শুক্রবার, ০১ জুলাই ২০২২, ০২:২০ অপরাহ্ন
১৭ই আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ-বর্ষাকাল | ২রা জিলহজ, ১৪৪৩ হিজরি
  • Home
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • বিভাগীয় সংবাদ
    • খুলনা বিভাগ
    • চট্টগ্রাম বিভাগ
    • ঢাকা বিভাগ
    • বরিশাল বিভাগ
    • ময়মনসিংহ বিভাগ
    • রাজশাহী বিভাগ
    • সিলেট বিভাগ
  • অপরাধ দুর্নীতি
    • আইন আদালত
  • খেলাধুলা
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • বিবিধ
  • দুর্ঘটনা
  • বিনোদন সংবাদ
  • দেশ জুড়ে
  • চট্টগ্রাম বিভাগ
    • পার্বত্য জেলা
    • রাঙ্গুনিয়া
    • রাউজান
  • শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান
  • ফিচার
  • মতামত

মাদকমুক্ত সুস্থ জীবন গড়ি

প্রকাশিত- শনিবার ২৬ জুন ২০২১, ১২৩ বার পড়া হয়েছে

জান্নাতুল মাওয়া শশী- মাদকের প্রতি আসক্তির বর্তমান পৃথিবীতে প্রধান একটি সামাজিক সমস্যা। যা একটি আত্মঘাতী আসক্তি। মাদকাসক্তির দেশের প্রাণ শক্তি যুব সমাজকে ধ্বংসের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের পথ কে বাধাগ্রস্ত করছে। মাদকের কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে অপরাধপ্রবণতা। সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার প্রধান অন্তরায় হিসেবে কাজ করছে মাদক। বর্তমান বাংলাদেশের ১০ জন তরুনদে মধ্যে ১ জন তরুণ মাদকাসক্ত। প্রতিদিন হাজারো তরুণ মাদকাসক্ত মামলায় আসামি হচ্ছেন। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমান বাংলাদেশের সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত যার ১৫ শতাংশ মানুষ উচ্চশিক্ষিত।

জান্নাতুল মাওয়া শশী, শিক্ষার্থী, সমাজকর্ম বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

বাংলাদেশ মাদকের উৎপাদন হয় না তবে সারা দেশে প্রতিবছর ৫০ হাজার কোটি টাকা মাদকের লেনদেন হয়ে থাকে। দেশের সীমান্তে ৫১২ পয়েন্ট দিয়ে আসছে ২৪ ধরনের মাদক। দেশের ৩০-৩৫ হাজার লোক মাদক আদান-প্রদানের কাজে জড়িত। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আনা হয় প্রতিদিন ৩০ লক্ষাধিক। ভেজাল মাদক তৈরি, মাদক সরবরাহ, মাদকবিরোধী নামের নানারকম কার্যক্রম চালিয়ে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য মেতে উঠেছে। মাদক ব্যবসায়ী মাদক গ্রহণের সাথে সাথে বিভিন্ন দুর্নীতিতে সাথে জড়িত। ৬৫ লাখ মাদকাসক্তের মাঝে ৮৭ভাগ পুরুষ ১৩ভাগ নারী মাদকগ্রহনকারী। ভারত ও মিয়ানমার থেকে প্রতিনিয়ত হাজারো মাদক প্রবেশ করছে বাংলাদেশে যা প্রগতিতে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে। সারাদেশে মাদক বর্তমানে একটি সংকট পূর্ণ রূপ নিয়েছে বেশি করে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশ সমূহ যেখানে অর্থনৈতিক অভাবে ভুগছে বহু সংখ্যক মানুষ। নিরাপত্তার অভাবে আটকানো যায় না বহু অপরাধ, এই পরিস্থিতিতে অপরাধের পথ অনেক বেশি সহজ হয়ে ওঠে। যার ফলে মাদক পাচার বাড়ে ও শিক্ষার ব্যবস্থা ব্যাহত হয়।

মাদক গ্রহণ করছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পর্যন্ত। মাদকাসক্তের প্রথম পদক্ষেপ যেখানে সিগারেট সেখানে বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ মানুষই সিগারেট গ্রহণ করে থাকেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মাদক ও ধূমপান করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি মারাত্মক বলে উল্লেখ করেছেন। ধূমপান করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিতে ১৪ গুণ বাড়িয়ে তোলেন ও মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। সাধারণত ধূমপান দিয়েই নেশা শুরু হয়। এরপর যথাক্রমে গাঁজা ফেনসিডিল ইয়াবা, এলএসডি অন্যান্য মাদক গ্রহণ করে থাকে। সমাজের তরুণ ও শিশুরাও মাদক গ্রহণের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। পথ শিশুদের একটি বড় অংশ মাদকাসক্ত। ঢাকা শহরের বেশির ভাগ পথশিশুরা মাদকে আসক্ত। মাদকের সংস্পর্শে আসার পেছনে বৃহৎ কারণ রয়েছে মাদকের সহজলভ্যতা, সমবয়সীদের চাপ, বেকারত্ব ও সামাজিক অবক্ষয়, সমাজের ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, পারিবারিক কলহ থেকে শুরু করে মা বাবার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হওয়া।

