
লিনা আক্তার – ঈদের মধ্যে গরুর বা খাসীর মাংস বেশি খাওয়া হয় বলে অন্যন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ডিম, মাছ, ডাল, বাদাম অন্যান্য সময়ের চেয়ে কম খাবেন । না হয় অতিরিক্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহনের পাশাপাশি হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
●মাংস খাওয়ার পর পরই চা, কফি খাবেন না। এতে আয়রন শোষনে বাধাগ্রস্থ হবে।
●মাংস খাওয়ার পর অনেকেই কোমল পানীয় যেমন পেপসি, কোকাকোলা ইত্যাদি খায়। এগুলো খাওয়া ঠিক নয়। কারন গরুর মাংসে ফসফরাস ও সোডিয়াম থাকে,কোমল পানীয়তেও ফসফরাস ও সোডিয়াম থাকে। তাই উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। যাদের আগে থেকে উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা আরও বেশি সাবধান।
● ঈদের মধ্যে মিষ্টির আইটেম বেশি থাকে। তাই অতিরিক্ত না খেয়ে পরিমিত পরিমানে দিনে ১ থেকে ২ বার খাবেন।●প্রাপ্তবয়স্ক ব্যাক্তিরা ৮০ থেকে ৯০ গ্রামের বেশি গরুর মাংস খাবেন না।
●খাওয়ার পর টকদই,কুসুম গরম পানিতে লেবু, বোরহানি, মাঠা, লাচ্ছি, জিরা পানি, রাইতা, ডিটক্স করা পানি খাবেন।●শুধু মাংস বেশি করে না খেয়ে সাথে সালাদ, সবজি ও ফল অবশ্যই রাখবেন।
● মাংস খাওয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল রেখে খাবেন বিশেষ করে যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত তারা পরিমিত পরিমাণে এবং চর্বি ছাড়িয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন ●কেননা গরু , মহিষ, ছাগল ও খাসির মাংসে থাকে উচ্চমাত্রার প্রোটিন ও ফ্যাট, তাই অতিরিক্ত মাংস খেলে স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, চর্বি ও কোলেস্টেরল মাত্রা বেড়ে যায়, বিশেষ করে যারা আগে থেকেই এসব রোগে ভুগছেন তাদের জন্য ঝুঁকি আরও বেশি, তাদের জন্য লাল মাংস এড়িয়ে যাওয়া ভালো
● কিডনির রোগী বিশেষ করে ফেইলর ও ডায়ালাইসিস করা রোগীদের ক্ষেত্রে উচ্চ মাত্রার প্রোটিনে নিষেধাজ্ঞা থাকে। অবশ্যই যারা এই রোগগুলোর ভিতর দিয়ে যাচ্ছেন ডায়েটিশিয়ান ও ডাক্তার এর পরামর্শ ছাড়া গরুর বা অন্য যেকোন মাংস খাবেন না।
● যাদের অপারেশন হয়েছে বা শরীরের কোনো ক্ষত রয়েছে, তারা খুব সীমিত পরিমাণে মাংস খাবেন।
●লিভারের রোগীরা গরুর মাংস খাওয়ার আগে ডক্টর বা ডায়টেশিয়ানের সাথে অবশ্যই কথা বলে নেবেন।