রাঙ্গামাটি প্রতিনিধিঃ
রাঙ্গামাটিতে প্রস্তাবিত সিএইচটি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কতৃপক্ষের আয়োজনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) বিকেলে শহরের বনরুপাস্থ উত্তরা ব্যাংকের ৩য় তলায় বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড সদস্য ডাঃ এ.কে.এম ফজলুল হক সিদ্দিকীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
সিএইচটি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল’র প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ রুপম দেওয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড সদস্য ডাঃ এ.কে.এম ফজলুল হক সিদ্দিকী।
এতে প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে হোমিওপ্যাথিক শিক্ষকরা বর্তমানে ৫০% বেতন ভাতাদি সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন। পার্বত্যঞ্চলের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিলেন পাহাড়ে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হবে। পাহাড়ি বাঙালি একই অবস্থানে থেকে একসাথে কাজ করতে পারবে। সে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে রাঙ্গামাটিতে প্রস্তাবিত হয়েছে সিএইচটি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, যা অতিশ্রীগ্রই বাস্তবায়িত হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন সাধিত হলে আমাদের স্বপ্ন পূরণ বাস্তবে পরিণত হবে।
তিনি আরও বলেন, খাগড়াছড়িতে সরকার অনুমোদিত হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে দুটি বাস্তবায়ন হলে পাহাড়ের অনেক মানুষের দূরত্ব কমবে ও কষ্ট লাঘব হবে। দুর্গম এলাকার রোগীরা রাজধানী ঢাকায় না গিয়ে নিজ জেলা শহরের মধ্যে সহজে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারবে। তাছাড়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হলে আগামী প্রজন্মদের কর্মসংস্থান হিসেবে চাকরির সুযোগ হবে তিনি মন্তব্য করেন।
সংবর্ধনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দুর্গেস্বর চাকমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম, বৃহত্তর বনরুপা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. আবু সৈয়দ, ডাঃ জাকির হোসেন হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ও প্রাক্তণ ছাত্র পরিষ সভাপতি ডাঃ মো. মাইমুদুল হক (পারভেজ) প্রমূখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, রাঙ্গামাটিতে হোমিওপ্যাথিক কলেজের প্রতিষ্ঠা করার জন্য পাহাড়ের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়েছিল। ইতোমধ্যে প্রস্তাবিত কলেজের ভূমি পাওয়া গেছে। সরকারের অনুমতি পেলে পাহাড়ের পিছিয়ে পড়া মানুষের চিকিৎসা সেবায় অবদান রাখবে প্রতিষ্ঠিত হোমিওপ্যাথিক কলেজটি।