
আবারও পছন্দের মৌলিক গান গাইলেন সুস্মিতা দে
ক্লাসিকাল গান দিয়ে গান গাওয়া শুরু করেছিলেন সুস্মিতা দে। কিন্তু শ্রোতাদের ভালোবাসাতে লোকগান গাওয়াতে ঝুঁকে পড়েন। কৈশোর থেকেই সংগীতের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় হাজার হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে অর্জন করেন গৌরবময় স্থান। সংগীত নিয়ে পড়াশোনা, সংগীত নিয়েই ধ্যান-জ্ঞান সুস্মিতার। এরই মধ্যে আরটিভি ফোক স্টেশনসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে তিনি গেয়েছেন চমৎকার কিছু মৌলিক লোকগান। বড় বোন সুপ্রিয়া দে’র গান গাওয়া দেখে শৈশবেই গান শুরু করেন সুস্মিতা দে। সুপ্রিয়া দে নজরুল সংগীতে জাতীয় স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন। কম যাননি সুস্মিতাও। কৈশোর শুরু হয় চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজের মাধ্যমে। ২০১২ সালে মাছরাঙা টিভিতে রবি সেরা প্রতিভায় প্রথম আট-এ স্থান করে নেন। ২০১৭-এ চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠে সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেন। ২০১৯-এ জি-বাংলা সারেগামাপা-তে অংশ নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড পর্যন্ত গেলেও পাসপোর্ট তৈরি না থাকায় গ্রান্ড অডিশনে যেতে পারেননি।
গানের ক্ষেত্রে সুস্মিতার আইডল শিল্পী মিতালী মুখার্জী ও কিংবদন্তি বারি সিদ্দিকী। সেজন্য খুব বেছে বেছে পছন্দসই গান করেন তিনি। এ পর্যন্ত তাঁর গোটা দশেক গান অনএয়ার হয়েছে। তাঁর প্রথম মৌলিক গান জনপ্রিয় কম্পোজার ফুয়াদ আল মুক্তাদির-এর ‘চান্দের আলো’। গাওয়া গানগুলোর মধ্যে ‘সোনা বান্ধবরে’ এবং ‘এমনও যন্ত্রণার মাঝে’ (ধামাইল গান) খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ইতোমধ্যে কুমার বিশ্বজিতের কম্পোজিশনেও ফোক গান করেছেন তিনি। বাউল শাহ আবদুল করিম, হাসন রাজা, রাধারমণ-এর পুণ্যস্থান সিলেটের মেয়ে সুস্মিতা।
বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীত নিয়ে অনার্স করছেন তিনি। এখন ওপার বাংলাতেও সাধকদের সঙ্গে বাংলাদেশের লোকগানের প্রসারের চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন ,‘‘ সব ধরনের গানের প্রতি দক্ষতা থাকলেও লোকগান আমার প্রাণ। আর যতদিন শ্রোতারা আমায় ভালোবাসা দেবেন ততদিন আমি গাইবো।” ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে সুস্মিতা জানান, তাঁর মায়ের একটি স্বপ্ন আছে তাকে নিয়ে সেই স্বপ্ন পূরণের চেষ্টায় আছেন তিনি।
সম্প্রতি তিনি উর্বশী ফোরাম-এর ‘উর্বশী গানের সিঁড়ি’ শীর্ষক প্রকল্পের জন্য মৌলিক গান ‘সারা নিশি কার অঞ্চলে’ গেয়েছেন। গানটির রচয়িতা এবং সুরকার সিলেটের সারগাম-এর অধ্যক্ষ বুলবুল আনাম। গানটির শুটিংও সম্পন্ন হয়েছে। গানটির মিউজিক কম্পোজার এএইচ তূর্য। আসন্ন ইদের পর উর্বশী ফোরাম-এর ব্যানারে সেটি অনএয়ার হবে।