
প্রবাদ আছে, পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি’। যে কোনো ক্ষেত্রে সফলতার প্রথম শর্ত হল প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রম। তাই দর্শকদের ভাল কিছু উপহার দেওয়ার জন্য শুটিংয়ে হাড় ভাঙা পরিশ্রম করেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। যার বেশিরভাগই পর্দার আড়ালেই রয়ে যায়। তীব্র শীতে আচ্ছন্ন গোটা দেশ। এ অবস্থায় গরম জামা-কাপড় ছাড়া যেখানে ঘর থেকে বের হওয়াই দায়, সেখানে তীব্র শীতের মধ্যে টানা ১২ ঘণ্টা ধরে ভিজলেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা।

দেশের জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী বর্তমানে অভিনয় করছেন অরুণা বিশ্বাস পরিচালিত ‘অসম্ভব’ সিনেমায়। গত ২ ও ৩ জানুয়ারি সিনেমাটির একটি গানের শুটিং হয় মানিকগঞ্জে। গানটি হলো রবীন্দ্রনাথের ‘আজি ঝর ঝর মুখর বাদল দিনে’। আর এই গানটির দৃশ্যয়নে ঝুম বৃষ্টিতে ভিজতে হয় সিনেমার রেখা তথা সোহানা সাবাকে। যার জন্য ব্যবহার করা হয় রেইন মেশিন। এদিকে তীব্র শীতে টানা দুই দিনে ১২ ঘণ্টা ভিজে এই অভিনেত্রীর অবস্থা কাহিল। ঠাণ্ডায় গলা বসে গেছে তার। হাঁচি, কাশি এবং মৃদু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। তারপরও কাজটি ঠিকমতো করতে পেরে খুশি তিনি।
নায়িকা সােবা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অনেকেই বলে অভিনয় করা সবচেয়ে সহজ! হ্যাঁ, অবশ্যই সহজ কাজ যখন আপনি ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ১২ ঘণ্টা ধরে ভিজবেন একটি তিন মিনিটের গানের জন্য এই শীতের রাতে।’ অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘সারাদেশে এখন কী পরিমাণ শীত পড়ছে তা সবারই জানা। কিন্তু সিনেমার এই গানটির চিত্রায়নের প্রয়োজনে টানা ১২ ঘণ্টা ধরে তীব্র শীতের মধ্যে ভিজেছি। তখন তাপমাত্রা ছিলো প্রায় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টি দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে রেইন মেশিন।’
‘তারপরও কাজটি করতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। কারণ সিনেমার পরিচালক গুণী অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস আমাকে খুব সাহায্য করেছেন। হিট মেশিনে বারবার শরীর উষ্ণ করার চেষ্টা করেছেন। টাওয়েল জড়িয়ে দিয়েছেন। শুটিংয়ের এই দিনটির কথা আমার দীর্ঘদিন মনে থাকবে। দর্শকরাও কাজটি পছন্দ করবেন বলে বিশ্বাস।’ -যোগ করেন তিনি। জানা গেছে, সরকারি অনুদানে নির্মিত হচ্ছে ‘অসম্ভব’ সিনেমাটি। এর দৃশ্যধারণ শেষ হবে মাসখানেকের মধ্যেই। মূলত যাত্রাশিল্প এবং যাত্রাশিল্পীদের গল্প নিয়ে এগিয়ে যাবে সিনেমাটি। এতে সোহানা সাবা ছাড়াও অনান্য চরিত্রে অভিনয় করছেন আবুল হায়াত, অরুণা বিশ্বাস, শতাব্দী ওয়াদুদ, গাজী আবদুন নূর, শাহেদ, স্বাগতা এবং যাত্রা সম্রাজ্ঞী জ্যোৎস্না বিশ্বাস।