রাজধানী থেকে শুরু করে প্রতন্ত্য গ্রাম পর্যন্ত মাদকের ব্যবসা ছড়িয়ে পড়েছে। মাদক এখন বেশিরভাগ অপরাধ ‌সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। অধিকাংশ সামাজিক বিশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে হত্যাকাণ্ডের সাথে মাদক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত। দৈনিক পত্রিকার এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, নেশাখোর সন্তানের হাতে প্রায় ২০০ পিতা-মাতা খুন ও মাদকাসক্ত স্বামীর হাতে ২৫০ স্ত্রী খুন। মাদকাসক্ত সন্তানদের কারনে পরিবারে নেমে আসে কালো ছায়া। অনেক পিতা মাতাকে দেখা যায় মাদকাসক্ত সন্তানের বিরুদ্ধে থানায় মামলাও করতে হয়। মাদকের টাকা জোগাড়ের জন্য অনেক বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়। চুরি, ডাকাতি, লুট, রাহাজানিতে লিপ্ত হয়। মাদকাসক্ত তরুণেরা সমাজে কিশোর গ্যাং তৈরি করে ও চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি করে সমাজের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। ইদানীং প্রায় সড়ক দুর্ঘটনার কারণ চালকের মাদক গ্রহণ।
মাদকের কারণে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হাফিজ মাদকের প্রতিক্রিয়ায় নিজের গলা কেটে মৃত্যু, সিলেটে এমসি কলেজে স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রীকে কেড়ে নিয়ে ধর্ষণ, বস্ত্রহীন মহিলাকে নির্যাতন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরারকে পিটিয়ে হত্যা সহ যতগুলো ঘৃন্য, লোমহর্ষক অমানুষিক এই ধরনের কর্মকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে তারা সবাই মাদকাসক্ত।

পৃথিবীর কোন ধর্মই মাদক গ্রহণের অনুমোদন দেয়নি। ইসলামের দৃষ্টিতে সকল প্রকার মাদক দ্রব্যের ব্যবহার একটি জঘন্য ধর্মীয় ও সামাজিক অপরাধ। আর ইসলামের দৃষ্টিতে সকল প্রকার মাদক দ্রব্যের ব্যবহার একটি জঘন্য ধর্মীয় ও সামাজিক অপরাধ। তাই ইসলামী শরীআতে মদ্যপান সম্পূর্ণ ভাবে হারাম ও নিষিদ্ধ বলে ঘোষিত হয়েছে। হাদীস শরিফে বর্ণিত আছে মদ ও ঈমান একত্র হতে পারে না (নাসাঈ শরিফ)। অর্থাৎ কোন মুসলমান মদ গ্রহণ ও বহন করতে পারে না। মাদক দ্রব্য গ্রহণের ফলে, ফুসফুস ও মস্তকের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে থাকে। হৃদয় স্পন্দন ও নাড়ির গতি বৃদ্ধি পায়, চোখ রক্ত বর্ণ হয় এবং মুখ ও গলা শুকিয়ে আসে। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অকেজো হয়ে যায়। এতে হজম শক্তি বিনষ্ট হয়, খাদ্যস্পৃহা কমে যায় মানবদেহে ক্রমাগত অপুষ্টি বাসা বাধতে থাকে। স্থায়ী কফ, কাশি এবং যক্ষারোগের সৃষ্টি হয়। মাদকদ্রব্য ব্যবহারে মানুষের বিবেক বুদ্ধির ওপর দারুণ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। বিবেক বুদ্ধি লোপ পায়, হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। একজন মাদকাসক্তের জন্য দৈনিক প্রচুর টাকার প্রয়োজন হয়। মদ্যপানে প্রচুর ধন-সম্পদ অপব্যয় ওঅপচয় হয়। অপব্যয় মারাত্মক অপরাধ। ইসলামে সর্বপ্রকার অপব্যয় বর্জনীয়। আল্লাহ তা’আলা অপব্যয়ীকে শয়তানের ভাই বলে আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহ তা’আলা ঘোষণা করেন: “নিশ্চয়ই অপব্যয়কারিগণ শয়তানের ভাই (বনী ইসরাঈল: ২৭) আর অপচয় থেকেই শুরু হয় অবৈধ উপার্জনের লোভ লালসা। মাদকাসক্ত তার মাদকের ব্যয় সংকুলানের জন্য নানা রকম দুর্নীতি, অসামাজিক ও অপরাধমূলক কার্যকলাপের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়ে। মদ পান করে মানুষ নিকৃষ্টতর কর্মকাে ও পাপাচারে লিপ্ত হয়। অধিকাংশই বিষধর মমাদকের ফলে পরিবেশ দূষিত, যৌনশক্তি লোপ, দুঃখ-দারিদ্র্য বৃদ্ধি, ইবাদতে বাধা সৃষ্টি করে। আল্লাহ তা’আলা ঘোষণা করেন, “নিশ্চয়ই শয়তান মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে চায় এবং তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ ও সালাত হতে বিরত রাখতে চায়। তবুও কি তোমরা তা থেকে নিবৃত হবে না? (আল-মায়িদাঃ৯১) মহানবী (সঃ) বলেন মাদকাসক্তি ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না। মহানবী (স) অন্যত্র বলেন: “আল্লাহ তা’আলা লানত দিয়েছেন মদকে, তার পানকারীকে, পান করানকারীকে, বিক্রেতাকে, ক্রেতাকে, তৈরিকারীকে যা, দ্বারা তা তৈরি করা হয় তাকে, বহনকারীকে, যার কাছে তা বহন করা হয় তাকে (আবু দাউদ, ইবনে মাজা)।

