শুক্রবার, ০১ জুলাই ২০২২, ০১:০০ অপরাহ্ন
১৭ই আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ-বর্ষাকাল | ২রা জিলহজ, ১৪৪৩ হিজরি
  • Home
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • বিভাগীয় সংবাদ
    • খুলনা বিভাগ
    • চট্টগ্রাম বিভাগ
    • ঢাকা বিভাগ
    • বরিশাল বিভাগ
    • ময়মনসিংহ বিভাগ
    • রাজশাহী বিভাগ
    • সিলেট বিভাগ
  • অপরাধ দুর্নীতি
    • আইন আদালত
  • খেলাধুলা
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • বিবিধ
  • দুর্ঘটনা
  • বিনোদন সংবাদ
  • দেশ জুড়ে
  • চট্টগ্রাম বিভাগ
    • পার্বত্য জেলা
    • রাঙ্গুনিয়া
    • রাউজান
  • শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান
  • ছোটগল্প

মানুষের চেয়েও অদৃশ্য করোনা শক্তিময়

প্রকাশিত- সোমবার ৫ জুলাই ২০২১, ১২৩ বার পড়া হয়েছে

মো:পারভেজ সরকার, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

লেখকঃ এম.দুলাল উদ্দিন আহমেদ,সাংবাদিক- ভয়ানক করোনা মহামারীতে জর্জরিত সারা বিশ্বের মানুষের মতো আজ বাংলাদেশের মানুষের জীবন। বাংলাদেশসহ বিশ্বের উন্নত-অনুন্নত- উন্নয়নশীল সব রাষ্ট্র যেন আজ অদৃশ্য এক পরজীবির আক্রমণে করুণ অবস্থা। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস তার ভয়াবহতা দিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে পুরো বিশ্ব জুড়েই। ১৯ মাস জুড়ে করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবে দেশ আজ লন্ডভন্ড। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের উহান প্রদেশে এই ভাইরাসের সর্বপ্রথম উৎপত্তি ও শনাক্ত হলেও খুব দ্রুত সময়ে ছড়িয়ে পড়ে পুরো বিশ্বেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে অর্থাৎ ২০২০ সালের ১১ই মার্চ রোগটিকে বৈশ্বিক মহামারী হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও পরিসংখ্যানে দেখা গেছে,করোনা ভাইরাস ২০২০ সালের এপ্রিলের মধ্যে ১৯০ টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আর আমাদের বাংলাদেশও এই মহামারী থেকে রেহাই পায়নি। ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী বা কোভিড-১৯ পজেটিভ শনাক্ত হয়। প্রথমদিকে সংক্রমণের হার কম থাকলেও পর্যায় ক্রমে তা বাড়তে থাকে,বাড়তে থাকে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর সংখ্যাও। মহামারির প্রকোপ এড়াতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম বারের মতো সরকার সাধারণ ছুটি ও লকডাউন ঘোষণা করেছিলো। পরবর্তী পরিস্থিতি বিবেচনায় তা দফায় দফায় বাড়ানো হয়। আর স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রেও ছিল কড়াকড়ি।দীর্ঘদিন লকডাউনের ফলে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিপর্যস্ততা কমিয়ে আনতে সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে গতবছর পহেলা জুন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যতীত সীমিত পরিসরে সব প্রতিষ্ঠান চালু রাখে।

