
কলামিস্টঃ আবু তাহের – এই শিক্ষিত সমাজ,বলতে গেলে নিন্মবিত্ত্ব,মধ্যবিত্ত্ব পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য।পরিবারের এক একেকটা চালিতা শক্তি।বিগত এক বছর যাবৎ,তাদের নীরব কান্না,গোপনে অশ্রু মোচন আর অন্তরের দহন ক্রিয়া,লোক চক্ষুর অন্তরালে রয়েছে।না পারছে কিছু বলতে,না পারছে সহৃ করতে।প্রতিষ্টানের নূন্যতম বেতন আর সামান্য প্রাইভেট টিইশানির আয় ছিল একমাত্র নির্ভরতা,এর বাইরে আর কিছুুই নাই।তাও ১ বছর যাবৎ বন্ধ।ব্যক্তি মালিকানার কেজি স্কুলগুলো পাঠ্য কার্যক্রম চালু থাকলে,টিউশান ফি আদায় করতে পারে,নইলে নয়।শিক্ষক কর্মচারীরা তাও বুঝে।টিউশান ফি আদায়ের উপর বেতন নির্ভর যেহেতু,সরকারি কোন প্রতিষ্টান নয়।কিন্তু পারিবারিক ব্যয়ভার তো ঠিকই চালাতে হয়।এরা শিক্ষিত সমাজ,শিক্ষার উন্নয়নে এদের ভূমিকা যথেষ্ট,অস্বীকার করা যাবে না।কেজি স্কুলগুলো এই শিক্ষিত সমাজের কর্ম সংস্থানে ভূমিকা রেখেছে,তাও সত্য।
তাই ব্যবসায়িক প্রতিষ্টান আখ্যা দিয়ে সরকারি দায়িত্বটা এড়িয়ে যাওয়া ঠিক মনে হচ্ছে না।যিনি উদ্দ্যোগতা,তিনি অর্থায়ন না করিলে প্রতিষ্টাগুলো গড়ে উঠা সম্ভব হতো না।কাজে তার ভুমিকা ও প্রশংসণীয়।এই প্রতিষ্টান সমূহের উপর কত লক্ষ নীরিহ পরিবার নির্ভরশীল তাও ভেবে দেখা দরকার মনে করি।এই স্কুলগুলোর সাথে লক্ষ লক্ষ কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ জড়িয়ে আছে,যারা আগামীতে দেশের নাগরিক।কেউ কখনো চাইবে না,এদের জীবন বিপন্ন হউক।শিক্ষা বান্ধব মাননীয প্রধানমন্ত্রি শেখ হাহিনার সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নয়ন সাধন করেছে,তার মধ্যে কেজি স্কুল সমুহ সহযোগী একটি অংশ।সরকারের পক্ষ খেকে কেজি স্কুলগুলোকে নিজস্ব নীতিমালায় চলার কথা বলা হলেও,কিন্তু দায়িত্ব শেষ হয়না,যেহেতু তারাও শিক্ষা বোর্ডের অধীনে।সরকারি স্কুলের শিক্ষক কর্মচারিরা স্কুল অনন্তকাল বন্ধ থাকলে ও বেতন ঠিক পাবে,কিন্তু কেজির শিক্ষককেরা পাবে না স্কুলে কার্যক্রম চলমান না থাকলে।সুতরাং এইসব ব্যক্তি মালিকানাধীন স্কুল সমুহ যাতে টিউশান ফি আদায় করে সব কিছু সচল রাখতে পারে,সেইজন্য অন্তত সপ্তাহের অর্ধেক কায্যদিবস হলে ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চালু রাখার ব্যবস্থা করা যেত কিনা,ভেবে দেখাটা অতি জরুরি মনে করি,যাতে প্রতিষ্টান মালিক,শিক্ষক/শিক্ষিকা,কর্মচারীবৃন্দ আর শিক্ষাথীরা স্বস্থি পায়।