেও স্মরণ করবে তাদের বাবা মাকে শ্রদ্ধা ভরে।আমার বই পড়ে মাকে ছুঁয়ে দেখার মতো আনন্দ পাবে।বই বুকে নিয়ে মায়ের জন্য একফোঁটা জল গড়াবে অন্তরের চক্ষুলোকে।সুতরাং বিবেকের ধ্বজাধারীগণ যা বলবেন বা লিখবেন বুঝে শুনে লিখবেন,বলবেন।সবাইকে এক কাতারে এনে আমাদের সমস্ত কষ্ট,ত্যাগ আর অর্জনকে বৃথা করে দেবেন না।অনেক পরিবার এই ভয়াবহ দৃশ্যগুলো দেখে আজ শংকিত।কী হবে, কী হতে যাচ্ছে আগামীর দিনগুলোতে?সন্তানদের মন দিয়ে মানুষ করুন,ফলের আশা করবেন না।নিজের জীবন সৃষ্টিশীল কাজে উৎসর্গ করুন।দেখবেন বাজে চিন্তা মস্তিষ্ক আর স্থান পাবে না।ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন,মানবিক শুদ্ধাচারের চর্চা করুন, দেখবেন এই ছোট্ট জীবন কত সুন্দর, ফুলে ফলে ভরিয়ে দিবে সংসার কানন,মায়ার বাঁধন।

0Shares
Same Categories More Post
  • তাহার চেয়ে নাম যে মধুর ত্রিভূবনে নাই

    • ৩ বছর আগের
    • ১৯৩ বার পড়া হয়েছে

    তাহার চেয়ে নাম যে মধুর ত্রিভূবনে নাইফজলুর রহমান,সহকারী রজেস্ট্রিার (সমন্বয়),চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বশ্বিবদ্যিালয় (চুয়টে)এম এ হাশেম নামের এক গুণী শিল্পীআরও পড়ুন...

  • মৃত্যুর চেয়ে সম্মান বড়//সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি ।

    • ১ বছর আগের
    • ৩২০ বার পড়া হয়েছে


    গত কয়েকদিন ধরে লিখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু লিখার মতো শারীরিক সামর্থ্য না থাকাতে পারিনি। আজ একটু ভালো লাগছে। আলহামদুলিল্লাহ। ডাক্তার বলেছে আমার রিপোর্ট ভালো।আরও পড়ুন...

  • ইবি শিক্ষার্থী সাজ্জাদের ছোটগল্প গ্রন্থ ‘শরীরী অশরীরী বেদনা’

    • ২ বছর আগের
    • ১৫৯ বার পড়া হয়েছে

    আজহার ইসলাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ঃ

    আসন্ন বইমেলায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেনের ছোটগল্প গ্রন্থ ‘শরীরী অশরীরী বেদনা’ প্রকাশিত হবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়েরআরও পড়ুন...

  • রাতের অতিথি | বনব্রতি সেন

    • ২ বছর আগের
    • ২১৭ বার পড়া হয়েছে

    লেখকঃ বনব্রতি সেন, পাঠিয়েছেন মোঃ রিমন মোল্লা, উপজেলা প্রতিনিধি (বেতাগী উপজেলা)

    রনি বি এসসি ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। বাবা মার একটাআরও পড়ুন...

  • কোতোয়ালি থানা সিএমপি

    • ২ বছর আগের
    • ২১২ বার পড়া হয়েছে

    লেখক Neil Chowdhury

    চট্টগ্রাম শহরের নিরাপত্তা থাকে নিয়োজিত,,
    সিএমপি কোতোয়ালি নামেই সবার কাছে পরিচিত,,
    ১৬ ভাগে বিভক্ত হয়ে করছেন সবাইআরও পড়ুন...

  • অমানুষদের দাপটে মনুষ্যত্ব আজ নির্বাসিত ( মতামত কলাম)

    • ২ বছর আগের
    • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

    নৃশংসতা এখন নিত্যকার। দুর্বৃত্তদের অরাজকতায় দুঃসহ সাধারণের জীবন। অমানুষদের দাপট আর অপকর্ম অসহনীয়। চারদিকে প্রতিনিয়ত নির্মমতা। একটির পর একটি হৃদয়বিদারক ঘটনার জন্ম দিচ্ছেআরও পড়ুন...