সচেতনতা বৃদ্ধি মাদক নিয়ন্ত্রণে সব থেকে বড় ভূমিকা রাখবে। মাদক ব্যবসায়ীদের প্রাপ্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, অপসংস্কৃতি বন্ধের আহ্বান করতে হবে। বর্তমানে সরকার বাংলাদেশে ডোপ টেস্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে যা যুবসমাজকে মাদক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে। মাদকাসক্তগ্রস্তদের নিরাময়ের জন্য সরকারি ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে যেখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা আরো ভালো মানের করা জরুরি। আজ মাদক সেবন ও পাচার বিরুদ্ধ দিবসে আমাদের একটাই দাবি, “নেশা ছেড়ে কলম ধরি, মাদকমুক্ত সমাজ গড়ি”।

পরিবারেই একটি শিশুর প্রথম বিকাশ ঘটে তাই সন্তানের প্রতি পিতা মাতার ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। তাদের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য পালন করতে হবে। সন্তানকে সঠিক পর্যাপ্ত সময় দিয়ে ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের শরীক হয়। সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করি ও সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার বিষয়গুলোর সম্পর্কে বোঝায় যেনো মাদকের ক্ষতিকর সামাজিক প্রভাব থেকে আগামী ভবিষ্যত শিশুরা মুক্তি পায়।

জান্নাতুল মাওয়া শশী, শিক্ষার্থী, সমাজকর্ম বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

0Shares
Same Categories More Post
  • শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সালাম 

    • ৯ মাস আগের
    • ১১৮ বার পড়া হয়েছে

    ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস। মূলত ইউনেস্কোর ২৬ তম অধিবেশনে ৫ অক্টোবরকে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। আমি সৌভাগ্যবান যে আমারআরও পড়ুন...

  • শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যৎ ভাবনা

    • ১২ মাস আগের
    • ১৩২ বার পড়া হয়েছে


    তরুণ প্রজন্মের উন্নতির মূল চালিকাশক্তিই শিক্ষা। শিক্ষা হচ্ছে অর্জন করার বিষয় যেখানে জনগন তথা দেশ এবং সমগ্র বিশ্ব উপকৃত হবে।অথচ শিক্ষার সবচেয়ে গ্রহণযোগ্যআরও পড়ুন...

  • ভারতে নতুন স্ট্রেইনের বিস্তৃতি: আমরাও কি সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছি?

    • ১ বছর আগের
    • ২০৭ বার পড়া হয়েছে

    লেখকঃ মোঃ মামুন হাসান বিদ্যুৎ, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়- বিশ্বজুড়ে ৩১ লাখের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া করোনাভাইরাস মহামারির সর্বশেষ ‘হটস্পট’ হয়ে উঠেছে প্রায়আরও পড়ুন...

  • অমর একুশে বইমেলা ২০২২ইতিহাসনির্ভর উপন্যাসে পাঠকদের আগ্রহ

    • ৪ মাস আগের
    • ৩৬ বার পড়া হয়েছে

    অমর একুশে বইমেলা ২০২২ ইতিহাসনির্ভর উপন্যাসের বইয়ে আগ্রহ বেড়েছে পাঠিকদের। এবারের বইমেলায় ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নানা ঘটনাপ্রবাহের ইতিহাস নিয়েআরও পড়ুন...

