রাঙ্গুনিয়ায় নির্মাণ শ্রমিক মো. জাসেদ(২৫) এর হাতে খুন হয়েছে টিকাদার মো. বেলাল হোসেন(২৭)। সে উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের হাজী পাড়া এলাকার মো ইউসুফের পুত্র। ঘাতক জাসেদ(২৫) একই এলাকার শামশুল আলমের ছেলে। পোমরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন চৌধুরী জানান, সোমবার (২০ জুলাই) সকালে উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের হাজী পাড়া এলাকার সেকান্দার নামক একজন চা বিক্রেতার দোকানের সামনে এই খুনের ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা যায় স্থানীয় এক বাড়ীতে পাকা ঘর নির্মাণের কাজ নিয়েছে সুজন। এতে লেবারের কাজ করতো পাশের হাবীব বাড়ীর মোঃ শামসুর ছোট ছেলে মোঃ জাশেদ (প্রকাশ সালমান খান)।
সকালে জাসেদ কাজে না গেলে দোকানের সামনে বেলাল তাকে দেখে বকা-ঝকা করে এবং একটা থাপ্পর দিয়ে বলে, “মিস্ত্রী বসে আছে তুর জন্য আর তুই গেলি না মানুষ আমাকে গালি দিচ্ছে কাজ বন্ধ তাই। কাজে যাবিনা আগে বললেই আমি আরেকজন ঠিক করতাম।” এরপর ঘটনা শেষ জাশেদ বাড়ির দিকে চলে যায় আর সুজন চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছে।কিছুক্ষণ পর জাশেদ একটা কাঠের বাকল নিয়ে এসে কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই পেছন থেকে সুজনের ঘাড়ে আঘাত করে এতে সুজন মাটিতে পরে যায়। তারপর জাশেদ ২য় আঘাত করে মাথায় আর এতেই মাথা ফেটে রক্ত বের হয়।
ঘটনার আকস্মিকতায় দোকানে থাকা মানুষজন হতবম্ভ হয়ে পড়ে। এলাকাবাসী জাসেদকে ধরার জন্য ধাওয়া করলে সে পালিয়ে যায়। সাথে সাথে সুজনকে রাঙ্গুনিয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে রাংগুনিয়া রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার পুলিশ এসে লাশ পোস্টমর্টেম করার জন্য নিয়ে যায়।
এদিকে নিহত বেলালের লাশ দাফন করার আগেই খুনি জাসেদকে ৭ঘন্টার মধ্যে শান্তিরহাটের দিকে পালানোর সময় গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় রাঙ্গুনিয়া মডেল থানা পুলিশ।
রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ওসি(তদন্ত) মাহাবুব মিল্কি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত পরিবারের পক্ষে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে ঘটনার তেমন কোন জটিলতা ছিলনা তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে খুনের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই জাসেদকে ধরতে পুলিশের টিম মাঠে নামে। বিকেল তিনটার দিকে গ্রামবাসীর সহায়তায় জাসেদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।তাকে আগামীকাল আদালতে হাজির করা হবে।