  • স্বপ্নের সেতু, আক্ষেপের সেতু | ঊর্মি ইসলাম ইমা

    • ২ বছর আগের
    • ১৪৪ বার পড়া হয়েছে

    লঞ্চ যোগে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছি। ইতিমধ্যে দু-চারবার আব্বার সতর্কবাণী পৌঁছে গেছে। লঞ্চে ওঠার মিনিট পাঁচেক আগেই ফোনের স্ক্রিনে আব্বার নম্বর দেখেই বুঝলাম কিআরও পড়ুন...

  • মিস করছি প্রিয় ক্যাম্পাস ও বন্ধুদের|হিরা সুলতানা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

    • ২ বছর আগের
    • ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

    পুরাণ ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব নাম জগন্নাথ কলেজ। বিংশ শতাব্দীর অধিকাংশ সময় জুড়ে এই নামেই পরিচিত ছিল। ১৮৫৮ সালে ঢাকা ব্রাক্ষ্ম স্কুলআরও পড়ুন...

  • একজন মহসিনের আলোয় আলোকিত সমাজ

    • ২ বছর আগের
    • ১৬৯ বার পড়া হয়েছে

    লেখক Neil Chowdhury

    একজন মহসিনের,,
    আলোয় আলোকিত হবে সমাজের,,
    অসহায়,সুবিধাবঞ্চিত, নিপীড়িত মানুষ,,

    একজন মহসিন,,
    এই আধুনিকআরও পড়ুন...

  • আত্মহত্যা নয় বাঁচিতে শিখুন

    • ২ বছর আগের
    • ২২৭ বার পড়া হয়েছে

    জাকিয়া তাসনীম মুন
    ডিপার্টমেন্ট:মাইক্রোবায়োলজি
    ব্যাচ:১৫তম
    মেধা:১৭৭১

    আত্মহত্যা বা আত্মহনন হলো কোনো ব্যক্তির নিজের হাতে নিজের মৃত্যু সংঘটিত করার প্রক্রিয়াবিশেষ। এর ইংরেজিআরও পড়ুন...

top news
  • Weekly
  • Monthly
  • Yearly
  • জাতির জনকের স্মরণে রাউজানে বিনামূল্যে ৬’শ স্কুল শিক্ষার্থীদের রক্তের গ্রুপ নির্ণয়

    • ৫ দিন আগের
    • ১১৫ বার পড়া হয়েছে
  • কিউরার সৌজন্যে গাউছিয়া কমিটি ও লায়ন্স’ ক্লাব চিটাগং’র ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন সম্পন্ন

    • ২ দিন আগের
    • ২৮ বার পড়া হয়েছে
  • আনোয়ারা ৩দিনব্যাপী কারবালা মাহফিলে বক্তারা কঠিন বিপদেও নামাজ আদায় কারবালার শিক্ষা

    • ৬ দিন আগের
    • ২৫ বার পড়া হয়েছে
  • মাধবপুরে বহরা ইউনিয়নে ১২৬৫ জনে মধ্যে টিসিবি পন্য বিক্রি করেন

    • ৬ দিন আগের
    • ২৫ বার পড়া হয়েছে
  • উন্নত সেবার প্রতিশ্রুতি নিয়ে আনোয়ারায় আমিন বিশেষায়িত হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের যাত্রা শুরু

    • ৩ দিন আগের
    • ২০ বার পড়া হয়েছে
  • সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এক আপোষহীন সৈনিক

    • ৬ দিন আগের
    • ১৭ বার পড়া হয়েছে
  • চন্দনাইশে শায়খুল হাদীস কাজী মাও. মো. মঈনুদ্দীন আশরাফী’র উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষােভ মিছিল ও সমাবেশ

    • ২২ ঘন্টা আগের
    • ১৭ বার পড়া হয়েছে
  • শাওলিন উশু ট্রেনিং সেন্টারের ৪৮ তম প্রশিক্ষণার্থীদের বেল্ট ও সনদ প্রদান

    • ২ দিন আগের
    • ১৬ বার পড়া হয়েছে
  • রামুতে নবাগত ইউএনও’র দায়িত্ব গ্রহণ, প্রণয় চাকমার পদোন্নতি জনিত বিদায়

