
কক্সবাজারের মহেশখালী কালারমার ছড়ায় শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের বিচার পেতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সকলের কাছে গিয়েও বিচার পায়নি ইয়াছমিন আক্তার ঝিনুক নামে এক গৃহবধূ এমন অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি। যায়, গত ২০১৯ সালে কালারমার ছড়া ফকিরাঘোনা গ্রামের আমান উল্লাহ ছেলে মোঃ সাইমুনের সাথে বিয়ে হয় ঝিনুকের, কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস না যেতেই যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে সাইমুনের পরিবার। ভুক্তভোগী ঝিনুক জানান, সাইমুনের মা ঝিনুককে প্রতিদিন অশালীন ভাষায় গালিগালাজসহ শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন এবং পরে তা স্বামী সাইমুনকে জানালে সেও মাতাল অবস্থায় উল্টো খারাপ ব্যবহার করতেন ঝিনুকের সাথে। এসব সহ্য করতে না পেরে ঝিনুক তার বাপের বাড়িতে চলে যায়।
এসব নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশকার ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে বিচার দিলে সাইমুন ও তার পরিবার বিচার মানার স্বীকারোক্তি দিলেও তা পরে আর বাস্তবায়ন করে না। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করে। গৃহবধূ ইয়াছমিন আক্তার ঝিনুকের বাবা আব্দুল হক জানান, সাইমুন আমাকে দেখলে রাস্তাঘাটে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে, মেরে ফেলার হুমকি দেয়। অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি এর বিচার চাই। কালারমারছড়া পুলিশ ক্যাম্পের আইসি এসআই জহিরুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগীর করা মামলা তদন্ত চলছে। সঠিক তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।