
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) ২৫ টি প্রকল্পের ১৬০ মেট্রিক টন গম ফেরত দেয়া হয়েছে। ২৫ টি উন্নয়ন প্রকল্পের নামে কাবিখার দ্বিতীয় পর্যায়ের এ বরাদ্দ হয়েছিল। জানা যায়, ইউএনও সাবরীন চৌধুরী ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরীন চৌধুরী জানান,
এব্যপারে আমার কোন গাফিলতি ছিলনা। পিআইও’র গাফিলতির কারনেই দ্বিতীয় ধাপের বরাদ্ধ ফেরৎ গিয়েছে।
কিন্তু উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেছেন ভিন্ন কথা:
তার ভাষ্যমতে, ইউএনও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ৩০ জুন বরাদ্ধগুলো ফেরত পাঠিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে বরাদ্ধ ফেরত দেয়ার বিষয়টির
ঘটনায় আমার কোনো গাফিলতি ছিল না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রায়পুর উপজেলায় কর্তব্যরত একজন উর্ধতন কর্মকর্তা জানান, ইউএনও-পিআইও’র অন্তদ্বন্ধে বলির পাঠা হলেন সাধারণ জনগণ।
এ ব্যপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ বলেন, দুই কর্মকর্তার সমন্বয়হীনতার কারণে বরাদ্ধটি ফেরত গেছে। এতে রায়পুরের মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক (লক্ষ্মীপুর) অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, বরাদ্ধ ফেরত যাওয়ার বিষয়টি অবগত নই। খোঁজ খবর নিয়ে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে। তবে ইউএনও-পিআইওর মধ্যে অন্তদ্বন্ধের কথা শুনেছি।