    • ৬ দিন আগের
    • ১৫ বার পড়া হয়েছে
  • আনোয়ারায় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে অভিযান, ১৫ হাজার টাকা জরিমানা

    • ৫ দিন আগের
    • ১৫ বার পড়া হয়েছে
  • ডিএপি সার কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে ৩০ লাখ টাকার মাছ মরার অভিযোগ

    • ৬ দিন আগের
    • ১৪ বার পড়া হয়েছে
  • বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার সিরাজুল আলমের দাফন সম্পন্ন

    • ৪ দিন আগের
    • ১৩ বার পড়া হয়েছে
  • আঞ্জুমানে খোদ্দামুল মুসলেমিন রাস আল খাইমাহ শাখার সভাপতি গোফরানুল হক নোমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা বদিউল আলম

    • ৫ দিন আগের
    • ১২ বার পড়া হয়েছে
  • কাপ্তাইয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে দেশিয় অস্ত্রসহ জেএসএসের সহযোগী আটক

    • ৬ দিন আগের
    • ১১ বার পড়া হয়েছে
  • সলঙ্গায় গ্রাম-প্রধান কাদেরের বিরুদ্ধে হোটেলের নারী কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ

    • ২১ ঘন্টা আগের
    • ১১ বার পড়া হয়েছে
  • হাটহাজারীতে পরকিয়ার অভিযোগে বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে দ্বন্দ্ব ; হামলায় আহত ১

    • ৪ সপ্তাহ আগের
    • ১৫৮ বার পড়া হয়েছে
  • জাতির জনকের স্মরণে রাউজানে বিনামূল্যে ৬’শ স্কুল শিক্ষার্থীদের রক্তের গ্রুপ নির্ণয়

    • ৫ দিন আগের
    • ১১৫ বার পড়া হয়েছে
  • রাউজানে শিক্ষাসেবা প্রতিষ্ঠান ‘মেধা’র প্রেষণামূলক সভা অনুষ্ঠিত

    • ৪ সপ্তাহ আগের
    • ১১০ বার পড়া হয়েছে
  • আনোয়ারার চাতরীর কালা মনছুরের ওপর হামলা ডার্বি গ্রুপের, ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

    • ৩ সপ্তাহ আগের
    • ১০৮ বার পড়া হয়েছে
  • আনোয়ারায় উপনির্বাচনে ইউপি সদস্যের প্রকাশ্য জাল ভোটের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

    • ৪ সপ্তাহ আগের
    • ৪৪ বার পড়া হয়েছে
  • মাদক-জঙ্গি-সন্ত্রাসমুক্ত করতে এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে -ওসি

    • ২ সপ্তাহ আগের
    • ৪৩ বার পড়া হয়েছে
  • আনোয়ারায় ৩দিনব্যাপী শোহাদায়ে কারবালা মাহফিল উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন

    • ২ সপ্তাহ আগের
    • ৪১ বার পড়া হয়েছে
  • স্কুলে যাওয়ার পথেই নিখোঁজ শিক্ষার্থী মাঈনুর

    • ৩ সপ্তাহ আগের
    • ৩৯ বার পড়া হয়েছে
  • নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম খুলশি জোনের সেশন চর্চা ক্লাস ও ঈদ পুর্ণমিলনী

    • ৪ সপ্তাহ আগের
    • ৩৯ বার পড়া হয়েছে
  • হারিয়ে যাওয়া মাঈনুরকে ফিরে পেলেন বাবা-মা

    • ৩ সপ্তাহ আগের
    • ৩৭ বার পড়া হয়েছে
  • আহলে বায়তে রাসূলের (দ.) প্রতি শর্তহীন আনুগত্য, গভীরতম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসাই ঈমানের দাবি

    • ১ সপ্তাহ আগের
    • ৩৫ বার পড়া হয়েছে
  • শোহাদায়ে কারবালা মাহফিলে বক্তারা সত্যিকার মুসলমান কখনো বাতিলের কাছে মাথা নত করতে পারে না

    • ১ সপ্তাহ আগের
    • ৩৪ বার পড়া হয়েছে
  • জবিতে পঞ্চম ইনডোর গেমস পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

    • ৩ সপ্তাহ আগের
    • ২৮ বার পড়া হয়েছে
  • হিজরি নববর্ষের তাৎপর্য মুহাম্মদ | আবদুল্লহ আল মাসুম

