
আনোয়ারায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্ড তৈরীর জন্য নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহের ভোটার ফরম না থাকায় বিপাকে পড়েছেন নতুন ভোটার হতে ইচ্ছুক তরুন প্রজন্মরা।দেখা যায়,ভোটার হালনাগাদে উপজেলার ৯নং পরৈকোড়া ইউনিয়নে উঠতি প্রজন্মরা ভোটার হতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ লক্ষ্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে ইউপি পরিষদে ভোটার প্রত্যাশী দের ভীড় যেন চোখে পড়ার মত। ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে গ্রামীন জন পদের নর-নারীরা উৎফুল্ল হয়ে উঠেছে। এছাড়া ভোটার হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ন কাগজপত্রাধি সংগ্রহ করতে এখনো হিমশিম খাচ্ছে অনেকে। এলাকার ইউপি পরিষদে ভোটার হতে ইচ্ছুকরা চেয়ারম্যান সনদপত্র,প্রত্যায়নপত্র, অনলাইন জন্মনিবন্ধন কপি,চৌকিদারি ট্যাকসহ সকল কাগজপত্রে চেয়ারম্যান কতৃক সত্যায়িত করতে ব্যস্তমুখর দিন পার করছে। কেউবা ভাই-বোনের জন্য,কেউবা নতুন বিবাহিত স্ত্রীকে ভোটার করাতে আর কেউবা আত্বীয় স্বজনদের কে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার লক্ষে কাগজপত্র নিয়ে দৌড়ঁঝাপের দৃশ্য চোখে পড়ে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সকাল থেকে ফরম সংকট থাকায় জনরোষের কবলে পড়ছে তথ্য সংগ্রহকারী ও স্থানীয় পরিষদের কর্তারা। নতুন ভোটার কার্যক্রম গত মে মাসের ২০ তারিখ শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার ৯ জুন পর্যন্ত চলে।উপজেলায় চলমান ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে ফরম সংকট দেখা দিয়েছে। সম্ভাব্য ভোটারদের মধ্যে আদৌ ভোটার হতে পারবে কিনা এ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ভোগান্তিতে পড়া এসব নাগরিকদের রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
সরেজমিনে ৯নং পরৈকোড়া ইউনিয়নে চলমান ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমের শুরু থেকেই ফরম সংকট দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক ভোটার প্রত্যাশী নাগরিক ফরম না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।বিশেষ করে এলাকার বাইরে চাকুরী, পড়ালেখা ও কাজকর্ম নাগরিকরা ভোটার হতে এসে ফরম না পেয়ে চরম বিপাকে পড়েছে। কর্মক্ষেত্র থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ছুটি নিয়ে এলাকায় আসলেও ফরম না পাওয়ায় একদিকে তাদের ছুটি শেষের পথে, অপরদিকে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম দ্রুত সময়ের মধ্যে হওয়ায় ফরম সংকটের কারণে শেষ পর্যন্ত ভোটার হতে পারবে কিনা তা নিয়ে শংকা প্রকাশ করছেন অনেকে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ১১ ইউনিয়নে গত ২০ মে থেকে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়ে ৯ জুন শেষ হওয়ার কথা রযেছে। নিবন্ধনকারীদের তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে দুইজন করে সুপারভাইজারের অধিনে প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে ১১ ইউনিয়নে ৯৯ জন তথ্য সংগ্রহকারী নিয়োগ করা হয়। প্রাথমিক ভাবে এসব সুপারভাইজারদের ২০০ করে নিবন্ধন ফরম দেওয়া হয়। পরে চাহিদা অনুযায়ী আরো ৪০০ করে ফরম দেওয়া হয়।
দিনরাত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন পরৈকোড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক।তিনি জানান, কেউবা ভাই-বোনের জন্য, কেউবা নতুন বিবাহিত স্ত্রীকে ভোটার করাতে, আর কেউবা আত্বীয় স্বজনদেরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কাগজপত্র নিয়ে আসছেন পরিষদে। তাদের সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ফরম সংকটের কারণে অনেকেই এসে ফিরে গেছেন। এ বিষয়টি আমি উপজেলা প্রশাসন ও নির্বাচন অফিসারকে জানিয়েছি। আশা করছি শীঘ্রই সমাধান হবে।
আনোয়ারা নির্বাচন অফিসের নিবন্ধন কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মো. ফরহাদ বলেন, আমরা ৭ শতাংশ নতুন নিবন্ধনের লক্ষ্যরেখে জেলা নির্বাচন অফিস থেকে ফরম এনেছি, কিন্তু এখন ১০ শতাংশেরও বেশি নিবন্ধনের আবেদন করেছে, এতে করে ফরম সংকট দেখা দিয়েছে। বিষয়টা জেলা নির্বাচন অফিসে অবগত করা হয়েছে, আশারাখি খুব শীঘ্রই সমাধান হবে।