২০২০ সালের নভেম্বর মাসের শেষের দিকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারিতে সংক্রমণের হার নিম্নমুখী ছিল। ফের গত মার্চের শেষের দিক থেকে করোনা মহামারী আমাদের দেশে পূর্বের চেয়ে আরো অধিক আগ্রাসী হয়ে উঠে। এতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যাও গত বছরের তুলনায় অনেক বেশী দেখা দেয় এদিকে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতি খামখেয়ালিপনার জন্য বর্তমানে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে যা আগের চেয়েও বেশি মারাত্মক। বাংলাদেশ আজ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শিকার হয়েছে। করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউ সংক্রমণের হার আশংঙ্কাজনকভাবে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। প্রতিদিন সনাক্ত রোগীর সংখ্যা জ্যামিতিক হারে যেমন বাড়ছে  তেমনি  বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এদিকে বাংলাদেশে এ বছরের শুরুতে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ের হাতিয়ার হিসাবে কোভিড ১৯ প্রতিরোধী ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়েছিল যার আনুষ্ঠানিক যাত্রা ৭ ফেব্রুয়ারী থেকে। ভারতের সাথে চুক্তি করে প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে ছয় মাসে ৩ কোটি ডোজ পাওয়ার কথা বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৫৪ লাখ মানুষ ঠিকা পেয়েছে আর ইচ্ছুক ৬৮ লাখেরও বেশী মানুষ ঠিকা নিতে পারেনি। এর পর চীন টিকা দিয়েছে,যার প্রয়োগও শিক্ষার্থীদের দিয়ে শুরু হয়েছে এবং এটিকা পর্যায়ক্রমে কারা পাবেন সে বিষয়েও  সরকারের পক্ষ থেকে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন শুধু মাত্র ভ্যাকসিন গ্রহন করে সম্পূর্ণ করোনা নির্মূল হবে এমনটি নয়। তাই ভ্যাকসিন গ্রহণের পরও করোনার প্রকোপ এড়াতে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বাংলাদেশের চারদিকের তিনভাগই ভারত। সে হিসাবে বাংলাদেশকে ঘর বিবেচনা করা হলে ভারতকে বলা হয় পাশ্ববর্তী কিংবা পাশের ঘর। তাই ভারতে করোনার এই করুন পরিনতি বাতাসের মতো বাংলাদেশে প্রবেশ করে  ভয়ংকরে রুপ নিয়েছে। এদিকে করোনা বিগত দিনের তুলনায় বর্তমানে দেশে ভয়াবহ রুপ নেওয়ায়  আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়ায় হাইফ্লো,নেজাল ক্যানুলা, ভেন্টিলেটর ও আইসিইউর চাহিদা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় অক্সিজেনের চাহিদাও বহুগুণ বেড়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশে ২০% অক্সিজেন ভারত থেকেই আসে। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে হাসপাতালে বেডসহ মেডিকেল অক্সিজেনের সংকট দেখা দিয়েছে। এর থেকে অনুমেয় বাংলাদেশের অবস্থা যদি ভারতের ন্যায় হয় তখন দেশের পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা কেবল কল্পনাতীত। এখন বাংলাদেশে কোভিড বিপর্যয়ে করোনা টেস্টিং ও কিটের স্বল্পতা সহ করোনা চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকট দেখা দিয়েছে। যার ফলে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে দেশের চিকিৎসক ও চিকিৎসা ব্যবস্থা।  পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বেসামাল করোনা পরিস্থিতি এতই ঊর্ধ্বমুখী ও ভয়াবহতার জন্য শঙ্কিত ছিল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ভারতের ভয়াবহতার ঢেউ এসে লাগে বাংলাদেশে। বর্তমানে বাংলাদেশের ভয়াবহ অবস্থা আশাঙ্কাজনক । অন্যদিকে  ইতোমধ্যে আমাদের দেশে রাজধানী সহ সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে আইসোলেশন বেড,নরমাল বেড ও অক্সিজেন সরবরাহের সংকট দেখা দিয়েছে। কোভিড ১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেশী বৃদ্ধি পাওয়ায় মহাখালীতে স্থপিত হয়েছে অস্থায়ী হাসপাতাল আর চট্টগ্রামে স্থপিত হয়েছে চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল। আবার অনেকে হাসপাতালে বেড না পেয়ে ঘরে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।  প্রতিদিন সারা দেশের প্রতিটি হাসপাতালে করোনা রোগির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেডের অভাবে হাসপাতালের বারান্দা ও ফ্লোরে অবস্থান নিচ্ছে রোগিরা। করোনা রোগির সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসা প্রদানে হিমসিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা। আর অক্সিজেন পাওয়াও দুষ্কর হয়ে উঠেছে। 

করোনা ভাইরাসের গণসংক্রমণ বর্তমানে বাংলাদেশে প্রবলভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার গত ৭ এপ্রিল থেকে লকডাউন ও দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। পরে অফিস আদালতসহ দুরপাল্লার পরিবহন আবার চালু করলে পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে চলে যায়। এতে পরিস্থিতির সার্বিক বিবেচনায় দফায় দফায় লকডাউন বাড়ানো হলেও পরিস্থিতি আরো ভয়ানক হওয়ায় ১  জুলাই থেকে সারাদেশে ঔষধ ও কাঁচা বাজারসহ খাদ্যের দোকান গুলো ৫টা পর্যন্ত খোলা রেখে একযোগে পরিবহনসহ সরকারি,বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত সকল প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত,দোকানপাট,শপিংমল,হোটেল-রেস্তোরা বন্ধ ঘোষনা করে কঠিন লকডাউন দিয়েছে সরকার। এমনকি বিনা প্রয়োজনে মানুষকে বাসা-বাড়ী থেকে বের হতে নিষেধাজ্ঞা জারী করে পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি মাঠে নিয়োজিত রেখেছেন। তাদের সাথে মাঠে আছেন পৃথক-পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার জন্য নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। এখন আমাদের দেশে চিকিৎসা সেবায় আইসিউ সহ চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকট দেখা দিয়েছে আর এ পরিস্থিতির শেষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা আগাম বলা যাচ্ছে না। শুধু মাত্র গণপরিবহন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেই লকডাউন ঘোষণার মাধ্যমে করোনার ভয়াবহ প্রকোপ এড়ানো কখনও সম্ভব নয়,বিধায় সবকিছু বিবেচনা করে সরকার কঠোর লকডাউন দিতে বাধ্য হয়েছেন। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনা প্রতিরোধে সর্বনিম্ন ৩ হাত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে যা আমাদের দেশে মেনে চলার কোন চিহ্নও নেই। সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদপত্র ও মিডিয়ায় প্রকাশিত দেশের রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরের শপিংমলে স্বাস্থ্যবিধিহীন যে জনসমাগমের ছবি দেখা গেছে তা দেশে করোনা পরিস্থিতি বেসামল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ছিল একটি নমুনা। অন্যদিকে ভারত নিজেদের দেশে অক্সিজেন সরবরাহে সংকট পরিস্থিতির স্বীকার হওয়ায় ভারতের বেশ কয়েকটি প্রদেশ নিজেদের প্রদেশ ও দেশের বাইরে অক্সিজেন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করছে। যার কারণে অনাগত দিনে করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অক্সিজেনের তীব্র সংকট দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা দিল্লির মতো নাজুক পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বললেও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষেরা স্বাস্থ্যবিধি তথা মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড গ্লাভস, স্যানিটাইজার ব্যবহার,সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা,ঘন ঘন হাত ধোঁয়া ও প্রয়োজন ব্যতীত বাইরে যাওয়া কোন কিছুরই তোয়াক্কা করছে না।বরং পূর্বের চেয়েও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতি আরো অনীহা ও বেখেয়ালিপনা দেখা দিয়েছে। আর বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতি প্রশাসনের কড়াকড়ি ও জোর সচেতনতাও কমে গেছে। ফল স্বরুপ ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা।এভাবে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা যদি চলমান থাকে বাংলাদেশকে বরণ করে নিতে হবে দিল্লির মতো লাশের নগরীর করুন পরিনতি। আমরা মানুষ হিসাবে নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে ও পরিস্থিতি বিবেচনায় সচেতন হতে পারিনি। বর্তমানে দেশের করোনা পরিস্থিতি দিল্লির মতো নাজুক না হলেও ভারতে সনাক্ত হওয়া কোভিড ১৯ এর নিত্য নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলো যদি কোন ভাবেই বাংলাদেশে প্রবেশ করে তাহলে দেশের অবস্থা কতোটা ভয়াবহ হবে তা অনুমান করাই যায়। আর মেডিকেল অক্সিজেন লিন্ডের দুটি ইউনিট বন্ধ হয়ে গেলে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হতে পারে বাংলাদেশ। ভারতের আগে শীর্ষ করোনা আক্রান্ত ও মৃতুর রেকর্ড গড়া দেশ ইতালির পাশ্ববর্তী দেশ স্পেন,স্পেন তথা ফ্রান্সের পাশ্ববর্তী দেশ ইংল্যান্ড এবং আমেরিকার পাশ্ববর্তী দেশ মেক্সিকো প্রভৃতি কোভিড আক্রান্ত দেশের পাশ্ববর্তী দেশ গুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণে সেখানকার মৃত মানুষের শেষকৃত্য করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। কোভিড ১৯ এর সঙ্গে মানুষের লড়াই চলছে ১৯ মাস জুড়ে। সেখানে মানুষের চেয়েও অদৃশ্য করোনা শক্তিময়। কোভিড ১৯ এখনও পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়নি বরং এটি দিন দিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই আমাদেরকে করোনার তীব্রতা কমাতে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে,সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমে মারাত্মক ছোঁয়াছে এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার হার অনেকাংশে কমানো যায়। সব সময় মাস্ক পরিধান করতে হবে,জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে,বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, ঘন ঘন হাত পরিষ্কার করতে হবে, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে,ফলমূল ও খাবার সব সময় জীবানু মুক্ত করে খেতে হবে। নিজেকে ও নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে আশপাশে পরিষ্কার রাখতে হবে। পরিবারের বৃদ্ধ ও শিশুদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। শপিংমল না গিয়ে প্রয়োজনে অনলাইনে কেনাকাটা করতে হবে। ভিটামিন সি ও ডি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পাশাপাশি জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এছাড়াও পরিসংখ্যান বলছে গ্রামাঞ্চলের চেয়ে শহরাঞ্চলে করোনার আক্রমণ বেশী তাই শহরাঞ্চলের মানুষদের জোর সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।

