
খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ১৯৭২-৭৪ সাল এই তিন বছর সময়ের মধ্যে তিনবার জেলা সফরে গেছেন বলে আমার জানা নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধু রাঙ্গামাটিতে এসেছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাসমূহের উন্নয়নের জন্য স্কলারশিপ, চাকরিতে বিশেষ কোটা, জুম ট্যাক্স অবহিতকরণ এ বিষয়গুলো নিয়ে তিনি কথা বলেছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ই মার্চ) সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহিদ আব্দুল আলী মঞ্চে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমানের পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড একমাত্র বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনায় গঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু নির্দেশ ছিল যাতে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ যেন আলাদাভাবে কিছু না ভাবে। তিনি আরও বলেন, ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল। মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি পুরো পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন কারাবন্দী অবস্থায়। তারপর আওয়ামীলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টায় তিনি আওয়ামীলীগের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। তা সত্বেও তিনি সবসময় তিনি নিজেকে মনে করতেন জণগণের সেবক।
এ সময় জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল হোসেন চৌধুরী, প্রবীণ সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।এবারের প্রতিপাদ্য ছিল “বঙ্গবন্ধু জন্মদিনের অঙ্গীকার সকল শিশুর সমান অধিকার”। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে জেলা প্রশাসন কার্যালয় পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়।
পরে প্রধান অতিথি বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও মুক্তির উৎসব ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী মেলা প্রদর্শনীতে ১৯টি স্টলে অংশ নিচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এর আগে সকাল নয়টায় ভেদভেদীস্থ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, জেলা পরিষদ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।