
মধ্যপ্রাচ্যের ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় আইয়ুব আলী নামক এক যু্বকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি মাস্কাট সিটির মাবেলা নামক স্থানে তার বসবাস। চাকরি করেন স্থানীয় ওমানির মিশকেকের দোকানে।
দীর্ঘ প্রচেষ্টায় এখানে গাড়ি চালানোর বৈধতা ( ড্রাইভিং লাইসেন্স) পেয়েগত বুধবার নিজের ফেইসবুক টাইম লাইনে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন ‘ আলহামদুলিল্লাহ’। সেদিনের স্ট্যাটাসে তার বন্ধু স্বজনরা এখনো অভিবাদন জানিয়ে যাচ্ছিলেন, অথচ সেই স্ট্যাটাসের কমেন্টে নতুন করে লিখতে হচ্ছে ‘ইন্নালিল্লাহ’। সেই লাইসেন্সটায় কেড়ে নিলোযুবক আইয়ুব আলীর প্রাণ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটায় গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কবাতির সাথে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান তিনি। তার দুর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ওমান প্রবাসী ছোট ভাই ইয়াকুব বলেন,’ বৃহস্পতিবার রাতে আমার নিজের গাড়ি করে আরো এক চাচাতো ভাইকে নিয়ে রুই নামক স্থানে আমার এক প্রতিবেশি ভাতিজাকে দেখতে যাই। আমার ভাই নতুন লাইসেন্স পেলেও দক্ষ চালকের মতো ড্রাইভিং করছিল। প্রায় চল্লিশ কি.মিটারের পথ আসা যাওয়া করলেও তার ড্রাইভিংয়ে কোন প্রকার ভুলত্রুটি দেখিনি। তার আর আমার বাসা অনেকটা পাশাপাশি।
আজ শুক্রবার ছিল বড় ভাইয়ের (নিহত আইয়ুবের) ছুটির দিন। তাই সে আমাদের বাসায় রেখে গাড়ি নিয়ে তার বাসার দিকে চলে যাচ্ছিল। কিন্তু সে বাসায় না গিয়ে গাড়িটি নিয়ে প্রধান সড়কে চলে যায়। মাস্কাট-সোহার সড়কের মাবেলা ভিপির পূর্বে সিভ গোল চত্ত্বরে সে প্রাণ হারায়। মুহুর্তে পুলিশ এসে তার আরবাবকে (স্পন্সর) ফোন করে বিষয়টি জানালে আরবাব নিজেই আমাকে তার দুর্ঘটনার খবর দেন। এসে দেখি তার নিথর দেহ পড়ে আছে গাড়িতে। মূলত মাথায় প্রচন্ড যখম হয়। লাশ বর্তমানে মর্গে রয়েছে।
নিহত আইয়ুব আলী ফটিকছড়ির লেলাং ইউনিয়নের গোপালঘাটা গ্রামের মৃত জহরুল ইসলামের প্রথম পুত্র। আড়াই বছর পূর্বে তিনি ওমান আসেন। দেশে তিন বছরের এক কন্যা ও স্ত্রী রয়েছেন। তার এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে তার স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ওমানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের আইন সহায়তাকারী মাসুদ করিম বলেন,’ তার দুর্ঘটনায় নিহতের খবর পেয়েছি। লাশ দ্রুত দেশে পাঠানোর জন্য দূতাবাস থেকে সকল প্রকার আইনী সহায়তা প্রদান করা হবে।’