সর্বোপরি সবাইকে অবশ্যই নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হবে কেননা করোনা প্রতিরোধে ব্যক্তিসচেতনতার বিকল্প নেই। জনসাধারণের মাঝে বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাতে প্রশাসনেরও বিশেষ জোর দেওয়া অব্যাহত রাখতে হবে। সরকার তথা প্রশাসন কর্তৃপক্ষকে দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশের কম পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ মানুষকে ঠিকার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। একইভাবে বর্তমান ভারতের পরিস্থিতি বিবেচনা করে জনকল্যাণমুখী যুগোপযোগী সিদ্ধান্তগ্রহণ করে ও মেডিকেল অক্সিজেনের পর্যাপ্ত মজুদ সহ করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মতো কার্যকরী উদ্যোগ নিয়ে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার পদক্ষেপ ত্বরান্বিত করতে হবে। তাহলে বেঁচে যাবে অনেক প্রাণ, দিল্লির মতো স্বজন হারানোর বেদনায় ভারী হবে না বাংলার আকাশ। চলুন সবাই করোনা মহামারী প্রতিরোধে নিজেদের ও দেশের কল্যাণে নিজে সচেতন হই এবং অন্যকে সচেতন হতে উৎসাহিত করি। তাহলে করোনার ভয়াবহতার ক্ষতি থেকে মুক্তি পাবো আমরা ও আমাদের দেশ।

0Shares
Same Categories More Post
  • রাতের অতিথি | বনব্রতি সেন

    • ২ বছর আগের
    • ২১০ বার পড়া হয়েছে

    লেখকঃ বনব্রতি সেন, পাঠিয়েছেন মোঃ রিমন মোল্লা, উপজেলা প্রতিনিধি (বেতাগী উপজেলা)

    রনি বি এসসি ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। বাবা মার একটাআরও পড়ুন...

  • কোতোয়ালি থানা সিএমপি

    • ২ বছর আগের
    • ২০৩ বার পড়া হয়েছে

    লেখক Neil Chowdhury

    চট্টগ্রাম শহরের নিরাপত্তা থাকে নিয়োজিত,,
    সিএমপি কোতোয়ালি নামেই সবার কাছে পরিচিত,,
    ১৬ ভাগে বিভক্ত হয়ে করছেন সবাইআরও পড়ুন...

  • তৃণমূল পর্যায়ে করোনার ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা রাউজানের জমির উদ্দীন পারভেজ

    • ২ বছর আগের
    • ১৮২ বার পড়া হয়েছে

    লেখকঃ এ.এইচ.এম. একরামুল হক নাহিদ।

    বিশ্ব থমকে গেছে,কিন্তু প্রকৃতি তার পুরোনো রূপে আরোহণ করছে,প্রকৃতির পুজারী মানুষআরও পড়ুন...