  • অটিজম শিশুদের প্রয়োজন একটুখানি ভালোবাসা

    • ১ বছর আগের
    • ২২৯ বার পড়া হয়েছে

    সাবিনা আক্তার মুন্নী, শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা - 'অটিজম' শব্দটির সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। এই পরিচিতি থাকা সত্ত্বেও আমরা তাদেরকেআরও পড়ুন...

  • করোনাকালীন ঈদ ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা | সিনথিয়া সুমি 

    • ১ বছর আগের
    • ২১৩ বার পড়া হয়েছে

    লেখকঃ শিক্ষার্থী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ- প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের আঘাতে যখন ক্ষত-বিক্ষত পৃথিবী তখন মানুষের মনে বিরাজ করছেআরও পড়ুন...

  • নারীর ভাবনায় বাংলা নববর্ষ

    • ১ বছর আগের
    • ১৮৭ বার পড়া হয়েছে

    ‘আইলো আইলো আইলোরে রঙে ভরা বৈশাখ আবার আইলোরে’- বৈশাখের চিরচেনা এই গানের মধ্য দিয়ে হাজির হয়েছে বাংলা বর্ষের নতুন বছর ১৪২৮। নববর্ষ বাঙালিরআরও পড়ুন...

  • রাস্তায় ধান মাড়াইয়ের কাজ বন্ধ হোক

    • ১ মাস আগের
    • ২৩ বার পড়া হয়েছে

    বর্তমান সময়ে কৃষকরা ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষকরা প্রথমে খেত থেকে ধান কেটে সড়কে রাখে তারপর ইঞ্জিনচালিত যন্ত্রআরও পড়ুন...

  • নতুন বছর , নতুন দিন, সামনে আসছে শুভ ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ | আতাবুর রহমান সানি

    • ২ বছর আগের
    • ১৬৫ বার পড়া হয়েছে

    করোনা মহামারির বছর ২০২০ শেষ। বছরটা যারা বেঁচে পার করছেন, তারা যতদিন বেঁচে থাকবেন একেবারে আলাদা করেই এর কথা মনে রাখবেন। কারণ, এমনআরও পড়ুন...

  • যৌতুক ও মাদক থেকে বাঁচতে হলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে- ফজলে করিম এমপি

    • ১ বছর আগের
    • ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

    রেলপথ মন্ত্রনালয় সম্পর্কীত সংসদীয় স্থায়ি কমিটির চেয়ারম্যান রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি বলেছেন যৌতুক ও মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি।আরও পড়ুন...

top news
  • Weekly
  • Monthly
  • Yearly
  • সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর মাজার জেয়ারতে যাচ্ছেন রাউজানবাসী

    • ১৫ ঘন্টা আগের
    • ১০৮ বার পড়া হয়েছে
  • নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আজিজুল হক বাবুলকে ফুলেল শুভেচ্ছা

    • ৫ দিন আগের
    • ২১ বার পড়া হয়েছে
  • আগামীকাল দেশে আসছে প্রবাসী শুক্কুর’র লাশ

    • ৪ দিন আগের
    • ২০ বার পড়া হয়েছে
  • মাধবপুরে কৃষ্ণপুরের ব্রিজটি না হওয়াতে বিকল্প কাঠের সেতু তৈরী করে যানচলাচলে উপযোগী করছেন এলাকাবাসী

    • ২ দিন আগের
    • ১৬ বার পড়া হয়েছে
  • আনোয়ারায় বঙ্গোপসাগরে নৌ-পুলিশের অভিযানে নিষিদ্ধ জালসহ ৭ জেলে গ্রেপ্তার

    • ৫ দিন আগের
    • ১২ বার পড়া হয়েছে
  • সলঙ্গার হাটিকুমরুলে ভূমির নায্য মুল্যের দাবীতে আলোচনা সভা

    • ২ দিন আগের
    • ১০ বার পড়া হয়েছে
  • ঘরে তৈরি কেক বিক্রি করে লক্ষ টাকা আয় সাথীর

    • ১৯ ঘন্টা আগের
    • ১০ বার পড়া হয়েছে
  • পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে পুলিশের আনন্দ রেলি।

    • ৬ দিন আগের
    • ৭ বার পড়া হয়েছে
  • কাপ্তাইয়ে এমপির ঐচ্ছিক তহবিল হতে ২০ জনকে অনুদান প্রদান

    • ৪ দিন আগের
    • ৭ বার পড়া হয়েছে
  • উদ্বোধন হলো পদ্মা সেতু! নতুন উচ্চতায় দেশ

    • ৬ দিন আগের
    • ৭ বার পড়া হয়েছে
  • উদ্বোধন হলো পদ্মা সেতু! অভিনন্দন জানালো বিশ্ব ব্যাংক

    • ৬ দিন আগের
    • ৬ বার পড়া হয়েছে
  • বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টি সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ!

