
মহেশখালী উপজেলার অন্তর্গত কালারমারছড়ার উত্তর ঝাপুয়া পাহাড়তলীতে এক অসহায় মহিলার কাছ থেকে সরকারি বরাদ্দকৃত ঘর দিবে বলে আশ্বাস দিয়ে
২০,০০০ / ৩০,০০০ টাকা করে প্রায় ১১ টি পরিবার থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মনু মিস্ত্রি নামে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে
প্রাপ্ত তথ্য মতে, একই এলাকার নুরুল হক প্রকাশ কাঠ মিস্ত্রি মনুর নামে এক প্রতারক অত্র এলাকায় সরকারি ঘর দিবে বলে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। কোন ব্যক্তি থেকে ২০,০০০ হাজার টাকা, আবার কোন ব্যক্তি থেকে ৩০,০০০ হাজার টাকা করে। এইভাবে গণহারে গ্রামের অসহায় মানুষের সাথে প্রতারণা করছে মনু নামে এক প্রতারক। বিগত এক দেড় বছর আগে সরকারি বরাদ্দকৃত ঘর দিবে বলে এলাকার অনেক মানুষ থেকে টাকা নেন। ঐ প্রতারক ভুক্তভোগীদের হুমকি দিয়ে বলেন টাকা ও ঘর দেওয়ার বিষয়টি কাউকে জানালে ঘরও পাবেন না, টাকা ও পাবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানান, আমাকে ঘর পাইয়ে দেবে বলে ২০,০০০ টাকা নেন। এবং টাকা বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকিও দেন। তাই দীর্ঘদিন মুখ বন্ধ রেখেছি। পরে ৮,০০০ হাজার টাকা ফেরত দেন। বাকী টাকাও দেননি ঘরও দেননি। এর পূর্বে ১/২জন ব্যক্তিকে ১০০০ হাজার ইট দিয়ে বিশ্বাস অর্জন করার চেষ্টা করেছেন ওই দালাল চক্রটি একই এলাকার ১১ টি পরিবার থেকে একই পদ্ধতিতে টাকা হাতিয়ে নেন বলে জানান। তবে কয়েকটি পরিবারকে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য করলে টাকা ফেরত দেন। কিন্তু দুই একটা পরিবারের চাওয়ার মত কেউ না থাকার কারণেই তাদের এই দুর্ভোগ বলে জানান।
এই অসহায় ভুক্তভোগী আরো জানান, ঐ দালাল চক্রটির কাছ থেকে টাকা ফেরত চাইতে গেলে বারবার তারিখ পর তারিখ দেন কিন্তু টাকা দেয় না। এভাবেই প্রায় এক বছর কেটে গেল উনি আরো জানান। এলাকার কোন মানুষকে এবং চেয়ারম্যান প্রশাসনিক কাউকে এ বিষয়টি না জানানোর জন্য হুমকি দেন।
অসহায় মহিলাটি কান্না ভাসিয়ে বলেন, আমার জামাই মারা গেছেন বিগত পনেরো বিশ বছর আগে আমার তিনটা সন্তান নিয়ে আমি খুব কষ্টের জীবন যাপন করতেছি আমি অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছি। আমার টাকার জন্য আমার টাকাটা ফেরত নিতে পারেনি আপনাদের কাছে আসার একটাই কারণ আপনাদের লেখনীতে প্রধানমন্ত্রী সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় জেলা প্রশাসক এই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার অনুরোধ জানালেন। ঐ প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন এবং টাকা ফেরত চান।
এদিকে অভিযুক্ত নুরুল হক প্রকাশ মনু মিস্ত্রি ফোনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে তিনি স্বীকার করে নেন। তিনি সহ আবুল কলাম এবং আরো কয়েকজন ব্যক্তির নাম বলেন। তবে টাকাটা উনার হাতে নেন বলে জানান সাংবাদিকের আর একটা প্রশ্ন ছিল তিনি বা আবুল কালাম কেউ কি সরকারি গভমেন্ট এ কাজ করে কিনা বা কোন সংস্থা কাজ করে কিনা এমন প্রশ্নে বিভ্রান্ত হয়ে ফোন কেটে দেন।
এবিষয়ে মহেশখালী উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা ইয়াছিন শিমুল বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে কেউ যদি সরকারি ঘর দিবে বলে টাকা নেয়, অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।