
সময় ঘনিয়ে আসছে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের। আইন অনুযায়ী ২০২১ সালের মার্চের তৃতীয় সপ্তাহের আগে ইউপি নির্বাচন শুরু আর শেষ করতে হবে জুনের আগেই, এমন কথা থাকলেও মহামারী করোনার কারণে এই সময়টা গড়িয়েছে এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ নিয়ে ইতোমধ্যে নির্বাচনের উপযোগী ইউনিয়ন পরিষদের তালিকা চেয়ে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এদিকে রাঙ্গুনিয়ায় এখনও নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না হলেও ইতিমধ্যে নির্বাচনকে ঘিরে বইছে আগাম নির্বাচনী হাওয়া। চায়ের দোকানে-দোকানে বইছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে বিশ্লেষণ। নড়েচড়ে উঠেছে চেয়ারম্যান ও সদস্য পদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। অনেকেই আগাম প্রচার প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। দলীয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের সমর্থন আদায়ে ব্যানার, ফেস্টুন ও চা-চক্রে নিজেদের জানান দিচ্ছেন অনেকেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমানতালে চলছে প্রচার-প্রচারণা। এর ধারাবাহিকতায় জনগনের সমর্থন ও দলীয় মনোনয়ন পেলে দক্ষিণ রাজানগর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ রাজানগর ৮নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি, সমাজসেবক এস এম ইদ্রিস। সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, আমাদের একমাত্র অভিভাবক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি মহোদয় আমাকে যোগ্য মনে করলে, দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়ন বাসীর দোয়া ও আশীর্বাদ নিয়ে আসন্ন ইউপি নির্বাচন শুরু করবো ইনশাআল্লাহ।
জানা যায়, এস এম ইদ্রিস বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক আলমশাহপাড়া শাখার সাবেক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন। বর্তমানে তিনি তৃতীয় বারের মতো উত্তর রাঙ্গুনিয়া ডিগ্রি কলেজ গর্ভনিং বডির সদস্য, তৃতীয় মেয়াদে বাংলাদেশ মানবাধিকার সংগঠন দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি, ১২বছর যাবত দক্ষিণ রাজানগর নুরানি তালীমুল কুরআন মাদ্রাসার সহ সভাপতি, ১০বছর যাবত দক্ষিণ রাজানগর এস এ বয়েজ ক্লাবের সভাপতি সহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কর্মকান্ড অত্যন্ত সৎ, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়াও তিনি সম্প্রতি করোনাকালীন সময়ে নিজস্ব তহবিল থেকে নিজ এলাকায় হত দরিদ্র পরিবার, উত্তর রাঙ্গুনিয়া ডিগ্রি কলেজে ও আলমশাহপাড়া কৃষি ব্যাংক শাখার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সহ সর্বমোট দুই শতাধিক মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
এলাকাবাসী জানান, মো. ইদ্রিস একজন ক্লিন ইমেজের মানুষ। এছাড়াও তার সহধর্মিণীও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওয়ার্ড আ.লীগের একনিষ্ঠ নারী কর্মী ছিলেন। তারা আরো বলেন, দলীয় সমর্থন দেয়া হলে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন পেশা-শ্রেনীর লোকজন সমর্থন করবেন এবং নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।