    • ২ দিন আগের
    • ৬ বার পড়া হয়েছে
  • কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ বন্ধকালীন সময়ে জেলেদের মাঝে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ

    • ৪ দিন আগের
    • ৬ বার পড়া হয়েছে
  • জুডো ফেডারেশনের সহকারী কোচ হলেন জবি শিক্ষার্থী আকিব

    • ৬ দিন আগের
    • ৫ বার পড়া হয়েছে
  • কাপ্তাই তথ্য অফিসের আয়োজনে রাজস্থলীতে ওয়িয়েন্টেশন কর্মশালা

    • ৩ দিন আগের
    • ৫ বার পড়া হয়েছে
  • আনোয়ারায় উপ-নির্বাচনকে ঘিরে বইছে উৎসবের আমেজ

    • ৩ সপ্তাহ আগের
    • ২৭২ বার পড়া হয়েছে
  • পরৈকোড়া ইউপি উপনির্বাচনে প্রকাশ্যে নৌকায় ভোট দিলেন বারখাইনের ইউপি সদস্য

    • ২ সপ্তাহ আগের
    • ১৩১ বার পড়া হয়েছে
  • চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী রাজনীতিতে রাজাকার কন্যার অনুপ্রবেশ; তৃণমূলে ক্ষোভ!

    • ৩ সপ্তাহ আগের
    • ১২৮ বার পড়া হয়েছে
  • সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর মাজার জেয়ারতে যাচ্ছেন রাউজানবাসী

    • ১৫ ঘন্টা আগের
    • ১০৮ বার পড়া হয়েছে
  • আনোয়ারায় উপনির্বাচনে আওয়ামীলীগের ২বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার

    • ৪ সপ্তাহ আগের
    • ৫৪ বার পড়া হয়েছে
  • হযরত শাহ্ মোহছেন আউলিয়া (রহঃ)বার্ষিক ওরছ আজ, অপরূপ সাজে সজ্জিত

    • ২ সপ্তাহ আগের
    • ৪৩ বার পড়া হয়েছে
  • পরৈকোড়া উপনির্বাচনে সুষ্ঠ নির্বাচনের দাবিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

    • ৩ সপ্তাহ আগের
    • ৪১ বার পড়া হয়েছে
  • আল-গিফারী (রাঃ) আদর্শ দাখিল মাদ্রারাসার পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান

    • ৩ সপ্তাহ আগের
    • ৪১ বার পড়া হয়েছে
  • রাঙ্গুনিয়ায় ঋণে টাকায় কাঁকরোল ক্ষেত,রাতের আঁধারে কেটে সাবাড় করলো দুর্বৃত্তরা

    • ৪ সপ্তাহ আগের
    • ৩৭ বার পড়া হয়েছে
  • আনোয়ারা পরৈকোড়া উপনির্বাচনে নৌকা প্রার্থীর জয়

    • ২ সপ্তাহ আগের
    • ৩৫ বার পড়া হয়েছে
  • রাঙ্গুনিয়ায় শিশু বলাৎকার, অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষককে কারাগারে প্রেরণ

    • ৪ সপ্তাহ আগের
    • ৩৪ বার পড়া হয়েছে
  • রাঙ্গুনিয়ায় মুজিবিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

    • ৪ সপ্তাহ আগের
    • ৩২ বার পড়া হয়েছে
  • রাঙ্গামাটি মেসার্স রজায়ী এন্টারপ্রাইজ শুভ উদ্বোধন

    • ৪ সপ্তাহ আগের
    • ৩২ বার পড়া হয়েছে
  • পুরুষের মর্নিং ইরেকশন উন্নত যৌন জীবন, স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকিমুক্তি নির্দেশক – বলছে গবেষণা

    • ২ সপ্তাহ আগের
    • ৩১ বার পড়া হয়েছে
  • সীতাকুণ্ড ট্রাজেডি ; নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩

    • ৪ সপ্তাহ আগের
    • ২৯ বার পড়া হয়েছে
  • চঞ্চল চৌধুরীর জাপান ডাক্তার চরিত্রে অভিনয় করে সবার মুখে মুখে এখন সাইমুম সাজিদ

    • ১২ মাস আগের
    • ২২৬১ বার পড়া হয়েছে
  • ইউটিউবে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে জনপ্রিয় লাভবার্ড কাপল

    • ১১ মাস আগের
    • ১৭৪৬ বার পড়া হয়েছে
  • ফটোগ্রাফার থেকে অভিনয়ে আসিফ আহমেদ আসিফ

