
কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী এলাকায় সড়কে গতিরোধ করে গরুলুট করে নিয়ে গেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এসময় তারা পৃথক পৃথক ভাবে প্রথমে তিনটি গুরু লুট করে। পরে দুইটি সেচের মটর ও ট্রাক্টর লুট করে নিয়ে যায়। গেল ১৩ এপ্রিল ও ২২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভোরে পৃথকভাবে এসব লুট করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চক্রটি। লুট হওয়া মালামালের মালিক নুরুল ইসলাম এবিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গেল ১৩ এপ্রিল রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে নিজের বসতঘর কাঠালিয়ামোড়া এলাকার থেকে পিকআপ ভ্যানে করে স্বজনের বাসায় তার গবাধি পশুগুলো নিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রতিমধ্যে নুর মোহাম্মদ চৌধুরী বাজার এলাকায় পৌছালে সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সদস্য মাইজপাড়া এলাকায় মৃত ওমর আলীর ছেলে শাহেদ আলী (২৬), মৃত এরশাদ আলীর ছেলে জয়নাল আবেদীন কালু (৩২), নুরুল আলমের ছেলে নুরুল আজিম (২১), মৃত বকসুর ছেলে রেজাউল করিম (২৫), আবদুর রহিমের ছেলে কফিল উদ্দিন (২২), ছালামত উল্লার ছেলে কেফায়েত উল্লাহসহ অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জন সন্ত্রাসী মালিকের উপর হামলা চালিয়ে তিনটি গরু লুট করে নিয়ে যায়। এসময় গবাধি পশুর মালিক নুরুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এসময় চক্রটি নুরুল ইসলামের ১০ হাজার নগদ অর্থ ও একটি স্মাট ফোন লুট করে নিয়ে যায়।
এঘটনার পর সংঘবদ্ধ চক্রটি ২২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভোরে আবারো নুরুল ইসলামের পরিবারের সেচের দুইটি মটর ও একটি ট্রাক্টর লুট করে নিয়ে যায়। মূলত মৃত মোহাম্মদ আলমের ছেলে মোহাম্মদ আব্বাসের নির্দেশে পিএমখালী মাইজপাড়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ বকসুর ছেলে আবুল কালাম, তার ভাই রেজাউল, চাচা তো ভাই আব্দুল খালেক, নাছির, ধাওনখালী এলাকার মৃত কবির আহমদের ছেলে হুমায়ন কবিরসহ অজ্ঞাতরা এসব লুট করে। এছাড়াও কোন ধরণের আইনি পদক্ষেপ নিলে তার চাষাবাদ ধ্বংস ও তার ছেলে মেয়ে স্কুলে যাবার পথে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এমন অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নুরুল ইসলামের পরিবার।