  • ভাবনায় আমি- পর্ব ০৪-মুহাম্মদ আবু ঈসা

    • ১ বছর আগের
    • ১৫০ বার পড়া হয়েছে

    লেখক: মুৃহাম্মদ আবু ঈসা, সাবেক ভিপি চট্টগ্রাম আইন কলেজ- আজকের বিষয় বস্তু হতাশা মানুষের মাঝে বিভিন্ন রকম হতাশা বিরাজ করে কিছু হতাশা গ্রস্তআরও পড়ুন...

  • সফল সকাল পেতে হলে ফজলুর রহমান

    • ২ বছর আগের
    • ১৫৭ বার পড়া হয়েছে

    সকলের সামনে সকাল নানা সাজে নিত্য আসে। এই সকাল কখনো দু:খের বার্তাবহন করে । এই যেমন জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, "এ কোন সকাল রাতেরআরও পড়ুন...

  • মেঘের আড়ালে শুভ্র চাঁদ

    • ২ বছর আগের
    • ৪০২ বার পড়া হয়েছে

    মহল্লার তিন রাস্তার মাথা—তেমহনি।
    মামুন ভাই গা এলিয়ে বসে আছেন। চেহারায় ক্লান্তি। পায়ে রক্তের আনাগোনা কম, সাদাটে হয়ে গেছে। হাতগুলোরও একই অবস্থা।

  • মৃত্যুর চেয়ে সম্মান বড়//সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি ।

    • ১ বছর আগের
    • ৩০৭ বার পড়া হয়েছে


    গত কয়েকদিন ধরে লিখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু লিখার মতো শারীরিক সামর্থ্য না থাকাতে পারিনি। আজ একটু ভালো লাগছে। আলহামদুলিল্লাহ। ডাক্তার বলেছে আমার রিপোর্ট ভালো।আরও পড়ুন...

  • জীবন একটি শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়|পারভীন আকতার শিক্ষক কবি ও প্রাবন্ধিক চট্টগ্রাম

    • ১ বছর আগের
    • ২৪০ বার পড়া হয়েছে


    আমার অভিজ্ঞতাই আমাকে শক্তি দেয়।জীবনটাকে চিনেছি পরতে পরতে। ঢুকরে ঢুকরে কেঁদে,পুড়ে শক্ত হয়েছি। বারবার পড়ে গেছি আবারআরও পড়ুন...

  • সব চেয়ে ভয়াবহ মানবেতর জীবন কাঠাচ্ছে কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারীরা

    • ১ বছর আগের
    • ১৩৩৯ বার পড়া হয়েছে

    কলামিস্টঃ আবু তাহের – এই শিক্ষিত সমাজ,বলতে গেলে নিন্মবিত্ত্ব,মধ্যবিত্ত্ব পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য।পরিবারের এক একেকটা চালিতা শক্তি।বিগত এক বছর যাবৎ,তাদের নীরব কান্না,গোপনে অশ্রু মোচনআরও পড়ুন...

  • বিয়ানীবাজারে একটি রাইস মিলের ইতিহাস কথা

    • ২ বছর আগের
    • ২১২ বার পড়া হয়েছে

    লেখক : সাত্তার আজাদ বিয়ানীবাজার

    রাইস মিল বা ধান ভাঙার মেশিন। তখন খুব একটা যানবাহন চলত নাআরও পড়ুন...

top news
  • Weekly
  • Monthly
  • Yearly
  • সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর মাজার জেয়ারতে যাচ্ছেন রাউজানবাসী

    • ১৩ ঘন্টা আগের
    • ১০৮ বার পড়া হয়েছে
  • নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আজিজুল হক বাবুলকে ফুলেল শুভেচ্ছা

    • ৫ দিন আগের
    • ২১ বার পড়া হয়েছে
  • আগামীকাল দেশে আসছে প্রবাসী শুক্কুর’র লাশ

    • ৪ দিন আগের
    • ২০ বার পড়া হয়েছে
  • মাধবপুরে কৃষ্ণপুরের ব্রিজটি না হওয়াতে বিকল্প কাঠের সেতু তৈরী করে যানচলাচলে উপযোগী করছেন এলাকাবাসী

    • ১ দিন আগের
    • ১৬ বার পড়া হয়েছে
  • আনোয়ারায় বঙ্গোপসাগরে নৌ-পুলিশের অভিযানে নিষিদ্ধ জালসহ ৭ জেলে গ্রেপ্তার

    • ৫ দিন আগের
    • ১২ বার পড়া হয়েছে
  • সলঙ্গার হাটিকুমরুলে ভূমির নায্য মুল্যের দাবীতে আলোচনা সভা

    • ১ দিন আগের
    • ১০ বার পড়া হয়েছে
  • ঘরে তৈরি কেক বিক্রি করে লক্ষ টাকা আয় সাথীর

    • ১৭ ঘন্টা আগের
    • ১০ বার পড়া হয়েছে
  • পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে পুলিশের আনন্দ রেলি।

    • ৬ দিন আগের
    • ৭ বার পড়া হয়েছে
  • কাপ্তাইয়ে এমপির ঐচ্ছিক তহবিল হতে ২০ জনকে অনুদান প্রদান

    • ৪ দিন আগের
    • ৭ বার পড়া হয়েছে
  • উদ্বোধন হলো পদ্মা সেতু! নতুন উচ্চতায় দেশ

    • ৬ দিন আগের
    • ৭ বার পড়া হয়েছে
  • কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ বন্ধকালীন সময়ে জেলেদের মাঝে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ

    • ৪ দিন আগের
    • ৬ বার পড়া হয়েছে
  • উদ্বোধন হলো পদ্মা সেতু! অভিনন্দন জানালো বিশ্ব ব্যাংক

    • ৬ দিন আগের
    • ৬ বার পড়া হয়েছে
  • বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টি সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ!

    • ২ দিন আগের
    • ৬ বার পড়া হয়েছে
  • ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না দিয়ে বাকস্বাধীনতার প্রয়োগ করা উচিত:আলহাজ্ব সোলায়মান আলম শেঠ

    • ৪ দিন আগের
    • ৫ বার পড়া হয়েছে
  • কাপ্তাই ইউনিয়ন আওয়ালীগের আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

    • ৬ দিন আগের
    • ৫ বার পড়া হয়েছে
  • আনোয়ারায় উপ-নির্বাচনকে ঘিরে বইছে উৎসবের আমেজ

    • ৩ সপ্তাহ আগের
    • ২৭২ বার পড়া হয়েছে
  • পরৈকোড়া ইউপি উপনির্বাচনে প্রকাশ্যে নৌকায় ভোট দিলেন বারখাইনের ইউপি সদস্য

    • ২ সপ্তাহ আগের
    • ১৩১ বার পড়া হয়েছে
  • চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী রাজনীতিতে রাজাকার কন্যার অনুপ্রবেশ; তৃণমূলে ক্ষোভ!

    • ৩ সপ্তাহ আগের
    • ১২৮ বার পড়া হয়েছে
  • সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর মাজার জেয়ারতে যাচ্ছেন রাউজানবাসী

    • ১৩ ঘন্টা আগের
    • ১০৮ বার পড়া হয়েছে
  • আনোয়ারায় উপনির্বাচনে আওয়ামীলীগের ২বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার

    • ৪ সপ্তাহ আগের
    • ৫৪ বার পড়া হয়েছে
  • হযরত শাহ্ মোহছেন আউলিয়া (রহঃ)বার্ষিক ওরছ আজ, অপরূপ সাজে সজ্জিত

    • ২ সপ্তাহ আগের
    • ৪৩ বার পড়া হয়েছে
  • আল-গিফারী (রাঃ) আদর্শ দাখিল মাদ্রারাসার পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান

    • ৩ সপ্তাহ আগের
    • ৪১ বার পড়া হয়েছে
  • পরৈকোড়া উপনির্বাচনে সুষ্ঠ নির্বাচনের দাবিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

    • ৩ সপ্তাহ আগের
    • ৪১ বার পড়া হয়েছে
  • রাঙ্গুনিয়ায় ঋণে টাকায় কাঁকরোল ক্ষেত,রাতের আঁধারে কেটে সাবাড় করলো দুর্বৃত্তরা

    • ৪ সপ্তাহ আগের
    • ৩৭ বার পড়া হয়েছে
  • আনোয়ারা পরৈকোড়া উপনির্বাচনে নৌকা প্রার্থীর জয়

    • ২ সপ্তাহ আগের
    • ৩৫ বার পড়া হয়েছে
  • রাঙ্গুনিয়ায় শিশু বলাৎকার, অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষককে কারাগারে প্রেরণ

    • ৪ সপ্তাহ আগের
    • ৩৪ বার পড়া হয়েছে
  • রাঙ্গামাটি মেসার্স রজায়ী এন্টারপ্রাইজ শুভ উদ্বোধন

    • ৪ সপ্তাহ আগের
    • ৩২ বার পড়া হয়েছে
  • রাঙ্গুনিয়ায় মুজিবিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

    • ৪ সপ্তাহ আগের
    • ৩২ বার পড়া হয়েছে
  • পুরুষের মর্নিং ইরেকশন উন্নত যৌন জীবন, স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকিমুক্তি নির্দেশক – বলছে গবেষণা

    • ২ সপ্তাহ আগের
    • ৩১ বার পড়া হয়েছে
  • সীতাকুণ্ড ট্রাজেডি ; নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩

    • ৪ সপ্তাহ আগের
    • ২৯ বার পড়া হয়েছে
  • চঞ্চল চৌধুরীর জাপান ডাক্তার চরিত্রে অভিনয় করে সবার মুখে মুখে এখন সাইমুম সাজিদ

    • ১২ মাস আগের
    • ২২৬১ বার পড়া হয়েছে
  • ইউটিউবে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে জনপ্রিয় লাভবার্ড কাপল

    • ১১ মাস আগের
    • ১৭৪৬ বার পড়া হয়েছে
  • ফটোগ্রাফার থেকে অভিনয়ে আসিফ আহমেদ আসিফ

    • ১০ মাস আগের
    • ১০৯১ বার পড়া হয়েছে
  • রামুতে ভাড়াটিয়ার হামলায় মার্কেট মালিক আহত

    • ১০ মাস আগের
    • ৯৭৯ বার পড়া হয়েছে
  • টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে বিষাক্ত মদপানে ৩ যুবকের মৃত্যু

    • ১০ মাস আগের
    • ৮৮৮ বার পড়া হয়েছে
  • ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগ নেতার উপহার সামগ্রী বিতরণ

    • ১১ মাস আগের
    • ৭০৫ বার পড়া হয়েছে
  • স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে দুধ দিয়ে গোসল করলেন যুবলীগ নেতা