    • ১০ মাস আগের
    • ১০৯১ বার পড়া হয়েছে
  • রামুতে ভাড়াটিয়ার হামলায় মার্কেট মালিক আহত

    • ১০ মাস আগের
    • ৯৭৯ বার পড়া হয়েছে
  • টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে বিষাক্ত মদপানে ৩ যুবকের মৃত্যু

    • ১১ মাস আগের
    • ৮৮৮ বার পড়া হয়েছে
  • ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগ নেতার উপহার সামগ্রী বিতরণ

    • ১১ মাস আগের
    • ৭০৫ বার পড়া হয়েছে
  • স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে দুধ দিয়ে গোসল করলেন যুবলীগ নেতা

    • ১০ মাস আগের
    • ৭০৩ বার পড়া হয়েছে
  • নতুন মিউজিক ভিডিও নিয়ে আসছেন অপু ও টুম্পা

    • ৯ মাস আগের
    • ৬০৮ বার পড়া হয়েছে
  • চট্টগ্রামে ড্রেনে নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবারকে সম্পূর্ণ ফ্রি আইনি সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিলেন এড.নজরুল চৌধুরী।

    • ১০ মাস আগের
    • ৫৪৭ বার পড়া হয়েছে
  • কচ্ছপিয়া তিতারপাড়া আন-নুর তরুন সংঘের কমিটি অনুমোদন

    • ১১ মাস আগের
    • ৫১৯ বার পড়া হয়েছে
  • সাবেক রাষ্ট্রদুত ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরীর ১১তম মৃত্যু বার্ষিকী ২৭ আগষ্ট

    • ১০ মাস আগের
    • ৪৯৪ বার পড়া হয়েছে
  • জবির আইএমএলের পরিচালক মোন্তাসির হাসানের বাবার পরলোকগমন

    • ১২ মাস আগের
    • ৪৭৬ বার পড়া হয়েছে
  • ভবিষ্যতে একজন ভালো অভিনেতা হতে চাই অর্নব জামান

    • ১১ মাস আগের
    • ৪৭৬ বার পড়া হয়েছে
  • নতুন চমক নিয়ে আসছেন এ জে আকাশ চৌধুরী,প্রিয়া ও রকি

    • ৯ মাস আগের
    • ৪৪৫ বার পড়া হয়েছে
  • রামুর কচ্ছপিয়ায় দরিদ্র বয়োবৃদ্ধ নুরুজ্জামানের রেকর্ডীয় জমি জবরদখলে মরিয়া আবুল ফজল

    • ১১ মাস আগের
    • ৪২৪ বার পড়া হয়েছে
Logo
শুক্রবার, ০১ জুলাই ২০২২ -|- ১৭ই আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ-বর্ষাকাল -|- ২রা জিলহজ, ১৪৪৩ হিজরি

মাদকমুক্ত সুস্থ জীবন গড়ি

জান্নাতুল মাওয়া শশী- মাদকের প্রতি আসক্তির বর্তমান পৃথিবীতে প্রধান একটি সামাজিক সমস্যা। যা একটি আত্মঘাতী আসক্তি। মাদকাসক্তির দেশের প্রাণ শক্তি যুব সমাজকে ধ্বংসের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের পথ কে বাধাগ্রস্ত করছে। মাদকের কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে অপরাধপ্রবণতা। সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার প্রধান অন্তরায় হিসেবে কাজ করছে মাদক। বর্তমান বাংলাদেশের ১০ জন তরুনদে মধ্যে ১ জন তরুণ মাদকাসক্ত। প্রতিদিন হাজারো তরুণ মাদকাসক্ত মামলায় আসামি হচ্ছেন। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমান বাংলাদেশের সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত যার ১৫ শতাংশ মানুষ উচ্চশিক্ষিত।

জান্নাতুল মাওয়া শশী, শিক্ষার্থী, সমাজকর্ম বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

বাংলাদেশ মাদকের উৎপাদন হয় না তবে সারা দেশে প্রতিবছর ৫০ হাজার কোটি টাকা মাদকের লেনদেন হয়ে থাকে। দেশের সীমান্তে ৫১২ পয়েন্ট দিয়ে আসছে ২৪ ধরনের মাদক। দেশের ৩০-৩৫ হাজার লোক মাদক আদান-প্রদানের কাজে জড়িত। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আনা হয় প্রতিদিন ৩০ লক্ষাধিক। ভেজাল মাদক তৈরি, মাদক সরবরাহ, মাদকবিরোধী নামের নানারকম কার্যক্রম চালিয়ে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য মেতে উঠেছে। মাদক ব্যবসায়ী মাদক গ্রহণের সাথে সাথে বিভিন্ন দুর্নীতিতে সাথে জড়িত। ৬৫ লাখ মাদকাসক্তের মাঝে ৮৭ভাগ পুরুষ ১৩ভাগ নারী মাদকগ্রহনকারী। ভারত ও মিয়ানমার থেকে প্রতিনিয়ত হাজারো মাদক প্রবেশ করছে বাংলাদেশে যা প্রগতিতে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে। সারাদেশে মাদক বর্তমানে একটি সংকট পূর্ণ রূপ নিয়েছে বেশি করে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশ সমূহ যেখানে অর্থনৈতিক অভাবে ভুগছে বহু সংখ্যক মানুষ। নিরাপত্তার অভাবে আটকানো যায় না বহু অপরাধ, এই পরিস্থিতিতে অপরাধের পথ অনেক বেশি সহজ হয়ে ওঠে। যার ফলে মাদক পাচার বাড়ে ও শিক্ষার ব্যবস্থা ব্যাহত হয়।