    • ৩ সপ্তাহ আগের
    • ২৮ বার পড়া হয়েছে
  • চাতরীর চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় ফিরিয়ে পেলেন টাকা

    • ৩ সপ্তাহ আগের
    • ২৮ বার পড়া হয়েছে
  • ফটোগ্রাফার থেকে অভিনয়ে আসিফ আহমেদ আসিফ

    • ১১ মাস আগের
    • ১১১৩ বার পড়া হয়েছে
  • রামুতে ভাড়াটিয়ার হামলায় মার্কেট মালিক আহত

    • ১২ মাস আগের
    • ১০০৪ বার পড়া হয়েছে
  • টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে বিষাক্ত মদপানে ৩ যুবকের মৃত্যু

    • ১২ মাস আগের
    • ৯০৭ বার পড়া হয়েছে
  • স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে দুধ দিয়ে গোসল করলেন যুবলীগ নেতা

    • ১২ মাস আগের
    • ৭২০ বার পড়া হয়েছে
  • নতুন মিউজিক ভিডিও নিয়ে আসছেন অপু ও টুম্পা

    • ১১ মাস আগের
    • ৬২৭ বার পড়া হয়েছে
  • চট্টগ্রামে ড্রেনে নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবারকে সম্পূর্ণ ফ্রি আইনি সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিলেন এড.নজরুল চৌধুরী।

    • ১২ মাস আগের
    • ৫৬৮ বার পড়া হয়েছে
  • সাবেক রাষ্ট্রদুত ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরীর ১১তম মৃত্যু বার্ষিকী ২৭ আগষ্ট

    • ১২ মাস আগের
    • ৫১৩ বার পড়া হয়েছে
  • নতুন চমক নিয়ে আসছেন এ জে আকাশ চৌধুরী,প্রিয়া ও রকি

    • ১১ মাস আগের
    • ৪৬২ বার পড়া হয়েছে
  • সাত বছর চাচীর সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে আত্ম হ ত্যা মামলার পূর্ণ তদন্ত সিআইডিতে

    • ১১ মাস আগের
    • ৪০৮ বার পড়া হয়েছে
  • চন্দ্রঘোনা ইউপি নির্বাচন চেয়ারম্যান প্রার্থীর আলোচনার শীর্ষে সাবেক ছাত্রনেতা আবু তাহের

    • ১০ মাস আগের
    • ৩৯২ বার পড়া হয়েছে
  • বেতাগীতে ছাত্রসেনার হুসাইনী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

    • ১১ মাস আগের
    • ৩৮৬ বার পড়া হয়েছে
  • গ্রেফতার কাউন্সিলর মোর্শেদের বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার মামলা

    • ১২ মাস আগের
    • ৩৭০ বার পড়া হয়েছে
  • লিভার আক্রান্ত রোগীর পাশে ছাত্রসেনা কদমতলী শাখা

    • ১২ মাস আগের
    • ৩৬৯ বার পড়া হয়েছে
  • স্বাস্থ্যবিধি মেনে জশনে জুলুসে ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (দ.) অংশগ্রহণ করার আহবান- অধ্যক্ষ অছিয়র রহমান

    • ১০ মাস আগের
    • ৩৬৭ বার পড়া হয়েছে
  • এবার ‘ওমিক্রন!’ – রং টার্নেই কি খাবি খাচ্ছে বিশ্ব?

    • ৯ মাস আগের
    • ৩৬১ বার পড়া হয়েছে
Logo
সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২ -|- ৩১শে শ্রাবণ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ-বর্ষাকাল -|- ১৭ই মহর্‌রম, ১৪৪৪ হিজরি

বিবেকের ধ্বজাধারীগন! আপনাদের বলছি | পারভীন আকতার

স্যোসাল মিডিয়া এখন সোরগোল একটি বিয়ে নিয়ে।দুইটি পরিবারকে নাস্তানাবুদ করার মালমসল্লা ভালই জোগান হচ্ছে ঘন্টায় ঘন্টায়। আপডেট খবরের কৌতুহলী মনের উঁকিঝুঁকি বাড়ছে।কী হবে শেষ ওভারে?টানটান উত্তেজনায় সরব এখন পুরো দেশ! আমার কথা হচ্ছে আমাদের কি এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজ নেই?কেন এদের কথা বারবার মিডিয়ায় এনে বিখ্যাত,কুখ্যাত বানানো বা করানো হচ্ছে?এসবের জন্যই কি মিডিয়ার সৃষ্টি?প্রত্যেকের জীবনের উত্থান পতন আছে।স্রষ্টার চোখে সব ধরা আছে।একেবারে ক্যামরাবন্দী!কেউ পার পাবে না।নিজের কৃতকর্মের দায়-দায়িত্ব নিতেই হবে।

