
দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী ধলঘাট ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ওনার ফেইসবুক পোস্টে বলেন ধলঘাটার মানুষ ত্রান চাই না টেকসই বেড়িবাঁধ আর সড়ক চাই। অবশেষে ইয়াসের থাবায় বিলীন হয়ে গেল ধলঘাটা শরইতলার বেড়িবাঁধ। গত পাছ বছর ধরে প্রশাসনের সাথে অনেক কষ্ট আর যুদ্ধ করে এই টুকু বেড়িবাধ দাড় করিয়ে জোয়ার ভাটা থেকে রক্ষা করেছিলাম এই ধলঘাটাকে। ভেবেছিলাম এরই মধ্যে ৭০/৮০ কোটি টাকার বরাদ্দকৃত বেড়িবাধের কাজ শুরু হয়ে যাবে। সেইভাবে এগিয়েও যাচ্ছিল এবং ঠিকাদার তার জন্য তিন চার হাজার ব্লকও বানিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু দূর্ভাগ্য আমাদের কাজ শুরু করেও ঠিকাদার পালিয়ে গেল। এর পরে পানি উন্নয়ন বোর্ড গত ২/৩ বছর ধরে শুধু আশারবাণী শুনাচ্ছিল এই তো ২০০/৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ এসেছে, টেন্ডার হচ্ছে, এই তো এই মৌসমে কাজ শুরু হবে।
এই সব অফিসের এবং তাদের কাছে যেতে যেতে, আমরা এমন কি আমাদের এম,পি মহোদয় পর্যন্ত দৌড়াতে দৌড়াতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। অনেকবার সরকারের কাছে এও বলেছি মেঘা প্রকল্পের এরিয়া ধলঘাটা সে হিসেবে হলেও টেকসই বেড়িবাঁধ করা উচিত। কিন্তু না যখন বুঝতে পারলাম যে, মেঘা প্রকল্প আর উন্নয়ন দুটো এক জিনিস নয়। মেঘা প্রকল্প শুধু তাদের উন্নয়ন নিয়েই ব্যস্থ থাকবে এর বাহিরে অন্যভাবে আমাদেরকে দয়া করার তাদের সুযোগ নেই।
অন্যদিকে সরকার, বাজেট আর টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দিন গুণবে আর দীর্ঘ বিলম্বের পথ ধরে মধ্যখানে আমাদের মত ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা মানুষের কাছে শুধু অযোগ্য আর আর অকর্মা হিসাবে কথা শুনতে হচ্ছে। একজন চেয়ারম্যান ঠিক সেই সময় যতই শিক্ষিত বা যোগ্য হোক না কেন টেকসই বেড়িবাঁধ আর টেকসই যোগাযোগ ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত আমরা জনগণের কাছে সবচেয়ে অযোগ্য। তাই এই মুহুর্তে নতুন বেড়িবাঁধ এর কোন সু-সংবাদ থাকলেও কাজ শুরু করা বা বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত চুপ থাকাই সমচিন মনে করছি। কারণ একটাই, জনগণ বুঝতে চাইবেনা! তাই জনগণের সাথে আমিও একমত পোষণ করে বলছি-
” আমরা ত্রাণ চাই না,টেকসই বেড়িবাঁধ এবং সড়ক চাই।”