মাদক গ্রহণ করছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পর্যন্ত। মাদকাসক্তের প্রথম পদক্ষেপ যেখানে সিগারেট সেখানে বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ মানুষই সিগারেট গ্রহণ করে থাকেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মাদক ও ধূমপান করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি মারাত্মক বলে উল্লেখ করেছেন। ধূমপান করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিতে ১৪ গুণ বাড়িয়ে তোলেন ও মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। সাধারণত ধূমপান দিয়েই নেশা শুরু হয়। এরপর যথাক্রমে গাঁজা ফেনসিডিল ইয়াবা, এলএসডি অন্যান্য মাদক গ্রহণ করে থাকে। সমাজের তরুণ ও শিশুরাও মাদক গ্রহণের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। পথ শিশুদের একটি বড় অংশ মাদকাসক্ত। ঢাকা শহরের বেশির ভাগ পথশিশুরা মাদকে আসক্ত। মাদকের সংস্পর্শে আসার পেছনে বৃহৎ কারণ রয়েছে মাদকের সহজলভ্যতা, সমবয়সীদের চাপ, বেকারত্ব ও সামাজিক অবক্ষয়, সমাজের ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, পারিবারিক কলহ থেকে শুরু করে মা বাবার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হওয়া।

রাজধানী থেকে শুরু করে প্রতন্ত্য গ্রাম পর্যন্ত মাদকের ব্যবসা ছড়িয়ে পড়েছে। মাদক এখন বেশিরভাগ অপরাধ ‌সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। অধিকাংশ সামাজিক বিশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে হত্যাকাণ্ডের সাথে মাদক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত। দৈনিক পত্রিকার এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, নেশাখোর সন্তানের হাতে প্রায় ২০০ পিতা-মাতা খুন ও মাদকাসক্ত স্বামীর হাতে ২৫০ স্ত্রী খুন। মাদকাসক্ত সন্তানদের কারনে পরিবারে নেমে আসে কালো ছায়া। অনেক পিতা মাতাকে দেখা যায় মাদকাসক্ত সন্তানের বিরুদ্ধে থানায় মামলাও করতে হয়। মাদকের টাকা জোগাড়ের জন্য অনেক বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়। চুরি, ডাকাতি, লুট, রাহাজানিতে লিপ্ত হয়। মাদকাসক্ত তরুণেরা সমাজে কিশোর গ্যাং তৈরি করে ও চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি করে সমাজের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। ইদানীং প্রায় সড়ক দুর্ঘটনার কারণ চালকের মাদক গ্রহণ।
মাদকের কারণে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হাফিজ মাদকের প্রতিক্রিয়ায় নিজের গলা কেটে মৃত্যু, সিলেটে এমসি কলেজে স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রীকে কেড়ে নিয়ে ধর্ষণ, বস্ত্রহীন মহিলাকে নির্যাতন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরারকে পিটিয়ে হত্যা সহ যতগুলো ঘৃন্য, লোমহর্ষক অমানুষিক এই ধরনের কর্মকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে তারা সবাই মাদকাসক্ত।