এখনতো রীতিমতো বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেল ব্যাপারটা।দু’কলম লেখা জরুরী মনে হলো।আজেবাজে টপিক নিয়ে লিখি না।সারগর্ভ শিক্ষণীয় কিছু বের করে আনার প্রচেষ্টা করি বারবার লেখার মাঝে।না হয় সে লেখা অর্থহীন অযথা সময় নষ্ট বৈ আর কিছু নয়।এবার আসল কথায় আসি।জীবনের চাওয়া পাওয়া নিয়ে বিশ্লেষণ করবো আজ তথ্য উপাত্ত, উদাহরণ সমেত। টেলিফোন প্রথম যিনি আবিস্কার করেছেন, তিনি তাঁর প্রয়োজনের তাগিদেই আবিস্কার করেছেন বলে আমি বিশ্বাস করি।আগে নিজের স্বার্থ পরে অন্যেরটা। হ্যালো! বলে যে সম্বোধন করি আমরা,তিনি সেই আবিস্কারকেরই প্রেমিকা ছিলেন। ফেসবুকের সুবাদে অনেকেই এটা জানেন আশা করি।তাঁর প্রিয়তমার সাথে কথা বলবার ব্যাকুলতা,দূরে থাকার কষ্ট লাগব করতে তিনি তারে তারে কথা বলার ফর্মূলা বানিয়েছেন এবং এটাই সত্যি।পরে জগতজুড়ে খ্যাতি।

পৃথিবী আরেকবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে এই আবিস্কারে।এখন কথা হলো প্রেম না হলে কোন কিছুতেই সুন্দর সৃষ্টি সম্ভব নয়।প্রকৃতি কিংবা মানুষ মাত্রই প্রেমে মত্ত,ধ্যানে মগ্ন।সৃষ্টি হচ্ছে যুগান্তকারী আবিস্কার। ভালোবাসা আর নিষ্ঠার ফল এটি।ঠিক একটি সন্তানও তেমন করে সৃষ্টি হয়।জোর জবরদস্তিতে নয়,আপোষের বিয়েতে অবশ্যই।তামিমা রাকিবের আট বছরের তুবাও সেই ভালোবাসারই সৃষ্টি। সিজারিয়ান বেবি!একজন মা কী কষ্ট করে সন্তান পেটে রাখেন,জন্ম দেন তা শুধু তিনিই জানেন।এই ব্যথার এক অংশও কেউ সহ্য করবে না।স্রষ্টার এ অপার বিষ্ময়!আর সেই সন্তানকে ফেলে নেচে গেয়ে মিডিয়া তোলপাড় করে মা আবার বিয়ে,হানিমুন করে এ নারী জাতির লজ্জার বিষয়।মায়ের জাতকে তামিমার মতো নারীরা চরম অসম্মান পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে।এ সামাজিক চরম অধঃপতন।তার সেই নাচানাচির ভিডিও আমিও দেখছি আর আমার ছেলেও দেখেছে।সে বড় হয়েছে। হাতে মোবাইল,দেখা স্বাভাবিক। সে আমাকে এসে বলে,”মা ক্রিকেটার নাছির আরেকজনের বউকে বিয়ে করে ফেলছে ট্রিলিয়ন ভিউয়ার দেখেছে,তার নাকি একটি মেয়েও আছে”।আমি হতবাক!আমি তখনও কিন্তু জানতাম না।কাজে কর্মে লেখালেখিতে ব্যস্ত ছিলাম, চোখে পড়েনি আমার।হঠাৎ করেই আমার চোখে জল চলে আসলো।কারণ আমার জীবনের সাথে অনেককিছুই মিলে গেল যে!ছেলেকে বিদায় দিয়ে দেখলাম সব ভিডিও রাত জেগেই।ওদের সামনে দেখা সম্ভব না।স্বামীও বকাবকি করবে।বাধ্য হয়েই রাতে।দেখছি আর কাঁদছি।

