
বেশ কয়েকদিন থেকে মহেশখালী উপজেলাস্থ কালারমারছড়া ইউনিয়নের এক গৃহবধুকে মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এই গৃহবধুকে শ্বশুরবাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে গৃহবধূর পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮দিন আগে কালারমারছড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়া গ্রামে। তবে, গত শনিবার রাত ৯ টার দিকে প্রকাশ্যে আসে ঘটনাটি।
গৃহবধুর স্বামী তথা বাহার উদ্দিনের বড় ভাই আবু বক্কর জানান, গত ২১শে ডিসেম্বর রোজ বৃহস্পতিবার বাহার উদ্দিন টিউবওয়েলের কাজ করতে গিয়ে পায়ে মারাত্মক আঘাত পায়। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আঘাত পাওয়ার পর থেকে কাজকর্ম কিছুতে করতে পারছেন না। সে সময় থেকে পরিবারে অভাব অনটন লেগে আছে। স্ত্রীর চাহিদা কিছুতেই মেটাতে পারছেন না বাহার উদ্দিন। দিন-দিন মান-অভিমান বৃদ্ধি পায়। পরে মাইমুনা শাশুড়ি থেকে মাথায় দেওয়ার জন্য তেল চাওয়ার পর তেল না পাওয়াতে অভিমান করে। সুমাইয়া নামে এক শিশুকে টাকা দিয়ে দোকান থেকে ব্লেড নিয়ে আসা হয় এবং নিজের মাথার চুল নিজেই ন্যাড়া করে দেন।
শিশু সুমাইয়া জানান, গত ২২শে ডিসেম্বর রোজ শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে আমাকে টাকা দিয়ে আমার সেজে আম্মু দোকান থেকে ব্লেড নিয়ে আসতে বলেন। আমি দোকান থেকে ব্লেড নিয়ে এসে আমার সেজ আম্মুকে দিই। পরে বিকাল ৩ টার দিকে আমার সেজো আম্মু নিজের চুল নিজেই ন্যাড়া করে দেন।
এই ব্যাপারে গৃহবধূ মাইমুনা বলেন, আমার বিয়ের প্রায় ১ বছর পরে স্বামীর পরিবার সচ্ছলতায় ফিরে আসার জন্য আমার স্বর্ণ অলংকার দিয়ে নিয়ে ফেলা হয়। মাঝে মধ্যে অভাবে কারণে ঝগড়া হলে আমাকে মারধর করে আমার বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন টাকা নিয়ে আসার জন্য আমি বহুবার বাপের বাড়ি থেকে টাকা ও এনেছি। আমাকে দীর্ঘদিন ধরে আমার স্বামী ও শাশুড়ি শারিরীকভাবে নির্যাতন করে আসছে। এবং কয়েকবার মেম্বারের কাছে বিচার-সালিশ হয়। গত ২২শে ডিসেম্বর মাথায় তেল দেওয়া জন্য তেল চাওয়ার পরও তেল না দেওয়াতে আমি অভিমান করে নিজে মাথার চুল নিজেই ন্যাড়া করে দিই। ইউপি মেম্বার শরিফুল ইসলাম জানান, আমি গত একমাস আগেও রান্না করার জন্য কাঠ না থাকার বিষয়ে ঝগড়া হলে, সেটিও আমি সমাধান করেছি।