
আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক এম.এ.মান্নান চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া মানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর শেখ হাছিনার সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করা। যারা নেত্রীর সিদ্ধান্ত অমান্য করবে তারা কখনো দলের সদস্য পদ পাবেন না,আজীবনের জন্য বহিষ্কার। শুক্রবার দুপুরে আনোয়ারা পরৈকোড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুল হক বাবুলের নৌকার সমর্থনে কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট হরিপদ চক্রবর্তী সভাপতিত্বে পরৈকোড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মামুন সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম.এ মান্নান, প্রধান বক্তা ছিলেন আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ মালেক, সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ ছাবের আহম্মদ,আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য দেবাশীষ দত্ত ক্রেডিট,আওয়ামীলীগ নেতা এম নুরুল হুদা চৌধুরী,স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল,মোস্তাক আহমদ টিপু,বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি মুহাম্মদ আলমগীর তালুকদার,পরৈকোড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল মালেক, হাইলধর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি দিদারুল আলম,বারখাইন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম,বটতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো হানিফ,বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার যুগ্ন সম্পাদক সাজেদা বেগম ডলিসহ স্থানীয় আ’লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
বিদ্রোহী প্রার্থীর তীব্র সমালোচনা করে আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.মালেক বলেন, নেত্রী যাকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করেছেন তারপর অভ্যন্তরীণ কোনো কোন্দল থাকতে পারে না।যারা আওয়ামী লীগ করবেন তাদের সবাইকে নেত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে যিনি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করেছেন আওয়ামী লীগে তার আর স্থান নেই। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক বড় দল। যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করবে, দলকে নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে রাখার স্বার্থে তাকে চরম মূল্য দিতে হবে।তারা কখনো আওয়ামী লীগের সদস্য পদ পাবেন না। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সভাপতি আলমগীর তালুকদার বলেন,অসাম্প্রদায়িক চেতনার পক্ষে নৌকাকে বিজয়ী করার কোনো বিকল্প নেই। সারা দেশে যে অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন চলছে, তা আরও বেগবান করতে আগামী ১৫ই জুন নির্বাচনে শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থী আজিজুল হক বাবুল ভাইকে বিজয়ী করারও আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগ নেতা এম.নুরুল হুদা চৌধুরী বলেন-আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে আমরা ৪জন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ফরম নিয়ে মনোনয়ন চেয়েছি।আমি মনে করি,এই চার জনের মধ্যে সব চাইতে উত্তম এবং মাঠ পর্যায়ের একজন শ্রেষ্ঠ কর্মীকে মনোনয়ন দিয়েছেন।আমি প্রার্থী হিসেবে স্বীকার করি বিবেচনার ক্ষেত্রে কোনো গাফলতি হয় নি।কেননা আজিজুল হক বাবুল ভাইয়ের চাচা ও চেয়ারম্যান ছিলেন।তাহলে বলতে গেলে ওনি একজন সৎ পরিবারের ছেলে। হাইলধর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি দিদারুল আলম বলেন,আমাদের ইউনিয়ন আর পরৈকোড়া ইউনিয়ন পাশাপাশি কোনো ভয় নাই। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে নৌকার বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোনার বাংলা গড়ে তুলতে কাজ করছেন। দেশে এখন উন্নয়ন বইছে বলেই এদেশের মানুষ নৌকা ছাড়া অন্য মার্কা চায় না। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ ভালোভাবেই চলছে,চলবে ইনশাআল্লাহ। পরৈকোড়া ইউনিয়নের নৌকা প্রার্থী আজিজুল হক বাবুল বলেন,আমি ছোট্ট বেলা থেকে ছাত্র রাজনীতি করে আসছি,দীর্ঘদিন ধরে পরৈকোড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগে সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি পদে সৎ ভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছি।চাইলে অনেক টাকার মালিক হতে পারতাম,এসব চিন্তা ধারা আমার ছিলো না।আমি জনগণের সেবাই নিয়েজিত ছিলাম।আজ সৎ ভাবে চলেছি বলে মাননীয় ভূমিমন্ত্রী আলহাজ্ব সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ভাই আমাকে এই নৌকা প্রতীক দিয়েছে,মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে শোকর আদায় করছি।আমি সকলের দোয়া ও সমর্থন কামণা করছি।