আমার বিয়েটাও ঘটা করে হয়নি।মনে অনেক দুঃখ পার্লারে গিয়ে বউয়ের সাজ সাজতে পারিনি,বেনারসি পড়ে মজা করতে পারিনি।একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়েই নতুন জীবন শুরু করলাম! এসব কথা আমার লেখা প্রবন্ধ” আত্মকথা” তে সবিস্তারে জানানো আছে।এখন এসবের জবাব দেয়ার মতো সময় নেই,খুবই ব্যস্ততা।লেখকদের নিয়েও অনেকের কৌতূহল থাকে স্বাভাবিক।বারবার ইনবক্স করেন পাঠক ভক্তগণ,আমার ব্যক্তিগত জীবনযাপন নিয়ে।বাধ্য হয়েই অনেকটা আত্মজীবনী লেখা শুরু করেছি।জীবনটাও একটি বাঁক দাঁড় করানো উপন্যাস।যাই হোক পরিস্থিতি তামিমা রাকিবের মতোই ছিল।সংসার করছিলাম নিছকই অনিচ্ছায়।মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা,বিয়েটা ধরে রাখবার প্রচেষ্টা।জ্ঞানের আলো আমাকে পথ দেখায়।ধৈর্য ধরতে শেখায়।পরিশ্রমী হতে শেখায়।অলস,বিলাসী জীবনকে বিদায় দিলাম।আমার ঘর আলো করে প্রথম সন্তান ছেলে এলো।সে কী কষ্ট!ভেবেছি জীবনে আর কখনোই দ্বিতীয় সন্তান নেবো না।বাপরে!এতো কষ্ট বেবি হতে!তারপর মানসিক অত্যাচার শুরু।ছেলেও বড় হয়।এরই মাঝে চাকরীও হয়ে গেল।সমানতালে চলছে সব।তখন মাত্র ইন্টার পাশ আমি।পড়ালেখা বন্ধ,জোরপূর্বক।শাস্তি স্বরূপ। আমার খারাপ লাগতো আমার এক পুরুষ কলিগ বারবার আমার লেখাপড়াকে ছোট করতো,যতই আমি ভাল পড়াই না কেন।মনে মনে আমার জেদ উঠে গেল।আমি যতক্ষণ মাস্টার্স হোল্ডার হবো না ততক্ষণ ওর পাশের চেয়ারে আর বসবো না।বসেছি তবে সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী হয়েই।তিনি এখন আমাকে দেখলে চোখ সরিয়ে ফেলেন।আমি বুঝি তিনি এখন অনুতপ্ত, সেদিনের আমার প্রতি তার সেসব খারাপ আচরণ,অবমূল্যায়নের জন্য।খারাপ সময় আজীবন থাকে না

ধৈর্যের সাথে সংগ্রাম করে যেতে হবে।আমি তো অন্যায় করছি না,ভয় পাওয়ার কিছু নেই।সাহস আর অধ্যবসায়ে জীবন সুন্দর করতে বাধ্য।কথায় আসি,স্বামী আর শ্বশুর ঘরের কড়াকড়ি কোন লেখাপড়া চলবে না।চাকরী করতে দিয়েছে এই অনেক বেশি।আমার দুঃখ কষ্ট ওরা বুঝেনি।আমি চুরি করেই একদিন শহরে গিয়ে ভর্তি হয়ে এলাম।কাউকেই বলিনি।স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে,কাজের ফাঁকে ফাঁকে পড়াশোনা গোপনে চলছে।পরীক্ষা এসেছে!এখন তো পড়তেই হবে।সারাদিন কাজকর্ম করেই গভীর রাত পর্যন্ত পড়তাম।সকালে আবার সংসারের যাবতীয় কাজ সেরে স্কুলে যেতাম। বাঁধার পর বাঁধা আমাকে দমাতে পারেনি।নিজের টাকায় কারো সাহায্য ছাড়া সব ডিগ্রী অবশেষে সফলতার সাথে অর্জন করলাম,বিধাতার অশেষ মেহেরবান,সার্পোটে!আমি আকাশ থেকেই সাহায্য চাই বারবার।তিনি নিরাশ করেন না চাওয়ার মতো চাওয়া হলে তিনিও দিয়ে দেন।আমার অনেক সুযোগও ছিল।চাইলেই এই দুর্বিষহ জীবনকে টা টা দিয়ে চলে যেতে পারতাম।পারিনি শুধুই আমার সন্তানের দিকে তাকিয়ে।কখনোই পারব না।

