
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ঝগড়া মিটাতে গিয়ে কিশোর গ্যাং ডার্বি গ্রুপের হামলায় গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন চাতরীর কালা মনছুর (৪৫) নামে এক ব্যক্তি। গত রবিবার (১৭ জুলাই) রাত দুইটায় উপজেলার চাতরী ইউনিয়নে চাতরী চৌমুহনী বাজারের দক্ষিণে কামালের কলের সামনে এঘটনা ঘটে। ঘটনার ৬ দিন পার হলেও জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি পুলিশ।
এঘটনায় বুধবার (২০ জুলাই) রাতে আনেয়ারা থানায় আহতের ভাই মো. হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে একই এলাকার মোহাম্মদ মামুন (২৮), মো. সায়মন (১৯), মো. আলিফ (২৫), মো. হৃদয় (২০), মো. রাশেদ (২০) ও মো. মুজিবুর রহমান (৩৫) কে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। আহত আবদুল মনছুর প্রকাশ কালা মনছুর চাতরী এলাকার মো. আবদুর রহিমের পুত্র।
আহত আবদুল মনছুর মুঠোফোনে বলেন, মামুন ও মিন্টুর সঙ্গে লাগা ঝগড়াকে কেন্দ্র করে আমার ওপর হামলা করে। আমার কাছে থাকা গরু বিক্রির ৯৬ হাজার টাকাও নিয়ে নেয় তারা। এসময় স্থানীয় শফিকুল ইসলাম আমাকে উদ্ধার করে মেডিকেল নিয়ে যায়।
মামলার সূত্রে ও বাদী মো. হারুন অর রশিদ জানান, রবিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় চাতরী চৌমুহনী বাজারে ডার্বি গ্রুপের মামুন ও মিন্টুর সঙ্গে ঝগড়া লাগে। ঝগড়ার খবর পেয়ে কালা মনছুর ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝগড়া মিটানোর চেষ্টা করে উভয় পক্ষকে শান্ত করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। রাত ২ টার সময় মনছুর চাতরী নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় ক্ষিপ্ত হয়ে মামুন তার গ্রুপের সদস্যদের এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে, তার আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় ডার্বি গ্রুপের সদস্যরা। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতার উদ্ধার করে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানায়, তাদের দেশীয় অস্ত্রের ২৯ টি কোপে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর ভাবে ক্ষতি হয়েছে। তিনি বর্তমানের মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ঘটনার ৬ দিন পার হলেও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি, মামলার আসামীরা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আমরা খুবই আংতস্কের মধ্যে আছি।
স্থানীয়রা জানান, চাতরী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ডার্বি গ্রুপ নামে কিশোর গ্যাং সদস্যরা মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করে না। রাতের আঁধারে যাত্রীবেশে ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটায় তারা। এরা সকলে উঠতি বয়সের কিশোর বলেও জানান স্থানীয়রা।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর্জা মুহাম্মদ হাসান বলেন, এঘটনায় থানায় আহতের স্বজন ৬ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।