
স্বাস্থ্যবিধি মেনে, অন্তত সীমিত সময়ের জন্য হলেও দোকান খোলার এই দাবীতে কুমিল্লার সকল ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন। আজ ৬ এপ্রিল মঙ্গলবার কুমিল্লা কান্দিরপাড় খন্দকার হক টাওয়ার, নিউ মার্কেট, ছাত্তার খান কমপ্লেক্স, আনন্দ সিটি সেন্টার, ময়নামতি গোল্ডেন টাওয়ারের ব্যবসায়ীরা সড়ক বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করেন। এসময় তারা বিক্ষোভ করেন। ব্যবসায়ীদের দাবি কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিদিন অন্তন অল্প সময়ের জন্য হলেও শপিংমহল ও সকল দোকান খুলে দিলে ব্যবসীরা কিছুটা হলেও তারা তাদের জীবন রক্ষা করতে পারবেন। লকডাউন আওতার বাইরে রেখে শপিংমল গুলো খুলে দেয়ার দাবি জানানো হয়।
এ সময় তারা বলেন, দেশে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার আগে সরকার উদাসিনতা দেখিয়েছে। যার কারনে করোনার প্রকোপ বেড়েছে। লকডাউন দেশের কোথাও মানা হচ্ছেনা বলেও দাবি করেন তারা। তাদের প্রশ্ন বই মেলা চলতে পারলে শপিংমলও বন্ধ থাকবে কেন? বই মেলার মতো শপিংমলও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলে দেয়া হউক।
গত বছর লকডাউনের কারনে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারেনি। সরকার থেকে প্রণোদনা দেয়ার কথা থাকলেও কোন প্রকার প্রণোদনা দেয়া হয়নি। বিদ্যুত বিল, ভ্যাট, ট্যাক্স দিতে হয়েছে। এ বছর ব্যবসা করার জন্য ব্যবসায়ীরা তাদের সকল সঞ্চয়, পারিবারিক, ব্যক্তি ও ব্যাংক ঋণ নিয়ে পণ্য মজুদ করেছে। অথচ সরকারের এই লকডাউন ঘোষণায় দিশেহারা হয়ে পরেছে সারাবাংলার ব্যবসায়ীরা। তারা আরো বলেন, ব্যসায়ীরা বাঁচলে তাদের কর্মচারী ও তাদের পরিবার নিয়ে বাঁতে পারবে।
কুমিল্লা দোকান মালিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন বলেন, গত বছর আমরা ব্যবসায় করিনি। এ বছর ব্যবসা করতে নাপারলে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাবো। আমাদের দাবি কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নির্দিষ্ট সময় বেধে দিয়ে হলেও মার্কেটগুলো খুলে দেন। যদি আমাদের এই দাবি না মানেন তাহলে রাস্থায় বসে পড়বো। আমাদের রাস্থায় নামতে বাধ্য করবেন না।