এই হলো একজন মায়ের আদর্শিক জীবন।লেখালেখিতেও সে কারণেই আসা।বাজে চিন্তা থেকে দূরে থেকে সৃষ্টিশীলতায় মগ্ন থাকি,ইবাদত করি।প্রবাসী স্বামী!লোকে মুখরোচক অনেক কথায় বলে।এসবে কর্ণপাত নেই।কারণ একটাই আমার স্বামীর চেয়ে সন্তানদের জীবন গড়ে দেয়া আমার বড় দায়।রক্তের দায়,গর্ভে নেয়ার দায়!এড়াই কেমনে?যদি সত্যিকার সুবোধ সম্পন্ন স্বশিক্ষিত জ্ঞানী হয়ে থাকি!তামিমাদের চিন্তা ভাবনার সাথে আমাদের এখানেই আকাশ পাতাল ফারাক।টাকা আর দুনিয়ার সুখ স্বাচ্ছন্দ্য সেলিব্রেটি হতে এদের এসব নাজায়েজ আয়োজন।ইহকাল পরকাল শুধু তুবা মেয়েটার অভিশাপে জ্বলবে তামিমা -নাছির।ভাবছেন,আমি লোভী।ছেলে মেয়ের কামাই খাওয়ার জন্য এসব করছি?এই ধারণাও ভুল।রিজিকের মালিক খোদা,কোন মাধ্যম আর হতেই পারে না।আমার পরবর্তী প্রজন্মেরও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রাখে বিধায় তারা আমার পেটে এসেছে,অদ্ভুত ম্যাকানিজম লীলায় বিধাতার। তারাতো স্রষ্টারই প্রতিনিধি!একই গড়ন,সতেজ প্রাণ! তুবাও তামিমার গর্ভের সন্তান।চোখের সামনে সে কেমনে জাগতিক লোভে কাতর হয়ে মেয়েকে ফেলে এমন গর্হিত কাজ করলো?সৃজিত মিথিলাও কি মেয়ে সঙ্গে নিয়ে বিয়ে করেনি?একমুহুর্তের জন্যও তো মিথিলা তার মেয়ের হাত ছাড়েনি।স্যালুট পাওয়ার যোগ্য সে।জামাইয়ের সাথে যাই হোক সন্তানের সাথে সম্পর্ক অটুট রাখতেই হবে।

এতো নিজ গর্ভে তিলেতিলে বড় করা সন্তান!কোটি টাকা দিলেও কি আমরা তামিমা হবো?কখনোই না এবং না।সম্পদ বলেন,বেঁচে থাকার অক্সিজেন বলেন, সবই আমাদের সন্তানরা।সে একবারও ভাবলো না, তার এই নির্লজ্জতা তার মেয়ে কতটুকুইবা নিতে পারবে?বাকীটা জীবন তার কেমন কষ্ট জ্বালা নিয়ে সে বাঁচবে,বড় হবে?তুবা বলে,তার বুক ব্যথা করছে এখন।হঠাৎ তার মাকে চিরিদনের জন্য হারিয়েছে সে,চোখের সামনে সে ঘটনা দেখেছে।বুক তো ব্যথায় টনটন করবেই।আর তামিমার মাও চরম খারাপ,লোভী একজন মহিলা।মেয়েকে সময়ের সাথে গা ভাসিয়ে দিতে এমন মায়ের পেটে যেন কোন সন্তান জন্ম না নেয়।রাকিব বউকে লেখাপড়া করিয়ে,স্বাধীন জীবন দিয়ে, চাকরী করতে দিয়ে চরম বোকামীর পরিচয় দেয়নি শুধু এটি অনেকের জন্য শিক্ষণীয়ও বটে।রাকিবের অবাধ স্বাধীনতা দেয়া কখনোই উচিত হয়নি।এ কেমন ভালোবাসা আমার প্রশ্ন জাগে।বউ তো বউ।কোন পণ্য নয়।যেখানে সেখানে আমার স্বামীও যেতে দেয়না।নিরাপত্তার কাতিরে।সন্দেহ পরের বিষয় আগে আমি সেইফ কি না প্রবাসে বসে একশবার ভাবে।কারণ আমি তার বউ।সব দায় দায়িত্ব তার।সে খুবই এলার্ট থাকে এ ব্যাপারে।আমি আগে রাগারাগি করতাম,এখন ওকে বুঝি।তাই আমিও পারতপক্ষে কোথাও যাই না।নেহায়েতই দরকার হলে অনুমতি নিয়ে বের হই।এই তো স্বামী স্ত্রীর বিশ্বাসের বন্ধন।

