
আইসিসি সুপার লিগের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে ১৫৫ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-০ তে’ এগিয়ে গেল সফরকারী বাংলাদেশ। আজ হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে কোন রান যুক্ত করার আগেই হারিয়ে বসে অধিনায়ক তামিম ইকবালকে। নিজের পছন্দের পজিশন তিনে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দিলেও মুজরাবামির দ্বিতীয় শিকার হয়ে ১৯ রান করে ফিরেন সাকিব আল হাসান। এইদিন নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি মোহাম্মদ মিথুন এবং মোসাদ্দেক হোসেন। চারে ব্যাট করতে নেমে ১৯ রান করে দীর্ঘদিন পর জিম্বাবুয়ের জাতীয় দলে ফেরা চাতারার শিকার হয়ে ফিরেন মিথুন আর মোসাদ্দেক হোসেন ৫ রান করে ফিরেন এগারাবার শিকার হয়ে।
দ্রুত প্রথম সারির চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসা বাংলাদেশকে আশার আলো দেখায় ওপেনার লিটন দাশ এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পঞ্চম উইকেটের জুটি। ব্যক্তিগত ৩৩ রান করে লুক জঙ্গুয়ার বলে চাকাভার হাতে ক্যাচ দিয়ে মাহমুদউল্লাহ ফিরলে ভাঙে ৯৩ রানের ভয়ঙ্কর এই জুটি। মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে পর মাঠে নামা তরুন আফিফ হোসেনকে নিয়ে ৫০ রানের আরেকটি জুটি গড়েন লিটন। এনগারাবার দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ১১৪ বলে ৮ চারে ১০২ রান আসে লিটনের ব্যাট থেকে। লিটন বিদায় নিলেও মেহেদী হাসানের সঙ্গে ৫৮ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান আফিফ। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৭৬ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ৩৫ বলে ৪৫ রান আসে আফিফের ব্যাট থেকে আর ২৫ বলে ২৬ রান আসে মেহেদী হাসানের ব্যাট থেকে। জিম্বাবুয়ের হয়ে লুক জঙ্গুয়া নেন ৩টি উইকেট ২টি করে উইকেট নেন এনগারাবা এবং মজরাবামি একটি উইকেট নেন চাতারা।
বাংলাদেশের দেওয়া ২৭৭ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে পথ হারিয়ে বসে জিম্বাবুয়ে। নিজের নামের পাশে কোন রান যুক্ত করার আগে সাইফউদ্দিনের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফিরেন মারুমানি। অন্য ওপেনার তরুণ মাধভেরে ফিরেন ৯ রান করে তাসকিনের শিকার হয়ে। দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে বসা জিম্বাবুয়ের শুরুর ধাক্কাটা সামলে উঠতে চেয়েছিলো অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর এবং মেয়ার্সের ব্যাটে। তবে ব্যক্তিগত ১৮ রান করে শরিফুল ইসলামের শিকার হয়ে ফিরেন মেয়ার্স।
মেয়ার্সের বিদায়ের পর মাঠে আসা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান চাকাভাকে সঙ্গী করে ম্যাচে ফিরতে চেয়েছিলো অধিনায়ক টেইলর। তবে সাকিব আল হাসানের বলে তাসকিন আহমেদের তালুবন্ধী হয়ে ফিরেন ২৪ রান করে। টেইলরের বিদায়ে পর একসময় ৭৮-৩ উইকেট থাকা দলটি শেষ পর্যন্ত ব্যাটসম্যানদের আশা যাওয়ার মিছিলে মাত্র ১২১ রানে গুটিয়ে যায়। টেইলর-মেয়ার্স ছাড়া দুই অঙ্কের দেখা পেয়েছে কেবল মধ্যখানে একপাশ আগলে রেখে অর্ধশতক তুলে নেওয়া রিগাস চাকাভা। ৫১ বলে ৪টি চার আর ২ ছয়ে ৫৪ রান করে ফিরেন চাকাভা। বাংলাদেশের হয়ে সাকিব আল হাসান একাই শিকার করেন ৫টি উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ বাংলাদেশ ২৭৬/৯ (৫০ ওভার) লিটন ১০২ আফিফ ৪৫, জঙ্গুয়া ৩/৫১, মুজরাবামি ২/৪৭, জিম্বাবুয়ে ১২১/৯ (২৮.৫ ওভার) চাকাভা, ৫৪ টেইলর ২৪, সাকিব ৫/৩০ তাসকিন ১/২২ ফলাফলঃ বাংলাদেশ ১৫৫ রানে জয়ী। ম্যাচ সেরাঃ লিটন দাশ।