    • ১০ মাস আগের
    • ৭০৩ বার পড়া হয়েছে
  • নতুন মিউজিক ভিডিও নিয়ে আসছেন অপু ও টুম্পা

    • ৯ মাস আগের
    • ৬০৮ বার পড়া হয়েছে
  • চট্টগ্রামে ড্রেনে নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবারকে সম্পূর্ণ ফ্রি আইনি সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিলেন এড.নজরুল চৌধুরী।

    • ১০ মাস আগের
    • ৫৪৭ বার পড়া হয়েছে
  • কচ্ছপিয়া তিতারপাড়া আন-নুর তরুন সংঘের কমিটি অনুমোদন

    • ১১ মাস আগের
    • ৫১৯ বার পড়া হয়েছে
  • সাবেক রাষ্ট্রদুত ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরীর ১১তম মৃত্যু বার্ষিকী ২৭ আগষ্ট

    • ১০ মাস আগের
    • ৪৯৪ বার পড়া হয়েছে
  • ভবিষ্যতে একজন ভালো অভিনেতা হতে চাই অর্নব জামান

    • ১১ মাস আগের
    • ৪৭৬ বার পড়া হয়েছে
  • জবির আইএমএলের পরিচালক মোন্তাসির হাসানের বাবার পরলোকগমন

    • ১২ মাস আগের
    • ৪৭৬ বার পড়া হয়েছে
  • নতুন চমক নিয়ে আসছেন এ জে আকাশ চৌধুরী,প্রিয়া ও রকি

    • ৯ মাস আগের
    • ৪৪৪ বার পড়া হয়েছে
  • রামুর কচ্ছপিয়ায় দরিদ্র বয়োবৃদ্ধ নুরুজ্জামানের রেকর্ডীয় জমি জবরদখলে মরিয়া আবুল ফজল

    • ১১ মাস আগের
    • ৪২৪ বার পড়া হয়েছে
Logo
শুক্রবার, ০১ জুলাই ২০২২ -|- ১৭ই আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ-বর্ষাকাল -|- ২রা জিলহজ, ১৪৪৩ হিজরি

মানুষের চেয়েও অদৃশ্য করোনা শক্তিময়

মো:পারভেজ সরকার, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

লেখকঃ এম.দুলাল উদ্দিন আহমেদ,সাংবাদিক- ভয়ানক করোনা মহামারীতে জর্জরিত সারা বিশ্বের মানুষের মতো আজ বাংলাদেশের মানুষের জীবন। বাংলাদেশসহ বিশ্বের উন্নত-অনুন্নত- উন্নয়নশীল সব রাষ্ট্র যেন আজ অদৃশ্য এক পরজীবির আক্রমণে করুণ অবস্থা। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস তার ভয়াবহতা দিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে পুরো বিশ্ব জুড়েই। ১৯ মাস জুড়ে করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবে দেশ আজ লন্ডভন্ড। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের উহান প্রদেশে এই ভাইরাসের সর্বপ্রথম উৎপত্তি ও শনাক্ত হলেও খুব দ্রুত সময়ে ছড়িয়ে পড়ে পুরো বিশ্বেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে অর্থাৎ ২০২০ সালের ১১ই মার্চ রোগটিকে বৈশ্বিক মহামারী হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও পরিসংখ্যানে দেখা গেছে,করোনা ভাইরাস ২০২০ সালের এপ্রিলের মধ্যে ১৯০ টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আর আমাদের বাংলাদেশও এই মহামারী থেকে রেহাই পায়নি। ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী বা কোভিড-১৯ পজেটিভ শনাক্ত হয়। প্রথমদিকে সংক্রমণের হার কম থাকলেও পর্যায় ক্রমে তা বাড়তে থাকে,বাড়তে থাকে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর সংখ্যাও। মহামারির প্রকোপ এড়াতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম বারের মতো সরকার সাধারণ ছুটি ও লকডাউন ঘোষণা করেছিলো। পরবর্তী পরিস্থিতি বিবেচনায় তা দফায় দফায় বাড়ানো হয়। আর স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রেও ছিল কড়াকড়ি।দীর্ঘদিন লকডাউনের ফলে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিপর্যস্ততা কমিয়ে আনতে সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে গতবছর পহেলা জুন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যতীত সীমিত পরিসরে সব প্রতিষ্ঠান চালু রাখে।

২০২০ সালের নভেম্বর মাসের শেষের দিকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারিতে সংক্রমণের হার নিম্নমুখী ছিল। ফের গত মার্চের শেষের দিক থেকে করোনা মহামারী আমাদের দেশে পূর্বের চেয়ে আরো অধিক আগ্রাসী হয়ে উঠে। এতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যাও গত বছরের তুলনায় অনেক বেশী দেখা দেয় এদিকে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতি খামখেয়ালিপনার জন্য বর্তমানে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে যা আগের চেয়েও বেশি মারাত্মক। বাংলাদেশ আজ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শিকার হয়েছে। করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউ সংক্রমণের হার আশংঙ্কাজনকভাবে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। প্রতিদিন সনাক্ত রোগীর সংখ্যা জ্যামিতিক হারে যেমন বাড়ছে  তেমনি  বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এদিকে বাংলাদেশে এ বছরের শুরুতে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ের হাতিয়ার হিসাবে কোভিড ১৯ প্রতিরোধী ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়েছিল যার আনুষ্ঠানিক যাত্রা ৭ ফেব্রুয়ারী থেকে। ভারতের সাথে চুক্তি করে প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে ছয় মাসে ৩ কোটি ডোজ পাওয়ার কথা বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৫৪ লাখ মানুষ ঠিকা পেয়েছে আর ইচ্ছুক ৬৮ লাখেরও বেশী মানুষ ঠিকা নিতে পারেনি। এর পর চীন টিকা দিয়েছে,যার প্রয়োগও শিক্ষার্থীদের দিয়ে শুরু হয়েছে এবং এটিকা পর্যায়ক্রমে কারা পাবেন সে বিষয়েও  সরকারের পক্ষ থেকে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন শুধু মাত্র ভ্যাকসিন গ্রহন করে সম্পূর্ণ করোনা নির্মূল হবে এমনটি নয়। তাই ভ্যাকসিন গ্রহণের পরও করোনার প্রকোপ এড়াতে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বাংলাদেশের চারদিকের তিনভাগই ভারত। সে হিসাবে বাংলাদেশকে ঘর বিবেচনা করা হলে ভারতকে বলা হয় পাশ্ববর্তী কিংবা পাশের ঘর। তাই ভারতে করোনার এই করুন পরিনতি বাতাসের মতো বাংলাদেশে প্রবেশ করে  ভয়ংকরে রুপ নিয়েছে। এদিকে করোনা বিগত দিনের তুলনায় বর্তমানে দেশে ভয়াবহ রুপ নেওয়ায়  আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়ায় হাইফ্লো,নেজাল ক্যানুলা, ভেন্টিলেটর ও আইসিইউর চাহিদা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় অক্সিজেনের চাহিদাও বহুগুণ বেড়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশে ২০% অক্সিজেন ভারত থেকেই আসে। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে হাসপাতালে বেডসহ মেডিকেল অক্সিজেনের সংকট দেখা দিয়েছে। এর থেকে অনুমেয় বাংলাদেশের অবস্থা যদি ভারতের ন্যায় হয় তখন দেশের পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা কেবল কল্পনাতীত। এখন বাংলাদেশে কোভিড বিপর্যয়ে করোনা টেস্টিং ও কিটের স্বল্পতা সহ করোনা চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকট দেখা দিয়েছে। যার ফলে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে দেশের চিকিৎসক ও চিকিৎসা ব্যবস্থা।  পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বেসামাল করোনা পরিস্থিতি এতই ঊর্ধ্বমুখী ও ভয়াবহতার জন্য শঙ্কিত ছিল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ভারতের ভয়াবহতার ঢেউ এসে লাগে বাংলাদেশে। বর্তমানে বাংলাদেশের ভয়াবহ অবস্থা আশাঙ্কাজনক । অন্যদিকে  ইতোমধ্যে আমাদের দেশে রাজধানী সহ সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে আইসোলেশন বেড,নরমাল বেড ও অক্সিজেন সরবরাহের সংকট দেখা দিয়েছে। কোভিড ১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেশী বৃদ্ধি পাওয়ায় মহাখালীতে স্থপিত হয়েছে অস্থায়ী হাসপাতাল আর চট্টগ্রামে স্থপিত হয়েছে চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল। আবার অনেকে হাসপাতালে বেড না পেয়ে ঘরে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।  প্রতিদিন সারা দেশের প্রতিটি হাসপাতালে করোনা রোগির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেডের অভাবে হাসপাতালের বারান্দা ও ফ্লোরে অবস্থান নিচ্ছে রোগিরা। করোনা রোগির সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসা প্রদানে হিমসিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা। আর অক্সিজেন পাওয়াও দুষ্কর হয়ে উঠেছে। 