সে কি আমাকে দেখছে ওখান থেকে আমি করছি না করছি?আমি জানি উপরে একজন সদা আমাকে পাহারা দিচ্ছেন,দেখছেন।তাঁর থেকে পার পাওয়া যাবে না।নিজেকে এভাবেই কন্ট্রোল করতে হয়।বেশি পন্ডিত হলে জীবনের বারোটা বাজে অবশেষে। বেশি চাওয়া,চাহিদা সুখের মাতম মানুষকে চরম অবক্ষয়ে নিয়ে যায়।মানুষ আর তখন বোধসম্পন্ন থাকে না।

আজ আমার স্বামীও ফোন করে এই প্রসঙ্গটা এড়িয়ে যেতে চাইলো।বললাম,দেখো কী অবস্থা।ওখান থেকে বসে বসে কেবল আমাকে বকাবকি করো,ঝগড়া করো।শান্তিতে কথাও বলো না।কোন সাহিত্য সংগঠনেও যেতে দাও না।সাহিত্যের প্রতি টান বেশি আমার।তবুও ভালো জায়গায়ও যেতে দাও না।তবুও আমরা টিকে গেলাম সংসার নামক খাঁচার ভিতর।মেনে মেনে তবুও বদনাম শুনতে হয়।সে আমাকে বারবার বলে,না পোষালে চলে যাও।আমি তো পারিনা আমার বুকের মানিকদের ছেড়ে চলে যেতে!এ অসম্ভব!হয়তো ছেলেমেয়েরা আমাদের ছেড়ে চলে যাবে একদিন কর্মের জায়গায়,নিজেদের প্রয়োজনের তাগিদে,ভালো থাকতে।যে যার মতো থাকতে চাইবে।এটাও স্বাগত জানাই।প্রত্যেকেরই স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার আছে।

এ কোন অন্যায় নয়।তবে আমি কি পাবো?আত্মার শান্তি মিলবে।মৃত্যুর পর ছেলেমেয়েরা একবার হলেও স্মরণ করবে তাদের বাবা মাকে শ্রদ্ধা ভরে।আমার বই পড়ে মাকে ছুঁয়ে দেখার মতো আনন্দ পাবে।বই বুকে নিয়ে মায়ের জন্য একফোঁটা জল গড়াবে অন্তরের চক্ষুলোকে।সুতরাং বিবেকের ধ্বজাধারীগণ যা বলবেন বা লিখবেন বুঝে শুনে লিখবেন,বলবেন।সবাইকে এক কাতারে এনে আমাদের সমস্ত কষ্ট,ত্যাগ আর অর্জনকে বৃথা করে দেবেন না।অনেক পরিবার এই ভয়াবহ দৃশ্যগুলো দেখে আজ শংকিত।কী হবে, কী হতে যাচ্ছে আগামীর দিনগুলোতে?সন্তানদের মন দিয়ে মানুষ করুন,ফলের আশা করবেন না।নিজের জীবন সৃষ্টিশীল কাজে উৎসর্গ করুন।দেখবেন বাজে চিন্তা মস্তিষ্ক আর স্থান পাবে না।ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন,মানবিক শুদ্ধাচারের চর্চা করুন, দেখবেন এই ছোট্ট জীবন কত সুন্দর, ফুলে ফলে ভরিয়ে দিবে সংসার কানন,মায়ার বাঁধন।

0Shares

Contact Us

Email – sadinbangla71tv@gmail.com

© ২০১৯ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি

  • About Us
  • Contact
  • Privacy Policy
  • Faq
  • Terms and Condition
  • Sitemap