
আনোয়ারা উপজেলায় ভূমিহীন,গৃহহীনদের মাঝে ১৩২ টি ভূমিসহ ঘর ভার্চুয়ালি হস্তান্তর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আনোয়ারার বারখাইন ইউনিয়নে আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় জমকালো এক আয়োজনের মাধ্যমে এই ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও আনোয়ারা উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের আনোয়ারা, সিরাজগঞ্জ, বরগুনাসহ চারটি স্থানের আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর উপকারভোগীদের মাঝে ভার্চুয়ালি হস্তান্তর করেন।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ঘর বিতরণ অনুষ্ঠানের লাইভে সংযুক্ত হয়ে আনোয়ারার রহিমা খাতুন অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ,অনে কেন আছোন?আপনাকে সরাসরি দেইখ্যা কথা বলার মতো ভাগ্য আমরা নাই। আমার চারটা মাইয়া নিয়ে ভাড়া ঘরে থাকতাম। এখন আপনার দেওয়া ঘর পেয়ে আমাদের সুখের শেষ নেই। মনে হয় আমি ফাইভ স্টার হোটেলে আছি। কি সুন্দর পরিবেশে ঘর। আপনাকে প্রতিদিন দেখার জন্য মেয়ের টিউশনের জমানো টাকা দিয়ে একটি টিভি কিনেছি। আপনার জন্য দুইটি নকশী কাঁথা সেলাই করেছি। আমার এই উপহার আপনাকে অবশ্যই নিতে হবে।এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুচকি হেসে নকশী কাঁথা গ্রহণের সম্মতি প্রকাশ করেন।
রহিমা খাতুন আরও বলেন, ‘এখন আর অন্যের ঘরে ভাড়া নিয়ে থাকতে হবে না। আপনার দেওয়া ঘরে আমরা একটি পরিবার ও সমাজের মত করে থাকছি। আর ঘরের মধ্যে আমার মেয়ে শিশুদের পড়ালেখা করায় এবং আমি নকশী কাঁথা সেলাই করে মা মেয়ে প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা আয় করছি।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম এমপি, বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন, ডিআইজি চট্টগ্রাম রেঞ্জ মো. আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল আহসান, আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর হাসান চৌধুরী।অন্যান্যদের মাঝে দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক শাহজাদা মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক এম.এ মান্নান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এম.এ মালেক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম, চেয়ারম্যানদের মাঝে নোয়াব আলী, আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল, আমিন শরীফ, হাসনাইন জলিল চৌধুরী শাকিল, অসীম কুমার দেব, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল ইসলাম চৌধুরী, কলিম উদ্দিন, মাস্টার মোহাম্মদ ইদ্রিসসহ উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ, উপজেলা আওয়ামীলীগ যুবলীগ,ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রোগ্রাম শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, উপকারভোগী রহিমা খাতুনের দেওয়া নকশী কাঁথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য আমরা পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। ঈদের আগেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর নকশী কাঁথা পৌঁছানো হবে।