
কেশবপুরে করোনা সংক্রমণ রুখতে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ সর্বাত্মক নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন । রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ টহল দিচ্ছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। বিধি নিষেধ চলাকালে জেলা প্রশাসনের নির্দেশক্রমে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের বিধি-নিষেধ মেনে চলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। তারই ধারা বাহিকতায় সরকার ঘোষিত বিধি নিষেধ অমান্য করে ব্যবসা পরিচালনার করার অপরাধে কেশবপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৫ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। পৃথক পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম এম আরাফাত হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইরুফা সুলতানা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কেশবপুর পৌর শহর এলাকার সুকদেব দত্তকে ৫শত টাকা, শহরের বাঘ মোড় এলাকার মহানন্দা সিংহকে ২ হাজার টাকা, আলতাপোল এলাকার শহিদুল ইসলামকে ২শত টাকা, বালিয়াডাঙ্গা এলাকার শহিদুল ইসলামকে ২শত টাকা, উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকার আবু সাঈদকে ২শত টাকা, কাস্তা এলাকার ইউসুফ আলীকে ৫শত টাকা, মোমিনপুর এলাকার সোহেল মেহেদীকে ১ হাজার টাকা, টিটাবাজিদপুর এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনকে ১ হাজার টাকা, আওয়ালগাতী এলাকার শফিকুল ইসলামকে ১ হাজার টাকা জরিমান করা হয়। মোট ৯ টি মামলার বিপরীতে ৬ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
অপর দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরুফা সুলতানা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কেশবপুর এলাকার হাবিবুর রহমানকে ১ হাজার টাকা, রুহুল আমিনকে ৫শত টাকা, হোসেন আলীকে ২ হাজার টাকা, উপজেলা পাঁজিয়া এলাকার লাল্টুকে ১ হাজার টাকা, গোবিন্দকে ১ হাজার টাকা, আয়ুব হোসেনকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মোট ৬ টি মামলার বিপরীতে ৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।ভ্রাম্যমাণ আদালাত পরিচালনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও কেশবপুর থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন।