
মযমনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় শিক্ষকের সাথে একটি মাহফিলে দেখা ১৬ বছর বয়সী মাদ্রাসা ছাত্রের। একসাথে দু’জনই ধর্মীয় আলোচনা শোনেন। এর মধ্যেই ছাত্রকে রাতের খাবারের জন্য নিজ বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান শিক্ষক। ছাত্রও শিক্ষকের আবদার ফেলতে পারেননি। মাহফিল শেষে দু’জনই রওনা হন। পরে ওই ছাত্র শিক্ষক আতাবুর রহমানের সাথে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির দিকে যাচ্ছিল।
পথে শিক্ষক আতাবুর রহমান ছাত্রের সাথে আপত্তিকর আচরণ শুরু করেন। এতে ওই ছাত্র বাধা দিলে শিক্ষক তাকে জোরপূর্বক বলাৎকারের চেষ্টা করেন। এ সময় ওই মাদরাসা শিক্ষার্থীর পাঞ্জাবির পকেটে থাকা নখ কাটার যন্ত্র দিয়ে শিক্ষকের বিশেষ অঙ্গ কেটে দেয়। পরে শিক্ষক চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বেতাগৈর ইউনিয়নের পলাশিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। আহত মাদরাসা শিক্ষক আতাবুর রহমান ওই এলাকার বাসিন্দা। এ দিকে বৃহস্পতিবার (২ রা ডিসেম্বর) রাত ১০ টার দিকে নান্দাইল থানায় এ ঘটনায় ছাত্রকে আসামি করে মামলা করেছেন আহত শিক্ষকের বাবা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, মামলার পর ওই মাদরাসা শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হবে। আহত শিক্ষক বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।