
করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ বিরতির পর খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। আমরা জানি, করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী প্রায় ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়া হয়েছে সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তারই প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা শুনে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছে শিক্ষার্থীরা। বলছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের কথা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ২০ মাস পর তাদের প্রথম সাক্ষাৎ। আড্ডা, পরিচয়, খাওয়া-দাওয়া, পরীক্ষা সংক্রান্ত আলাপচারিতা ও গল্প-গুজবে কাটে তাদের প্রথম সাক্ষাৎ। মনে হচ্ছে তারা আবারও নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে এবং তারই আমেজে বিরাজ করছে তাদের মাঝে। একে অপরকে এতো মাস পর কাছে পেয়ে যেন আনন্দের সীমা নেই। সবার মাঝেই পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। সময়ের সাথে মানুষ পরিবর্তনশীল তাই হয়তো এতো পরিবর্তন তাদের। অনেকটা লম্বা সময় বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়নি। তাই এতোদিন পর আবারও এক হতে পেরে আনন্দিত তারা। অনেকেই মুহুর্তগুলোকে ক্যামেরাবন্দী করে রাখছেন। কেউবা একে অপরের সাথে কুশল বিনিময় করছেন। দীর্ঘদিন দিন দেখা না হওয়ার কারণে একে-অপরের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। সবশেষে অনেকে আবার গ্রুপ করে আড্ডা খোশগল্পে মেতে উঠেছেন। তারা মনে করেন ক্লাসের যে আনন্দ উল্লাস এতদিন মিস করছিল তা আবারও ফিরে পাবে। এদিকে তাদের ক্লাস শুরু হবে আগামী ৭ নভেম্বর রবিবার থেকে। সেই আনন্দে তাদের প্রস্তুতির যেন শেষ নেই।
পুরনো স্মৃতি আর প্রিয় মানুষদের এতোদিন পর কাছে পাওয়ার অনুভূতি যেন অন্য রকম। করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে আবারো পড়াশুনা শুরু করতে চায় শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন পর সেই পরিচিত মুখ এবং পরিচিত ক্যাম্পাস দেখে যেন সবাই নতুনত্বের অনুভূতি পাচ্ছে। এতদিন অনলাইনে ক্লাস চললেও এখন থেকে সশরীরে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হয়ে ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে জেনে আনন্দিত ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তবে কারো কারো মাঝে হতাশার প্রতিচ্ছবি ও দেখা যায়। কারণ সামনের পরীক্ষা নিয়ে খুবই চিন্তিত তারা। একেই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস করার সুযোগ পায়নি। হয়তো রিভিউ ক্লাসে এসব দুশ্চিন্তা- হতাশা কেটে যাবে সবার। সর্বোপরি দীর্ঘ সময় পর একে অপরকে আবারও একসাথে পেয়েছে এটাই যেন আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া। আবারও সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং আড্ডা, গান-বাজনা, দুষ্টামীতে মেতে উঠবে। সুখে-দুঃখে সবসময় যেন অটুট থাকে তাদের এই বন্ধন।