
চন্দনাইশে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আ’লীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়। গত ১৫ আগস্ট দিবসটি উপলক্ষে সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মুখে গার্ড অব অনার্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মধ্যদিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী, চন্দনাইশ থানা অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন সরকার, পৌর মেয়র মাহাবুবুল আলম খোকা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, উপজেলা আ’লীগ, পৌরসভা আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, ডিজিএম পল্লী বিদ্যুৎ, ইসলামী ফাউন্ডেশন, চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিস, আনসার ভিডিপি, মহিলা সংস্থা, চন্দনাইশ প্রেস ক্লাব, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, বঙ্গবন্ধ পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক স্কয়ার্ড, চন্দনাইশ স্পোটিং ক্লাব, চন্দনাইশ সংগীত নিকেতনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উপজেলা প্রশাসন: চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে কলংকিত দিন ১৫ আগস্ট। হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্ব-পরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কালিমালিপ্ত রক্তঝরা এ দিনেই জাতি হারিয়েছে তার গর্ব, ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে সেদিন বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সকল সদস্যদের হত্যা করা হয়। তারা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেই সব শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু তারা বুঝতে পারেনি বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। ১৫ আগস্ট যে ১৭ জনকে শহীদ করা হয়েছে তাদের শোককে শক্তিতে পরিনত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কিছু বিশ্বাসঘাতক রাজনীতিবিদদের চক্রান্ত, সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী উচ্চ বিলাসী সদস্যদের নির্মম বুলেটের আঘাতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সেদিন শাহাদত বরণ করেন তার সহধর্মীনি, দশ বছরের শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ ৩ ছেলে, দুই পুত্রবধু। প্রবাসে থাকায় সেদিন রক্ষা পেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা। সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য, নৃশংসতম, হত্যাকান্ডের মাধ্যমে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বাঙ্গালীর হাজার বছরের প্রত্যাশার অর্জন স্বাধীনতা এবং সব মহতী আকাঙ্খাকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। বাঙ্গালী ও বিশ্ববাসীর মানষপটে বঙ্গবন্ধু আজো স্বমহিমায় উজ্বল, তার দেশপ্রেম ও দেশাত্ববোধের কারণে মানুষের হৃদয়ে তিনি চিরভাস্কর হয়ে আছেন।
গত ১৫ আগস্ট উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, যথাক্রমে দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী, পৌর মেয়র মাহাবুবুল আলম খোকা, ভাইস চেয়ারম্যান মাও. সোলাইমান ফারুকী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এড. কামেলা খানম রূপা, থানা অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন সরকার, দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ জুনু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সহকারি কমিশনার ভূমি মাহফুজা জেরিন। আলোচনায় অংশ নেন, আ’লীগ নেতা যথাক্রমে আহসান ফারুক, বারব আলী ইনু, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, আবুল কাশেম বাবলু, মো.ইদ্রিস, চন্দনাইশ প্রেস ক্লাব সভাপতি এড. মো. দেলোয়ার হোসেন, চেয়ারম্যান যথাক্রমে আমিন আহমদ চৌধুরী রোকন, আলমগীরুল ইসলাম চৌধুরী, মোরশেদ আলম, যুবলীগ নেতা এম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, ইউআরসি ইন্সটেক্টর জাফর সানজিদা আকতার পপি, তথ্য কর্মকর্তা শাপলা আকতার। আলোচনা শেষে অসহায় ৩ জন মহিলাকে সেলাই মেশিন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৯ শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।