
স্বাধীনতা মানে ত্রিশ লক্ষ শহিদের বিলিয়ে দেওয়া তাজা প্রান,
স্বাধীনতা মানে বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়ানোর সম্মান।
স্বাধীনতা তুমি শত বছরে স্বপ্নে দিয়েছ উকি,
অনুভবের জালে পেঁচিয়েছ আমাদের ছারোনিকো তুমি।
স্বাধীনতা তুমি শরীরে মিশে থাকা রক্তের বিন্দু কনা,
তোমাকে ছারা এ দেহ আজ অস্তিত্বহীনতা।
স্বাধীনতা তুমিতো দেখা দিয়েছিলে বসন্তের কোকিল ডাকা ভোরে,
তুমিতো এসেছিলে দুটি সত্তা ভাগে বিবাদহীনতার তরে।
আমরাতো চেয়েছিলাম কবুতরের ভেসে থাকতে সারা জীবন,
ওরা তো চেয়েছে কুকুরের ভেসে রাখতে আজীবন।
কত নির্যাতন খেতে দেয় না, থাকতে দেয় না, ঘুমাতে দেয় না।
অন্যায়ের কুয়া জলে ওরা দিয়েছিল ডুব পায় নিকো ঠাই,
আমরাতো নীলা জলের স্নানে মগ্ন ছিলাম খুজে পায়নি আমাদের তাই।
ওরা চেয়েছিল বিশাল নীলা জলরাশি কাঁদা মেখে নোংরা করতে,
কিন্তু তাই কি হয় এক বালতি কাঁদা মাখা জল যে কোথায় হারিয়ে গেল,
পারেনিতো ওরা কাঁদা মাখা জলের বিন্দু খানি ধরতে।
বায়ান্নতে তুমি দিয়েছ বুলি দিয়েছ প্রেয়না,
উনসত্তরে গনঅভ্যুথান, সত্তরের নির্বাচন এর পরে একাত্তরে দিয়েছ স্বরুপে ধরা।
নয়টি মাস ওরা পশু হয়েছিল হারিয়েছিল মনুষ্যত্ব,
ক্ষমতার লোভে শোশনের মাত্রা বৃদ্ধি, এটাই ছিল ওদের মূল মন্ত্র।
মায়ের বুকের হৃদপৃন্ড কেড়ে নিতে করে নিতো ওরা দ্বিধা,
ঝরেছে অজস্র প্রান কত নারী, শিশু, যুবক বৃদ্ধা।
কত নারীর ইজ্জত কারিয়া নিয়েছে, কত শিশুকে করেছে অনাথ,
মায়ের চোখের সম্মুখে সন্তানকে করেছে গুলি,
বউয়ের ইজ্জত লুটে নিয়ে স্বামীর নিয়েছে প্রান,
আর্তনাদের চিৎকারে কানে দিয়েছে হাত, তবুও বের হয়নি এক ফোটা বেদনার বুলি।
আমরাতো মাথা নোয়াতে জানিনা,
রক্তে আমাদের মিশে আছে সংগ্রাম মিশে আছে স্বাধীনতা,
শত শেকল ভেঙে রুখে দাড়িয়েছি, ত্যাগের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছি প্রনের স্বাধীনতা।
ত্রিশ লক্ষ শহিদের বিলিয়ে দিয়েছি তাজা প্রান,
অর্জন করেছি বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাড়ানোর সম্মান।
সৈয়দ জোনায়েদ হোসেন
মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষ