
আনোয়ারায় নতুন পর্যটন কেন্দ্র ‘মেন্না গার্ডেন’। নজর কাড়ছে পর্যটকদের। ছুটির দিনে উপচে পড়া ভীড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে খুলে দেয়া এই পর্যটন স্পট। কক্সবাজার,পারকী সৈকতের পর বটতলীর মেন্না গার্ডেন নজর কেড়েছে ভ্রমণ পিপাসুদের।মেন্না গার্ডেন নামে এই পার্কে প্রতিদিনই ভিড় করছেন শত শত বিনোদনপ্রেমী।
ব্যাক্তি মালিকানাধীন দৃষ্টিনন্দন এই পার্কে প্রতিদিন ভীড় জমাচ্ছেন আনোয়ারা ছাড়াও দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার পর্যটকরা।চট্টগ্রাম শহর থেকেও অনেকে আসছেন বেড়াতে।
শুক্রবার সরকারি ছুটির দিনে হাজারো পর্যটকের ভীড় জমেছে মেন্না গার্ডেনে। অনেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসছেন এই পার্কে।প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দে মাতোয়ারা হচ্ছেন ছোট-বড় সবাই।
আনোয়ারা উপজেলার বটতলী শাহ মোহছেন আউলিয়া রহঃ মাজারের দক্ষিণে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে গড়ে তোলা হয়েছে মেন্না গার্ডেনটি৷ এখানে রোপণ করা হয়েছে বিভিন্ন রকমের ফুলের গাছ সহ বিভিন্ন গাছ৷ চারদিকে নানান রঙের ফুল ফুটে আর সবুজের সমারোহে রাঙিয়ে উঠেছে গার্ডেনটি। আরও চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্যে সাজানো হবে এবং এখানে করা হবে সুইমিং পুল, ঝর্না ও বিভিন্ন জাতের পশু-পাখি রাখা হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
পার্কের উদ্যোক্তা প্রকৃতিপ্রেমী মঈন উদ্দীন আহমদ চৌধুরী (মেন্না)জানান, আমি বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে জাপানসহ বিভিন্ন দেশে ঘুরেছি।সেখানে বিদেশীদের কাছ থেকে দেখে দেশে একটি পার্ক করার প্রবল ইচ্ছা জাগে। তিন বছর আগে পৈতৃক দশ একর জমিতে এই পার্ক স্থাপন করার কাজ শুরু করি। কম খরচে গ্রামের মানুষের চিত্ত বিনোদনের জন্য আমার এই প্রচেষ্টা। আশাকরি সকলের সহযোগিতায় আমার প্রচেষ্টা সফলতার মুখ দেখতে পেয়েছে।
পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকরা জানান,আনোয়ারার বটতলীতে মেন্না গার্ডেন পরিদর্শনে এসে আমরা মুগ্ধ হয়েছি। একটি বিনোদন কেন্দ্রে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে যা কিছু দরকার তার অনেক কিছু এ গার্ডেনে দেখতে পেয়েছি। আমরা যতদূর জানি এ গার্ডেনের প্রতিষ্ঠাতা মঈন উদ্দীন আহমদ চৌধুরী (মেন্না) একজন প্রকৃতি ও পর্যটন প্রেমী মানুষ। তার স্বপ্ন একদিন বাস্তবে রূপ লাভ করবে।