
আকাশ মাহমুদ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ-
হেলাল উদ্দিন থেকে আজকের হেলাল খান। ২০০১ সালে সামান্য তম ভূলের কারনে এই ছেলেটিই বড় ভাইদের অত্যাচারে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হোন। শুধু কি তার ভূল ছিলো নাকি ভাইদের সার্থের কিছু কারন জরিত ছিলো সেই দিন।
একটি একান্নবর্তী পরিবারের সন্তান হেলাল নয়টি ভাইয়ের মধ্যে পরিবারের সপ্তম সন্তান এই হেলাল খান। একটি একান্নবর্তী পরিবারের অনেক ভূল ত্রুটি হওয়াটাই স্বাভাবিক কেননা ভূল শোধরানোর মন-মানসিকতা না থাকলে কখনো একটি একান্নবর্তী পরিবার টিকে থাকতে পারেনা।
কাজেই একটি একান্নবর্তী পরিবারের প্রধান বৈশিষ্ট হচ্ছে পরিবারের সকলের প্রতি আন্তরিকতা বজায় রেখে মিলেমিশে এক সাথে বসবাস করা। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস এই পরিবারের বড় ভাইদের মাঝে ছিলোনা সেই সহমর্মিতা ছিলো ছোট ভাইদের প্রতি বড়দের ভালোবাসার ছায়া।
যার ফলশ্রুতিতে যা হবার কথা ঠিক তাই হয়েছে।পতন ঘটেছে ঠিক সিরাজউদৌলার পলাশী যুদ্ধের মতই। এখন আর নেই সেই একান্নবর্তী পরিবার প্রতিটি ভাই যে যার মত আলাদাভাবে বসবাস করছেন। আর পরিবারে বসবাস করা বাবার ছোট সন্তান গুলোর প্রতি আজও বিদ্যমান সেই অবহেলা।
ডেমোক্রেসির শিষ্যদের মত নিজেদের কে সর্বদা বড় মনে করে সকল অধিকারের বাহিরে রেখেছেন বাকি সাত ভাই। কিন্তু ভাগ্যক্রমে বাধ্য হয়ে বাড়ি থেকে চলে যাওয়া সেই ছেলেটিই আজ সমাজে প্রতিষ্টিত একজন ব্যক্তি। খাগড়াছড়ি দিঘীনালা উপজেলার ১নং মেরুং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বেলছড়ি নিজ বাড়ি থেকে ২০০১ সালে চলে যান গাজিপুরে নিকট আত্তিয়র।
কাছে সেখানেও কিছুটা অবহেলার স্বীকার হতে হয় তাকে। অতঃপর গাজিপুর সফিপুরে একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকুরি নিয়ে ছাড়তে হয় সেই নিকট আত্তিয়র বাড়িটিও। আজ সু-দীর্ঘ জীবন সংগ্রামের পর সেই মানুষটি কর্মক্ষেত্রে পদন্নতি পেয়ে একটি কারখানার এপিএম হয়েছেন।যা শুধু অধ্যবসায় ও তার সহযোগীতা বীহিন ধর্য্যর প্রতিফল।
আজ হেলাল খান অনূভু্তি টিভিকে বলেন, আজ আমার এ সফলাতার পিছনে শুধু বড় ভাইদের অবহেলা আর ঘৃনা কেই সঙ্গী হিসেবে পেয়েছি বাবা মা,র দোয়া ছিলো আমার একমাত্র পূজি ২০১৪ সালে বাবার মৃত্যর পর মনে হচ্ছে পৃথিবীতে আমার কথা মনে করার মত মানুষটি কেও হাড়িয়েছি।
দোয়া করি বড় ভাইদের প্রতি তারা যেনো জীবনে সখী হয়,আমাকে সেদিন বাড়ি থেকে যদি বের হতে না হতো তাহলে আজ আমি নিজেকে এতটা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিয়ে আসতে পেতাম না। সর্বক্ষেত্রে আমি তাদের কথা মনের মাঝে রেখেই আমার জীবন সংগ্রামের প্রতিটি মূহুর্ত অতিবাহিত করেছি। তাই সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
পরিশেষে তিনি বলেন আমার মত যারা অবহেলার স্বীকার হয়ে বাড়ি ছেড়েছেন আপনারা অবহেলাটাকে পূজি করে জীবন সংগ্রামে এগিয়ে যান আমি নিশ্চিত ব্যর্থতাও আপনার কাছে হাড় মানবে।