পৃথিবীর কোন ধর্মই মাদক গ্রহণের অনুমোদন দেয়নি। ইসলামের দৃষ্টিতে সকল প্রকার মাদক দ্রব্যের ব্যবহার একটি জঘন্য ধর্মীয় ও সামাজিক অপরাধ। আর ইসলামের দৃষ্টিতে সকল প্রকার মাদক দ্রব্যের ব্যবহার একটি জঘন্য ধর্মীয় ও সামাজিক অপরাধ। তাই ইসলামী শরীআতে মদ্যপান সম্পূর্ণ ভাবে হারাম ও নিষিদ্ধ বলে ঘোষিত হয়েছে। হাদীস শরিফে বর্ণিত আছে মদ ও ঈমান একত্র হতে পারে না (নাসাঈ শরিফ)। অর্থাৎ কোন মুসলমান মদ গ্রহণ ও বহন করতে পারে না। মাদক দ্রব্য গ্রহণের ফলে, ফুসফুস ও মস্তকের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে থাকে। হৃদয় স্পন্দন ও নাড়ির গতি বৃদ্ধি পায়, চোখ রক্ত বর্ণ হয় এবং মুখ ও গলা শুকিয়ে আসে। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অকেজো হয়ে যায়। এতে হজম শক্তি বিনষ্ট হয়, খাদ্যস্পৃহা কমে যায় মানবদেহে ক্রমাগত অপুষ্টি বাসা বাধতে থাকে। স্থায়ী কফ, কাশি এবং যক্ষারোগের সৃষ্টি হয়। মাদকদ্রব্য ব্যবহারে মানুষের বিবেক বুদ্ধির ওপর দারুণ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। বিবেক বুদ্ধি লোপ পায়, হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। একজন মাদকাসক্তের জন্য দৈনিক প্রচুর টাকার প্রয়োজন হয়। মদ্যপানে প্রচুর ধন-সম্পদ অপব্যয় ওঅপচয় হয়। অপব্যয় মারাত্মক অপরাধ। ইসলামে সর্বপ্রকার অপব্যয় বর্জনীয়। আল্লাহ তা’আলা অপব্যয়ীকে শয়তানের ভাই বলে আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহ তা’আলা ঘোষণা করেন: “নিশ্চয়ই অপব্যয়কারিগণ শয়তানের ভাই (বনী ইসরাঈল: ২৭) আর অপচয় থেকেই শুরু হয় অবৈধ উপার্জনের লোভ লালসা। মাদকাসক্ত তার মাদকের ব্যয় সংকুলানের জন্য নানা রকম দুর্নীতি, অসামাজিক ও অপরাধমূলক কার্যকলাপের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়ে। মদ পান করে মানুষ নিকৃষ্টতর কর্মকাে ও পাপাচারে লিপ্ত হয়। অধিকাংশই বিষধর মমাদকের ফলে পরিবেশ দূষিত, যৌনশক্তি লোপ, দুঃখ-দারিদ্র্য বৃদ্ধি, ইবাদতে বাধা সৃষ্টি করে। আল্লাহ তা’আলা ঘোষণা করেন, “নিশ্চয়ই শয়তান মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে চায় এবং তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ ও সালাত হতে বিরত রাখতে চায়। তবুও কি তোমরা তা থেকে নিবৃত হবে না? (আল-মায়িদাঃ৯১) মহানবী (সঃ) বলেন মাদকাসক্তি ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না। মহানবী (স) অন্যত্র বলেন: “আল্লাহ তা’আলা লানত দিয়েছেন মদকে, তার পানকারীকে, পান করানকারীকে, বিক্রেতাকে, ক্রেতাকে, তৈরিকারীকে যা, দ্বারা তা তৈরি করা হয় তাকে, বহনকারীকে, যার কাছে তা বহন করা হয় তাকে (আবু দাউদ, ইবনে মাজা)।

সচেতনতা বৃদ্ধি মাদক নিয়ন্ত্রণে সব থেকে বড় ভূমিকা রাখবে। মাদক ব্যবসায়ীদের প্রাপ্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, অপসংস্কৃতি বন্ধের আহ্বান করতে হবে। বর্তমানে সরকার বাংলাদেশে ডোপ টেস্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে যা যুবসমাজকে মাদক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে। মাদকাসক্তগ্রস্তদের নিরাময়ের জন্য সরকারি ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে যেখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা আরো ভালো মানের করা জরুরি। আজ মাদক সেবন ও পাচার বিরুদ্ধ দিবসে আমাদের একটাই দাবি, “নেশা ছেড়ে কলম ধরি, মাদকমুক্ত সমাজ গড়ি”।

পরিবারেই একটি শিশুর প্রথম বিকাশ ঘটে তাই সন্তানের প্রতি পিতা মাতার ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। তাদের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য পালন করতে হবে। সন্তানকে সঠিক পর্যাপ্ত সময় দিয়ে ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের শরীক হয়। সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করি ও সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার বিষয়গুলোর সম্পর্কে বোঝায় যেনো মাদকের ক্ষতিকর সামাজিক প্রভাব থেকে আগামী ভবিষ্যত শিশুরা মুক্তি পায়।

জান্নাতুল মাওয়া শশী, শিক্ষার্থী, সমাজকর্ম বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

0Shares

Contact Us

Email – sadinbangla71tv@gmail.com

© ২০১৯ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি

  • About Us
  • Contact
  • Privacy Policy
  • Faq
  • Terms and Condition
  • Sitemap