করোনা ভাইরাসের গণসংক্রমণ বর্তমানে বাংলাদেশে প্রবলভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার গত ৭ এপ্রিল থেকে লকডাউন ও দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। পরে অফিস আদালতসহ দুরপাল্লার পরিবহন আবার চালু করলে পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে চলে যায়। এতে পরিস্থিতির সার্বিক বিবেচনায় দফায় দফায় লকডাউন বাড়ানো হলেও পরিস্থিতি আরো ভয়ানক হওয়ায় ১  জুলাই থেকে সারাদেশে ঔষধ ও কাঁচা বাজারসহ খাদ্যের দোকান গুলো ৫টা পর্যন্ত খোলা রেখে একযোগে পরিবহনসহ সরকারি,বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত সকল প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত,দোকানপাট,শপিংমল,হোটেল-রেস্তোরা বন্ধ ঘোষনা করে কঠিন লকডাউন দিয়েছে সরকার। এমনকি বিনা প্রয়োজনে মানুষকে বাসা-বাড়ী থেকে বের হতে নিষেধাজ্ঞা জারী করে পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি মাঠে নিয়োজিত রেখেছেন। তাদের সাথে মাঠে আছেন পৃথক-পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার জন্য নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। এখন আমাদের দেশে চিকিৎসা সেবায় আইসিউ সহ চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকট দেখা দিয়েছে আর এ পরিস্থিতির শেষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা আগাম বলা যাচ্ছে না। শুধু মাত্র গণপরিবহন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেই লকডাউন ঘোষণার মাধ্যমে করোনার ভয়াবহ প্রকোপ এড়ানো কখনও সম্ভব নয়,বিধায় সবকিছু বিবেচনা করে সরকার কঠোর লকডাউন দিতে বাধ্য হয়েছেন। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনা প্রতিরোধে সর্বনিম্ন ৩ হাত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে যা আমাদের দেশে মেনে চলার কোন চিহ্নও নেই। সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদপত্র ও মিডিয়ায় প্রকাশিত দেশের রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরের শপিংমলে স্বাস্থ্যবিধিহীন যে জনসমাগমের ছবি দেখা গেছে তা দেশে করোনা পরিস্থিতি বেসামল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ছিল একটি নমুনা। অন্যদিকে ভারত নিজেদের দেশে অক্সিজেন সরবরাহে সংকট পরিস্থিতির স্বীকার হওয়ায় ভারতের বেশ কয়েকটি প্রদেশ নিজেদের প্রদেশ ও দেশের বাইরে অক্সিজেন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করছে। যার কারণে অনাগত দিনে করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অক্সিজেনের তীব্র সংকট দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা দিল্লির মতো নাজুক পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বললেও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষেরা স্বাস্থ্যবিধি তথা মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড গ্লাভস, স্যানিটাইজার ব্যবহার,সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা,ঘন ঘন হাত ধোঁয়া ও প্রয়োজন ব্যতীত বাইরে যাওয়া কোন কিছুরই তোয়াক্কা করছে না।বরং পূর্বের চেয়েও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতি আরো অনীহা ও বেখেয়ালিপনা দেখা দিয়েছে। আর বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতি প্রশাসনের কড়াকড়ি ও জোর সচেতনতাও কমে গেছে। ফল স্বরুপ ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা।এভাবে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা যদি চলমান থাকে বাংলাদেশকে বরণ করে নিতে হবে দিল্লির মতো লাশের নগরীর করুন পরিনতি। আমরা মানুষ হিসাবে নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে ও পরিস্থিতি বিবেচনায় সচেতন হতে পারিনি। বর্তমানে দেশের করোনা পরিস্থিতি দিল্লির মতো নাজুক না হলেও ভারতে সনাক্ত হওয়া কোভিড ১৯ এর নিত্য নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলো যদি কোন ভাবেই বাংলাদেশে প্রবেশ করে তাহলে দেশের অবস্থা কতোটা ভয়াবহ হবে তা অনুমান করাই যায়। আর মেডিকেল অক্সিজেন লিন্ডের দুটি ইউনিট বন্ধ হয়ে গেলে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হতে পারে বাংলাদেশ। ভারতের আগে শীর্ষ করোনা আক্রান্ত ও মৃতুর রেকর্ড গড়া দেশ ইতালির পাশ্ববর্তী দেশ স্পেন,স্পেন তথা ফ্রান্সের পাশ্ববর্তী দেশ ইংল্যান্ড এবং আমেরিকার পাশ্ববর্তী দেশ মেক্সিকো প্রভৃতি কোভিড আক্রান্ত দেশের পাশ্ববর্তী দেশ গুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণে সেখানকার মৃত মানুষের শেষকৃত্য করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। কোভিড ১৯ এর সঙ্গে মানুষের লড়াই চলছে ১৯ মাস জুড়ে। সেখানে মানুষের চেয়েও অদৃশ্য করোনা শক্তিময়। কোভিড ১৯ এখনও পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়নি বরং এটি দিন দিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই আমাদেরকে করোনার তীব্রতা কমাতে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে,সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমে মারাত্মক ছোঁয়াছে এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার হার অনেকাংশে কমানো যায়। সব সময় মাস্ক পরিধান করতে হবে,জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে,বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, ঘন ঘন হাত পরিষ্কার করতে হবে, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে,ফলমূল ও খাবার সব সময় জীবানু মুক্ত করে খেতে হবে। নিজেকে ও নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে আশপাশে পরিষ্কার রাখতে হবে। পরিবারের বৃদ্ধ ও শিশুদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। শপিংমল না গিয়ে প্রয়োজনে অনলাইনে কেনাকাটা করতে হবে। ভিটামিন সি ও ডি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পাশাপাশি জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এছাড়াও পরিসংখ্যান বলছে গ্রামাঞ্চলের চেয়ে শহরাঞ্চলে করোনার আক্রমণ বেশী তাই শহরাঞ্চলের মানুষদের জোর সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।

সর্বোপরি সবাইকে অবশ্যই নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হবে কেননা করোনা প্রতিরোধে ব্যক্তিসচেতনতার বিকল্প নেই। জনসাধারণের মাঝে বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাতে প্রশাসনেরও বিশেষ জোর দেওয়া অব্যাহত রাখতে হবে। সরকার তথা প্রশাসন কর্তৃপক্ষকে দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশের কম পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ মানুষকে ঠিকার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। একইভাবে বর্তমান ভারতের পরিস্থিতি বিবেচনা করে জনকল্যাণমুখী যুগোপযোগী সিদ্ধান্তগ্রহণ করে ও মেডিকেল অক্সিজেনের পর্যাপ্ত মজুদ সহ করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মতো কার্যকরী উদ্যোগ নিয়ে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার পদক্ষেপ ত্বরান্বিত করতে হবে। তাহলে বেঁচে যাবে অনেক প্রাণ, দিল্লির মতো স্বজন হারানোর বেদনায় ভারী হবে না বাংলার আকাশ। চলুন সবাই করোনা মহামারী প্রতিরোধে নিজেদের ও দেশের কল্যাণে নিজে সচেতন হই এবং অন্যকে সচেতন হতে উৎসাহিত করি। তাহলে করোনার ভয়াবহতার ক্ষতি থেকে মুক্তি পাবো আমরা ও আমাদের দেশ।

0Shares

Contact Us

Email – sadinbangla71tv@gmail.com

© ২০১৯ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি

  • About Us
  • Contact
  • Privacy Policy
  • Faq
  • Terms and Condition
  • Sitemap